নারী ও শিশুর প্রতি জেন্ডারভিত্তিক নির্যাতন প্রতিরোধে স্কুল ক্যাম্পেইন
- প্রকাশিত সময় ০৯:২৩:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০
- / 128
সিলেট প্রতিনিধিঃ প্রতিরোধের দীপ্ত শপথ নিল ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী। যেখানেই যৌন হয়রানি সেখানেই গড়ে তুলবে প্রতিরোধ। আর সেই প্রতিজ্ঞা করেই স্কুল ছুটি শেষে বাড়ি ফিরে এসব শিক্ষার্থীরা।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্রাক এর সহযোগিতায় জেন্ডারভিত্তিক ন্যায়বিচারের প্রচার পুরুষ এবং ছেলেদের সংযুক্তিকরণ মাধ্যমে বাংলাদেশের নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা হ্রাসকরণ প্রকল্পের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সিলেট সদরের ইউসেপ সোলাইমান চৌধুরী বালুচর স্কুল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শহরতলীর বালুচর ইউসেফ সুলেমান স্কুল মাঠে এ শপথ নেন শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস.এম ওমর ফারুকের সভাপত্বিতে ও ব্র্যাক জেলা ব্যবস্থাপক মুহা. কায়েম উদ্দিনের স ালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহানগর কমান্ড ইউনিক কমান্ডার, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক ভবতোষ রায় বর্মণ রানা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হিউম্যান রাইটস্ জার্নালিষ্ট কমিশনের প্রেসিডেন্ট ফয়ছল আহমদ বাবলু, দৈনিক সমকালের ফটো সাংবাদিক ইউসুফ আলী, মোহাম্মদ রিয়াজ মিয়া।
এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল বাশার, মো. বশিরুজ্জামান, ফারজানা ইয়াসমিন, পাপিয়া ধর, রেজওয়ানা ইফফাত, মো. আমিনুল ইসলাম, সাজের আহমদ, ওয়াজিত তালুকদার। আরো উপস্থিত ছিলেন মো. জাকির হোসেন, মো. হেলাল মিয়া, ব্র্যাক কর্মসুচি সংগঠক বিউটি রায়, শ্যামল শর্ম্মা, ইলিয়াছ উদ্দিন, লোকমান হেকিম, আব্দুল হাকিম প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সময়ে দেশে যৌন হয়রানি বেড়ে গেছে। বিশেষ করে শিশুরাও এ যৌন হয়রানি থেকে রেহাই পাচ্ছে না। এ জন্য সচেতন হওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নেই। পাশাপাশি সবাইকে এ ধরনের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানানো হয়।
তিনি আরও বলেন, সকলের সার্বিক অংশগ্রহণের মাধ্যমেই সমাজ থেকে সকল প্রকার নির্যাতন বন্ধ করা সম্ভব। শুধুমাত্র আইন প্রয়োগ করে এ সমস্যা নির্মূলকরা বা সমাধান করা সম্ভব নয়। উন্নয়নের ও অগ্রগতির এ যুগে নারী শিক্ষার প্রধান ও অন্যতম অন্তরায় হচ্ছে বাল্যবিয়ে, যৌন হয়রানি ও সাইবার বুলিং। জেন্ডার বৈষম্যমূক্ত সমাজ গঠনে সমাজ ও রাস্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে এবং সবার আগে পরিবার ও ব্যক্তিকে এগিয়ে আসতে হবে। এ বিষয়ে সামািজক জন সচেতনতা সৃষ্টির কোন বিকল্প নেই।