ঢাকা ০৭:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

নদী ব্যবস্থাপনার টেকসই কৌশলের উপর জাইকা ও পানি উন্নয়ন বোর্ড মঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১১:০৯:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ মার্চ ২০২০
  • / 142

আজ ১১ মার্চ বুধবার পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) সাথে The Project for Planning Capacity Enhancement and Establishment of a Technology Adaptation Cycle on Comprehensive Nodi (River) Management শীর্ষক প্রকল্পের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

নদী ব্যবস্থাপনার টেকসই কৌশল এবং ব্যবস্থাপনা উপর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাতামুহুরী,সাঙ্গু ও কর্ণফুলি নদী এবং যমুনা-পদ্মার অববাহিকা প্রকল্প এলাকা হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে।

জাইকার অর্থায়নে প্রায় ৪০ কোটি টাকার এই প্রকল্প সম্পর্কে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জনাব জাহিদ ফারুক,এমপি বলেন- “প্রকল্পটির লক্ষ্য অর্জিত হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার শতবর্ষের ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নকে বেগবান করবে। জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে তাঁর সুযোগ্যকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নিরলসভাবে যে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তাতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে জাইকা বাংলাদেশের অধিকাংশ উন্নয়ন কাজে সহযোগিতা আরো প্রসারিত করেছে।“

এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের মান্যবর রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো, পানি সম্পদ সচিব জনাব কবির বিন আনোয়ার,পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক জনাব এ এম আমিনুল হক,জাইকার প্রতিনিধি সদস্য ও মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পরে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম,এমপি বলেন-৪৮ বছর ধরে জাপান বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার।এই প্রকল্পের আওতায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও নদীর তীর সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনার নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হবে। নির্দেশনা অনুযায়ী JICA এর অর্থায়নে পাইলট প্রকল্প গৃহীত হবে যার লব্ধ জ্ঞান দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে সহায়তা করবে।

জাইকার প্রধান প্রতিনিধি জনাব রাও কি হিতো বলেন, জাপান নিজে দুর্যোগপ্রবণ হওয়ায় দুর্যোগ নিয়ে এতো কাজ করে থাকে। জাইকার এই প্রকল্পের মাধ্যমে ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে বাংলাদেশ আরো অগ্রগামী হবে যেখানে নদীর প্রতিরক্ষামূলক কৌশলকে প্রাধান্য দেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে জাপান-বাংলাদেশে সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত কারিগরি সহযোগিতা চুক্তির আওতায় কারিগরি সহযোগিতা লক্ষ্যে JICA ২০১৮ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রকল্পের জন্য অনুরোধ জানায়। এই প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড উক্ত প্রকল্পের প্রস্তাব প্রেরণ করলে জাপান সরকার কর্তৃক তা অনুমোদিত হয়। পরবর্তীতে JICA কর্তৃক প্রেরিত প্রতিনিধি দলের সাথে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দের মতবিনিময়ের ধারাবাহিকতায় জুলাই ২০২০ থেকে জুন ২০২৪ পর্যন্ত বাস্তবায়নকাল নিয়ে প্রকল্পটির Records of Discussion স্বাক্ষরিত হয়। জাপানী অর্থ-বছর ২০২০ এ কারিগরি সহায়তার জন্য প্রস্তাবিত আরো ৩ টি প্রকল্প জাপান সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

নদী ব্যবস্থাপনার টেকসই কৌশলের উপর জাইকা ও পানি উন্নয়ন বোর্ড মঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

প্রকাশিত সময় ১১:০৯:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ মার্চ ২০২০

আজ ১১ মার্চ বুধবার পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) সাথে The Project for Planning Capacity Enhancement and Establishment of a Technology Adaptation Cycle on Comprehensive Nodi (River) Management শীর্ষক প্রকল্পের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

নদী ব্যবস্থাপনার টেকসই কৌশল এবং ব্যবস্থাপনা উপর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাতামুহুরী,সাঙ্গু ও কর্ণফুলি নদী এবং যমুনা-পদ্মার অববাহিকা প্রকল্প এলাকা হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে।

জাইকার অর্থায়নে প্রায় ৪০ কোটি টাকার এই প্রকল্প সম্পর্কে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জনাব জাহিদ ফারুক,এমপি বলেন- “প্রকল্পটির লক্ষ্য অর্জিত হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার শতবর্ষের ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নকে বেগবান করবে। জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে তাঁর সুযোগ্যকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নিরলসভাবে যে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তাতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে জাইকা বাংলাদেশের অধিকাংশ উন্নয়ন কাজে সহযোগিতা আরো প্রসারিত করেছে।“

এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের মান্যবর রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো, পানি সম্পদ সচিব জনাব কবির বিন আনোয়ার,পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক জনাব এ এম আমিনুল হক,জাইকার প্রতিনিধি সদস্য ও মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পরে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম,এমপি বলেন-৪৮ বছর ধরে জাপান বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার।এই প্রকল্পের আওতায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও নদীর তীর সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনার নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হবে। নির্দেশনা অনুযায়ী JICA এর অর্থায়নে পাইলট প্রকল্প গৃহীত হবে যার লব্ধ জ্ঞান দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে সহায়তা করবে।

জাইকার প্রধান প্রতিনিধি জনাব রাও কি হিতো বলেন, জাপান নিজে দুর্যোগপ্রবণ হওয়ায় দুর্যোগ নিয়ে এতো কাজ করে থাকে। জাইকার এই প্রকল্পের মাধ্যমে ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে বাংলাদেশ আরো অগ্রগামী হবে যেখানে নদীর প্রতিরক্ষামূলক কৌশলকে প্রাধান্য দেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে জাপান-বাংলাদেশে সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত কারিগরি সহযোগিতা চুক্তির আওতায় কারিগরি সহযোগিতা লক্ষ্যে JICA ২০১৮ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রকল্পের জন্য অনুরোধ জানায়। এই প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড উক্ত প্রকল্পের প্রস্তাব প্রেরণ করলে জাপান সরকার কর্তৃক তা অনুমোদিত হয়। পরবর্তীতে JICA কর্তৃক প্রেরিত প্রতিনিধি দলের সাথে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দের মতবিনিময়ের ধারাবাহিকতায় জুলাই ২০২০ থেকে জুন ২০২৪ পর্যন্ত বাস্তবায়নকাল নিয়ে প্রকল্পটির Records of Discussion স্বাক্ষরিত হয়। জাপানী অর্থ-বছর ২০২০ এ কারিগরি সহায়তার জন্য প্রস্তাবিত আরো ৩ টি প্রকল্প জাপান সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।