দুই মাসে নিহত ৭ !সিলেট নগরীতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিবে আর কত প্রাণ ?
- প্রকাশিত সময় ০৩:০৩:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০
- / 122
সিলেট প্রতিনিধি :কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না বেপরোয়া ট্রাক। গত দুই মাসে সিলেট নগরীর রাস্তা থেকে ঘাতক ট্রাক নিভিয়ে দিয়েছে ৭টি জীবনপ্রদীপ।
সর্বশেষ ১২ ই ফেব্রুয়ারি ব্ন্দরবাজারে রফিকুল ইসলাম নামের এক রিকশাচালককে চাপা দেয় ট্রাক।
এভাবে কেবল নিহত নয়, বেপরোয়া ট্রাকের ধাক্কায় আহত হয়ে অনেকেই অযাচিতভাবে বরণ করে নিয়েছেন পঙ্গুজীবন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে সুবিদবাজারস্থ রিফাত এন্ড কোম্পানির সামনে দ্রুতগামী একটি ট্রাকের ধাক্কায় তানিয়া বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূ গুরুতর আহত হন
এর কিছু সময় পর তিনি সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তানিয়া নগরীর চৌকিদেখি এলাকার ৪৩/১ নুরজাহান ভিলার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী।
২১ জানুয়ারি নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় ইমতিয়াজ মাহবুব মির্জা (২০) নামে এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়।
ওইদিন দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওইদিন জিন্দাবাজারে একটি গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষে ইমতিয়াজ ও তার বন্ধু শহরতলীর বালুচর কনের বাড়িতে যান।
সেখান থেকে মোটরসাইকেলে বাসায় ফেরার পথে চৌহাট্টা পয়েন্টে আসামাত্র জিন্দাবাজার থেকে আম্বরখানার দিকে আসা দ্রুতগামী একটি ট্রাক তাদের মোটরসাইকেল ধাক্কা দেয়। এতে রাস্তায় ছিটকে পড়ে ইমতিয়াজের মৃত্যু হয়।
এর আগে ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর আম্বরখানায় বেপরোয়া ট্রাক চাপায় ২ ছাত্রলীগ নেতা গুরুতর আহত হন।
একইভাবে ৩০ আগস্ট রাত ১১টার দিকে নগরের নাইওরপুল পয়েন্টে ট্রাকচাপায় প্রাণ হারান মোহন নামে এক তরুণ।
এর আগে কোম্পানীগঞ্জ সড়কে নগরীর আম্বরখানায় পাথরবাহী ট্রাকের চাপায় ঘটনাস্থলেই সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক শাহ আলম (২১) ও খায়রুল ইসলাম (২৪) নামে এক যাত্রী নিহত হন।
ঐ বছরের ২২ মার্চ আম্বরখানা পয়েন্টে একটি ট্রাক কেড়ে নেয় দেবাশীষ দে পিনাকের জীবন।
তিনি ছিলেন মিরাবাজার বলরাম আখড়া এলাকার বাসিন্দা এবং আম্বরখানা সিলসিলার ম্যানেজার।
২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি শাহী ঈদগাহ থেকে কাজিটুলা হয়ে নগরীর মাছিমপুরস্থ বাসায় ফিরছিলেন মোটর সাইকেলযোগে।
কাজিটুলা মসজিদের পাশে আসামাত্রা বেপরোয়া একটি পাথরবোঝাই ট্রাক তাকে ধাক্কা দেয়। তারপর তার জীবন থমকে দাঁড়ায়।
তিনি পঙ্গুত্ব বরণ করেন। এভাবে কেবল নিহত নয়, বেপরোয়া ট্রাকের ধাক্কায় আহত হয়ে অনেকেই এখন পঙ্গু।
মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক এডিসি নিকোলিন চাকমা জানান, তেমুখী বাইপাস এবং কোম্পানীগঞ্জ বাইপাস থেকে ট্রাক ছাড়ার ব্যাপারে কঠোর রয়েছে ট্রাফিক বিভাগ।
নির্ধারিত সময়ের আগে বা পরে নগরীতে ট্রাক ঢুকলেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।