ঢাকা ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদানের জন্য ভারত সরকার প্রধানকে মুজিববর্ষে আমন্ত্রণ

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৮:৫১:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ মার্চ ২০২০
  • / 105

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে অন্য কোন দেশের যদি এককভাবে সবচেয়ে বেশি অবদান থাকে, সেটি হচ্ছে ভারত এবং ভারতের জনগণ।

মুক্তিযুদ্ধে এবং বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করার জন্য ভারতের যে অবদান, সেসমস্ত বিবেচনাতেই ভারতের মান্যবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’

মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে আগামী ১৭ মার্চ মুজিববর্ষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘নরেন্দ্র মোদি’র আগমন নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উত্থাপিত প্রশ্নের’ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন।

‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের এই ধরণের প্রশ্ন উপস্থাপন করার দু’টি উদ্দেশ্য আছে’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘একটি হচ্ছে তাদের রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্য ভারত বিরোধিতার ধারাবাহিকতা রক্ষা, আরেকটি হচ্ছে বাংলাদেশে যে বিশ্বে উদাহরণযোগ্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রয়েছে, তার বিরুদ্ধে উস্কানি দেয়া। আমি আশা করবো, তারা সেই পথ পরিহার করবেন। মনে রাখতে হবে, যখনই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা হয়েছে, তখনই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার তা কঠোর হস্তে দমন করেছে।’

ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের দেশের এক কোটি মানুষ ভারতে গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল। তৎকালীন ভারত সরকার তখন সর্বতোভাবে আমাদেরকে সহযোগিতা করেছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য তৎকালীন ভারত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ইন্দ্রিরা গান্ধী বিভিন্ন দেশে ছুটে গিয়েছিলেন। এবং আন্তর্জাতিক চাপ ও বিশ্ব জনমতের কারণেই পাকিস্তান বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল। এবং ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর আমরা স্বাধীনতা অর্জন করলেও ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি যেদিন জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলেন, সেদিনই প্রকৃতপক্ষে আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছিল।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন মুজিববর্ষকে সামনে রেখে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। মানুষ উন্মুখ হয়ে বসে আছে। ১৭ মার্চ মুজিববর্ষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের মান্যবর প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিকে বেশ কয়েকমাস আগে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। এবং প্রতিবেশি অনেক রাষ্ট্রকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যদি ভারতের অংশগ্রহণ না থাকে, আমি মনেকরি তাহলে মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটা পূর্ণতা পায় না। সুতরাং এখানে ভারতের অংশগ্রহণ ভারতের প্রধানমন্ত্রী মান্যবর প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

এসময় ‘বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে শিল্প হিসেবে গ্রহণ করার জন্য একটি উকিল নোটিশে’র বিষয়ে মন্তব্য চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রাটাই শুরু হয়েছে বাংলাদেশে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। বাংলাদেশে এর আগে প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেল ছিল না। গত এগারো বছরে এ সেক্টরে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। ১০টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ছিল, সেখান থেকে এখন ৩৪টি চ্যানেল চালু রয়েছে, সরকার ৪৫টির লাইসেন্স দিয়েছে।’

‘শুধু তাই নয়,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেবার পর থেকেই বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর নানাবিধ সমস্যা সমাধানে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছি’ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কারণ এ চ্যানেলগুলো শুধুমাত্র বিনোদনই দেয় না, দেশ, জাতি ও সমাজ গঠনে, নতুন প্রজন্মের মনন গঠনে, সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়া ও ভুলত্রুটি তুলে ধরার ক্ষেত্রে এ টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর ব্যাপক অবদান রয়েছে। ক্রমিকের বিষয়ে ক্যাবল অপারেটরদের হাতে জিম্মিদশা থেকে বেসরকারি টেলিভিশনগুলোকে মুক্ত করা হয়েছে, যেটি ১২ বছরে সম্ভবপর হয়নি, সেটি আমরা ৬ মাসে করতে সক্ষম হয়েছি।

অবৈধ ডিটিএইচের মাধ্যমে বিদেশি অনেক টেলিভিশন চ্যানেল দেখানো হচ্ছিল। এই অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে আমরা ইতোমধ্যেই অভিযান পরিচালনা করেছি। দেশের প্রচুর বিজ্ঞাপন বিদেশে চলে যাচিছল, সেটিও রোধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা ক্যাবল অপারেটিং সিস্টেম ডিজিটাল করার উদ্যোগ নিয়েছি, যদিও ক্যাবল অপারেটররা আমাদের দেয়া সময়সীমার মধ্যে করতে পারেনি। এবিষয়ে আমরা আরো কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছি, যাতে খুব সহসাই কেবল অপারেটিং সিস্টেমটা ডিজিটাল হয়। অর্থাৎ এখানে একটি শৃঙ্খলা স্থাপন করার জন্য আমরা প্রথম থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং আপনাদের সহযোগিতাও পাচ্ছি।’

তথ্যমন্ত্রী এসময় প্রশ্নকারী সাংবাদিককে প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ দেন এবং বলেন, উকিল নোটিশে’র বিষয়টি পুরো দেখলে আমি সেটির জবাব দিতে পারবো।

মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদানের জন্য ভারত সরকার প্রধানকে মুজিববর্ষে আমন্ত্রণ

প্রকাশিত সময় ০৮:৫১:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ মার্চ ২০২০

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে অন্য কোন দেশের যদি এককভাবে সবচেয়ে বেশি অবদান থাকে, সেটি হচ্ছে ভারত এবং ভারতের জনগণ।

মুক্তিযুদ্ধে এবং বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করার জন্য ভারতের যে অবদান, সেসমস্ত বিবেচনাতেই ভারতের মান্যবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’

মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে আগামী ১৭ মার্চ মুজিববর্ষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘নরেন্দ্র মোদি’র আগমন নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উত্থাপিত প্রশ্নের’ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন।

‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের এই ধরণের প্রশ্ন উপস্থাপন করার দু’টি উদ্দেশ্য আছে’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘একটি হচ্ছে তাদের রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্য ভারত বিরোধিতার ধারাবাহিকতা রক্ষা, আরেকটি হচ্ছে বাংলাদেশে যে বিশ্বে উদাহরণযোগ্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রয়েছে, তার বিরুদ্ধে উস্কানি দেয়া। আমি আশা করবো, তারা সেই পথ পরিহার করবেন। মনে রাখতে হবে, যখনই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা হয়েছে, তখনই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার তা কঠোর হস্তে দমন করেছে।’

ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের দেশের এক কোটি মানুষ ভারতে গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল। তৎকালীন ভারত সরকার তখন সর্বতোভাবে আমাদেরকে সহযোগিতা করেছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য তৎকালীন ভারত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ইন্দ্রিরা গান্ধী বিভিন্ন দেশে ছুটে গিয়েছিলেন। এবং আন্তর্জাতিক চাপ ও বিশ্ব জনমতের কারণেই পাকিস্তান বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল। এবং ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর আমরা স্বাধীনতা অর্জন করলেও ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি যেদিন জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলেন, সেদিনই প্রকৃতপক্ষে আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছিল।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন মুজিববর্ষকে সামনে রেখে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। মানুষ উন্মুখ হয়ে বসে আছে। ১৭ মার্চ মুজিববর্ষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের মান্যবর প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিকে বেশ কয়েকমাস আগে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। এবং প্রতিবেশি অনেক রাষ্ট্রকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যদি ভারতের অংশগ্রহণ না থাকে, আমি মনেকরি তাহলে মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটা পূর্ণতা পায় না। সুতরাং এখানে ভারতের অংশগ্রহণ ভারতের প্রধানমন্ত্রী মান্যবর প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

এসময় ‘বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে শিল্প হিসেবে গ্রহণ করার জন্য একটি উকিল নোটিশে’র বিষয়ে মন্তব্য চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রাটাই শুরু হয়েছে বাংলাদেশে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। বাংলাদেশে এর আগে প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেল ছিল না। গত এগারো বছরে এ সেক্টরে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। ১০টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ছিল, সেখান থেকে এখন ৩৪টি চ্যানেল চালু রয়েছে, সরকার ৪৫টির লাইসেন্স দিয়েছে।’

‘শুধু তাই নয়,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেবার পর থেকেই বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর নানাবিধ সমস্যা সমাধানে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছি’ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কারণ এ চ্যানেলগুলো শুধুমাত্র বিনোদনই দেয় না, দেশ, জাতি ও সমাজ গঠনে, নতুন প্রজন্মের মনন গঠনে, সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়া ও ভুলত্রুটি তুলে ধরার ক্ষেত্রে এ টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর ব্যাপক অবদান রয়েছে। ক্রমিকের বিষয়ে ক্যাবল অপারেটরদের হাতে জিম্মিদশা থেকে বেসরকারি টেলিভিশনগুলোকে মুক্ত করা হয়েছে, যেটি ১২ বছরে সম্ভবপর হয়নি, সেটি আমরা ৬ মাসে করতে সক্ষম হয়েছি।

অবৈধ ডিটিএইচের মাধ্যমে বিদেশি অনেক টেলিভিশন চ্যানেল দেখানো হচ্ছিল। এই অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে আমরা ইতোমধ্যেই অভিযান পরিচালনা করেছি। দেশের প্রচুর বিজ্ঞাপন বিদেশে চলে যাচিছল, সেটিও রোধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা ক্যাবল অপারেটিং সিস্টেম ডিজিটাল করার উদ্যোগ নিয়েছি, যদিও ক্যাবল অপারেটররা আমাদের দেয়া সময়সীমার মধ্যে করতে পারেনি। এবিষয়ে আমরা আরো কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছি, যাতে খুব সহসাই কেবল অপারেটিং সিস্টেমটা ডিজিটাল হয়। অর্থাৎ এখানে একটি শৃঙ্খলা স্থাপন করার জন্য আমরা প্রথম থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং আপনাদের সহযোগিতাও পাচ্ছি।’

তথ্যমন্ত্রী এসময় প্রশ্নকারী সাংবাদিককে প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ দেন এবং বলেন, উকিল নোটিশে’র বিষয়টি পুরো দেখলে আমি সেটির জবাব দিতে পারবো।