ঢাকা ০৪:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ঝালকাঠি স্কয়ার ক্লিনিকের ভুল চিকিৎসায় এক রোগী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত সময় ০৯:৩০:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ মার্চ ২০২০
  • / 227

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠি স্কয়ার ক্লিনিকের ভুল চিকিৎসায় এক রোগী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মুমূর্ষু নাসরিন আক্তার ইতিকে ঝালকাঠি স্কয়ার ক্লিনিক থেকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বরিশাল থেকে এক দিন পর ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।

নাসরিন আক্তার ইতি ঝালকাঠি পৌরসভার কৃষ্ণকাঠির কাওসার হোসেনের স্ত্রী।

গত ১৫ মার্চ সকালে ঝালকাঠি গুরুধাম ব্রিজ সংলগ্ন স্কয়ার ক্লিনিকে বাচ্চা প্রসবের জন্য ভর্তি হয়েছিলেন। ক্লিনিকে দায়িত্বরত ডাক্তার রোগীকে জানান তাকে সিজার করে বচ্চা প্রসব করাতে হবে। রোগীর প্রেসার লো থাকা অবস্থায় ঐ দিন দুপুরে সিজার করলে রোগী স্টক করে বলে জানান রোগীর স্বামী কাওসার হোসেন। পরে তড়িঘড়ি করে রোগীকে অজ্ঞান অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে আইসিইউতে প্রেরণ করেন স্কয়ার ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। সেখানে একদিন রাখার পর অবস্থার অবনতি হলে রোগীকে ঢাকা জেনারেল কিডনি হাসপাতাল এ প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে রোগী ঢাকায় জীবন মরণ সন্ধিক্ষনে রয়েছেন।

কর্তব্যরত নার্স সোনিয়া সাংবাদিকদের জানান, আমাদের এখানে সিজার হওয়ার পর রোগী ইতির অবস্থা অবনতি হলে ক্লিনিকের তত্ত্বাবধানে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ক্লিনিকের মালিক পক্ষের মো: মামুন জানান, রোগীর ভাল মন্দ দেখার দায়িত্ব ডাক্তারদের, আমাদের না। আমরা শুধু রুম ভাড়া নিয়ে থাকি। কোন সমস্যা হলে রোগীর অভিভাবকের সাথে আমরা বোঝাপাড়া করব। এতে সাংবাদিকদের কাজ কি? তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা কেন আসছেন? আপনারা নিউজ করলে কিছুই হবে না। আমি প্রশাসনের সাথে বোঝাপাড়া করব।

রোগীর স্বামী মো: কাওসার কান্না জড়িতকণ্ঠে জানান, আমার স্ত্রীকে ক্লিনিকের ওরা মেরে ফেলছে। আমার স্ত্রী বাঁচবে না। ক্লিনিকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সামগ্রী নাই। যোগ্য ডাক্তার দ্বারা সিজার করানো হয়নি। এর আগেও এখানে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। আপনারা আমাদের একটু সহযোগীতা করুন।

এ ব্যাপারে রোগীর চিকিৎসকদের পক্ষ হতে সুষ্পষ্ট কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পরে ক্লিনিকের সামনে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

ঝালকাঠি স্কয়ার ক্লিনিকের ভুল চিকিৎসায় এক রোগী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে

প্রকাশিত সময় ০৯:৩০:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ মার্চ ২০২০

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠি স্কয়ার ক্লিনিকের ভুল চিকিৎসায় এক রোগী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মুমূর্ষু নাসরিন আক্তার ইতিকে ঝালকাঠি স্কয়ার ক্লিনিক থেকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বরিশাল থেকে এক দিন পর ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।

নাসরিন আক্তার ইতি ঝালকাঠি পৌরসভার কৃষ্ণকাঠির কাওসার হোসেনের স্ত্রী।

গত ১৫ মার্চ সকালে ঝালকাঠি গুরুধাম ব্রিজ সংলগ্ন স্কয়ার ক্লিনিকে বাচ্চা প্রসবের জন্য ভর্তি হয়েছিলেন। ক্লিনিকে দায়িত্বরত ডাক্তার রোগীকে জানান তাকে সিজার করে বচ্চা প্রসব করাতে হবে। রোগীর প্রেসার লো থাকা অবস্থায় ঐ দিন দুপুরে সিজার করলে রোগী স্টক করে বলে জানান রোগীর স্বামী কাওসার হোসেন। পরে তড়িঘড়ি করে রোগীকে অজ্ঞান অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে আইসিইউতে প্রেরণ করেন স্কয়ার ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। সেখানে একদিন রাখার পর অবস্থার অবনতি হলে রোগীকে ঢাকা জেনারেল কিডনি হাসপাতাল এ প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে রোগী ঢাকায় জীবন মরণ সন্ধিক্ষনে রয়েছেন।

কর্তব্যরত নার্স সোনিয়া সাংবাদিকদের জানান, আমাদের এখানে সিজার হওয়ার পর রোগী ইতির অবস্থা অবনতি হলে ক্লিনিকের তত্ত্বাবধানে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ক্লিনিকের মালিক পক্ষের মো: মামুন জানান, রোগীর ভাল মন্দ দেখার দায়িত্ব ডাক্তারদের, আমাদের না। আমরা শুধু রুম ভাড়া নিয়ে থাকি। কোন সমস্যা হলে রোগীর অভিভাবকের সাথে আমরা বোঝাপাড়া করব। এতে সাংবাদিকদের কাজ কি? তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা কেন আসছেন? আপনারা নিউজ করলে কিছুই হবে না। আমি প্রশাসনের সাথে বোঝাপাড়া করব।

রোগীর স্বামী মো: কাওসার কান্না জড়িতকণ্ঠে জানান, আমার স্ত্রীকে ক্লিনিকের ওরা মেরে ফেলছে। আমার স্ত্রী বাঁচবে না। ক্লিনিকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সামগ্রী নাই। যোগ্য ডাক্তার দ্বারা সিজার করানো হয়নি। এর আগেও এখানে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। আপনারা আমাদের একটু সহযোগীতা করুন।

এ ব্যাপারে রোগীর চিকিৎসকদের পক্ষ হতে সুষ্পষ্ট কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পরে ক্লিনিকের সামনে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়।