সিকৃবিতে ‘একুশে পদকপ্রাপ্ত’ কৃষিবিদদের সংবর্ধনা
- প্রকাশিত সময় ০৩:৩৫:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মার্চ ২০২০
- / 113
মিজানুর রহমান, সিলেটঃ কৃষি গবেষণার অগ্রগতির জন্যই কৃষি উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। ৪৮ বছরে বিশ্বব্যাপী খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধিরহার ২.৪ শতাংশ হারে বাড়লেও বাংলাদেশে এ বৃদ্ধির হার ৩ শতাংশ যার কৃতিত্ব কৃষিবিদদের। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষিশিক্ষা, গবেষণা ও সম্প্রসারণের ভিত তৈরি করে গিয়েছিলেন বলেই দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
১০ মার্চ মঙ্গলবার সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ২০২০ সালের একুশে পদক প্রাপ্ত কৃষিবিদদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
এসময় তারা বলেন, মুক্ত বাজার অর্থনীতির যুগে টিকতে হলে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা ও গবেষণায় মনোযোগী হতে হবে।
কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন প্রফেসর ড. জীবন কৃষ্ণ সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আহবায়ক এবং কৃষি অর্থনীতি ও পলিসি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জসিম উদ্দিন আহম্মদ।
সংবর্ধিত অথিতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজ, বাংলাদেশ এর ভাইস-চ্যান্সেলর বীর মুক্তিযোদ্ধা বরেণ্য কৃষি অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মো: জাহাঙ্গীর আলম খাঁন, বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) দেশ বরেণ্য কৃষি অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. শামসুল আলম।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিকৃবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো: মতিয়ার রহমান হাওলাদার।
সংবর্ধিত অতিথি ড. জাহাঙ্গীর আলম তাঁর অভিব্যক্তি ব্যক্ত করে বলেন, কৃষি গবেষণার জন্য প্রথমবারের মত একুশে পদক পাওয়ায় আগামী প্রজন্মের কৃষিবিদদের কৃষি অর্থনীতিতে গবেষণায় প্রেরণা জোগাবে। সরকারের ডেল্টা প্ল্যানের রূপকার ড. শামসুল আলম তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বলেন সরকারের রূপকল্প ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য খাদ্য ও পুষ্টির নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে। রূপকল্প বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কৃষি খাতকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, কল্যাণমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে ২০৪১ সালের মধ্যে কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন দ্বিগুন করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় কৃষিখাতকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিকৃবির ভাইস-চ্যান্সেলর ড. মতিয়ার বলেন, উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হলে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় মনোনিবেশ করতে হবে। মানসম্পন্ন দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরির মাধ্যমে ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
সবশেষে প্রধান অতিথি সংবর্ধিত অতিথিদের উত্তরীয়, ক্রেস্ট ও পোর্টেট স্কেচ) স্মারক উপহার স্বরূপ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) দেশ বরেণ্য কৃষি অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. শামসুল আলমকে “একুশে পদক (অর্থনীতি)-২০২০” এবং কৃষি ও পল্লী উন্নয়নের বিভিন্ন শাখায় আর্থ-সামাজিক গবেষণা পরিচালনার ক্ষেত্রে একজন সফল গবেষক ও পথ প্রদর্শক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজ, বাংলাদেশ এর ভাইস-চ্যান্সেলর বীর মুক্তিযোদ্ধা বরেণ্য কৃষি অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মো: জাহাঙ্গীর আলম খাঁন “একুশে পদক (গবেষণা)-২০২০” প্রদান করা হয়েছে।