ঢাকা ০৭:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

সোনাতলা থানার ঠাকুরপাড়া গ্রামে শতবর্ষী “সন্ন্যাসী মেলা” অনুষ্ঠিত

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০২:৫১:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / 102

মহিউদ্দিন নিশাত, বগুড়াঃ বগুড়া জেলার সোনাতলা থানার ঠাকুরপাড়া গ্রামে শতবর্ষী সন্ন্যাসী মেলা অনুষ্ঠিত হয় ১৯ ফেব্রুয়ারি। আনন্দ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও অনুষ্ঠিত হলো শতবর্ষী সন্ন্যাসী মেলা। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী মেলা স্থানীয়ভাবে একে “বুড়া মেলা” বলা হয়ে থাকে।

বসন্তের শুরুতে যখন গাছে গাছে ফুল ফোটে ঠিক এই সময়টায় এই ঐতিহ্যবাহী সন্ন্যাসী মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। এ মেলা কে উপলক্ষ করে উক্ত গ্রাম এবং আশেপাশের গ্রামে জামাইকে দাওয়াত দেওয়া সহ আত্মীয়-স্বজন যাতায়াতের প্রথা চালু আছে। সোনাতলা থানার মানুষ গভীর আগ্রহে অপেক্ষা করে এই মেলার জন্য। এই মেলার প্রধান আকর্ষণ হলো বড় বড় মাছ। জামাইরা এসে শ্বশুরবাড়িতে বড় মাছ কিনবে এটাই এই মেলার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

মাছ কেনাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে একে অন্যের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এছাড়াও এই মেলাতে ছোটদের খেলনা সহ বিভিন্ন ঐতিহ্যপূর্ণ জিনিসপত্র পাওয়া যায়। মেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিটি ঘরে যেন আনন্দ উৎসব শুরু হয়। সকাল থেকে শুরু করে রাত আটটা পর্যন্ত চলে মেলাতে কেনাবেচা।

মেলার আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এই মেলাতে প্রচুর পরিমাণে কাঠের জিনিসপত্র পাওয়া যায়। মেলাটি একদিনের হলেও কাঠের জিনিসপত্র বিক্রি হয় পরের তিনদিন পর্যন্ত। গ্রামের সাধারণ মানুষ এখান থেকে কাঠের জিনিসপত্র কেনার জন্য বছর ধরে অপেক্ষা করে।

মেলাকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটে সেজন্য প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ নজরদারিতে ছিল পুরো এলাকাটি।

সোনাতলা থানার ঠাকুরপাড়া গ্রামে শতবর্ষী “সন্ন্যাসী মেলা” অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত সময় ০২:৫১:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২০

মহিউদ্দিন নিশাত, বগুড়াঃ বগুড়া জেলার সোনাতলা থানার ঠাকুরপাড়া গ্রামে শতবর্ষী সন্ন্যাসী মেলা অনুষ্ঠিত হয় ১৯ ফেব্রুয়ারি। আনন্দ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও অনুষ্ঠিত হলো শতবর্ষী সন্ন্যাসী মেলা। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী মেলা স্থানীয়ভাবে একে “বুড়া মেলা” বলা হয়ে থাকে।

বসন্তের শুরুতে যখন গাছে গাছে ফুল ফোটে ঠিক এই সময়টায় এই ঐতিহ্যবাহী সন্ন্যাসী মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। এ মেলা কে উপলক্ষ করে উক্ত গ্রাম এবং আশেপাশের গ্রামে জামাইকে দাওয়াত দেওয়া সহ আত্মীয়-স্বজন যাতায়াতের প্রথা চালু আছে। সোনাতলা থানার মানুষ গভীর আগ্রহে অপেক্ষা করে এই মেলার জন্য। এই মেলার প্রধান আকর্ষণ হলো বড় বড় মাছ। জামাইরা এসে শ্বশুরবাড়িতে বড় মাছ কিনবে এটাই এই মেলার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

মাছ কেনাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে একে অন্যের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এছাড়াও এই মেলাতে ছোটদের খেলনা সহ বিভিন্ন ঐতিহ্যপূর্ণ জিনিসপত্র পাওয়া যায়। মেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিটি ঘরে যেন আনন্দ উৎসব শুরু হয়। সকাল থেকে শুরু করে রাত আটটা পর্যন্ত চলে মেলাতে কেনাবেচা।

মেলার আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এই মেলাতে প্রচুর পরিমাণে কাঠের জিনিসপত্র পাওয়া যায়। মেলাটি একদিনের হলেও কাঠের জিনিসপত্র বিক্রি হয় পরের তিনদিন পর্যন্ত। গ্রামের সাধারণ মানুষ এখান থেকে কাঠের জিনিসপত্র কেনার জন্য বছর ধরে অপেক্ষা করে।

মেলাকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটে সেজন্য প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ নজরদারিতে ছিল পুরো এলাকাটি।