পাবিপ্রবিতে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন
- প্রকাশিত সময় ০২:২৩:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ মার্চ ২০২০
- / 131
প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন। তাঁর এ উদাত্ত আহবানে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি সশস্ত্র স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে- নয় মাসের যুদ্ধ শেষে স্বাধীনতা অর্জিত হয়।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যাল কর্তৃপক্ষ। দিবসটি পালন উপলক্ষে আজ শনিবার সকালে প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে র্যালি বের হয়। র্যালি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধু হলে গিয়ে শেষ হয়।
সেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. রোস্তম আলী, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ার খসরু পারভেজ ও রেজিস্ট্রার বিজন কুমান ব্রহ্ম।
এছাড়া আরো শ্রদ্ধা জানান বঙ্গবন্ধু পরিষদ, শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা পরিষদ, কর্মচারী পরিষদ, বঙ্গবন্ধু হল প্রশাসন, শেখ হাসিনা হল প্রশাসন, প্রক্টর অফিস, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তর ও ইতিহাস ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগ।
এসময় এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. রোস্তম আলী বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দান ছিল জনসমুদ্র। সারাদেশ থেকে স্বাধীনতাকামী বাঙালি তাদের প্রিয় নেতার কথা শোনার জন্য জড়ো হয়েছিল। মহানায়ক মঞ্চে উঠে ১৯ মিনিটের মহাকাব্যিক ভাষণে বাঙালির স্বাধীনতার ডাক দেন। তিনি বজ্রকন্ঠে বলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশা আল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ মূলত এই ভাষণই ছিল স্বাধীনতার ঘোষণা। তাঁর এই ভাষণে বাঙালি জাতি পায় স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা। তাঁর স্বাধীনতার ডাকে উজ্জীবিত হয়ে বাঙালি স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। নয়মাসের যুদ্ধে দেশ স্বাধীন হয়।
উপাচার্য মহোদয় আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ছিল সারাবিশ্বের নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের মুক্তির ডাক। ভাষণের পরতে পরতে লুকিয়ে আছে মানব মুক্তির আকাঙ্খা। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর একটি হিসেবে স্বীকৃত। তাই একে জাতিসংঘের, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা-ইউনেসকো বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ নিয়ে গবেষণা করতে হবে। মানবমুক্তি ছিল বঙ্গবন্ধুর অন্যতম লক্ষ। তাঁর আদর্শ বুকে ধারণ করে দেশ গড়ার কারিগর হয়ে উঠতে হবে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে। তবেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।
ড. মোঃ হাবিবুল্লাহর সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ কর্মকর্তা, কর্মচারীরা। শেষে বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।