ঢাকা ০৭:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

সিরাজগঞ্জে ধর্ষন মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৯:১৫:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / 114

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জে যুবতীকে ধর্ষণ মামলায় ৬জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। দন্ডিতদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে নির্যাতিত যুবতীকে আদায় করে দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ এর বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, সদর উপজেলার পার পাচিল গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে মো. রাসেল ওরফে রবিউল (২৫), ভাটপিয়ারী গ্রামের ময়দান আলীর ছেলে সোহেল (২৬), একই গ্রামের দানেজ আলীর ছেলে রাজ্জাক (৪৪), পার পাচিল গ্রামের সুলতানের ছেলে নাজমুল (২৪), একই গ্রামের নুরু ওরফে নুর ইসলাম (২৬) ও আলতাফ কসাইয়ের ছেলে মোমিন (৩৪)।

সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শেখ আব্দুল হামিদ লাবলু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার ভাটপিয়ারী গ্রামের মৃত আবু সাইদের মেয়ে (১৮) পাঁচিল গ্রামের রাসেলের মোবাইল ফোনে প্রেম হয়। ২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল রাতে ওই যুবতীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যমুনা নদীর ভাটপিয়ার চরে আসতে বলে রাসেল। প্রেমিককে বিশ্বাস করে ভাটপিয়ারী যমুনার চরে গেলে রাজ্জাক, নাজমুল, নুরু ও সোহেলকে ফোন করে ডেকে এনে ওই যুবতীকে গণধর্ষণ করে। এতে নির্যাতিত যুবতী অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে আখ ক্ষেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষকেরা। ভোর ৪টার দিকে নির্যাতিত যুবতীর জ্ঞান ফিরে অসুস্থ অবস্থায় বাড়ী ফেরার পথে অপর আসামী মোমিন তাকে একা পেয়ে রাস্তার পাশে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে ওই যুবতী ফোন করে তার বোন ভগ্নিপতিকে বিষয়টি জানালে তারা অসুস্থ্য অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ৬ আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক বাসুদেব সিনহা। মামলার দীর্ঘ শুনানী শেষে ৬ ধর্ষকের বিরুদ্ধে এই রায় ঘোষণা করেন আদালত। আসামীদের মধ্যে সোহেল ও আব্দুল মোমিন পলাতক রয়েছে।

সিরাজগঞ্জে ধর্ষন মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত সময় ০৯:১৫:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জে যুবতীকে ধর্ষণ মামলায় ৬জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। দন্ডিতদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে নির্যাতিত যুবতীকে আদায় করে দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ এর বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, সদর উপজেলার পার পাচিল গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে মো. রাসেল ওরফে রবিউল (২৫), ভাটপিয়ারী গ্রামের ময়দান আলীর ছেলে সোহেল (২৬), একই গ্রামের দানেজ আলীর ছেলে রাজ্জাক (৪৪), পার পাচিল গ্রামের সুলতানের ছেলে নাজমুল (২৪), একই গ্রামের নুরু ওরফে নুর ইসলাম (২৬) ও আলতাফ কসাইয়ের ছেলে মোমিন (৩৪)।

সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শেখ আব্দুল হামিদ লাবলু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার ভাটপিয়ারী গ্রামের মৃত আবু সাইদের মেয়ে (১৮) পাঁচিল গ্রামের রাসেলের মোবাইল ফোনে প্রেম হয়। ২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল রাতে ওই যুবতীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যমুনা নদীর ভাটপিয়ার চরে আসতে বলে রাসেল। প্রেমিককে বিশ্বাস করে ভাটপিয়ারী যমুনার চরে গেলে রাজ্জাক, নাজমুল, নুরু ও সোহেলকে ফোন করে ডেকে এনে ওই যুবতীকে গণধর্ষণ করে। এতে নির্যাতিত যুবতী অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে আখ ক্ষেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষকেরা। ভোর ৪টার দিকে নির্যাতিত যুবতীর জ্ঞান ফিরে অসুস্থ অবস্থায় বাড়ী ফেরার পথে অপর আসামী মোমিন তাকে একা পেয়ে রাস্তার পাশে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে ওই যুবতী ফোন করে তার বোন ভগ্নিপতিকে বিষয়টি জানালে তারা অসুস্থ্য অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ৬ আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক বাসুদেব সিনহা। মামলার দীর্ঘ শুনানী শেষে ৬ ধর্ষকের বিরুদ্ধে এই রায় ঘোষণা করেন আদালত। আসামীদের মধ্যে সোহেল ও আব্দুল মোমিন পলাতক রয়েছে।