ঢাকা ০৩:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ভাঙ্গুড়ায় মেডিকেল অফিসারদের চিকিৎসা অনীহায় বিপাকে রোগী

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০১:০৭:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ ২০২০
  • / 137

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে রোগীদের চিকিৎসা পরামর্শ না দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া বিভিন্ন কারন দেখিয়ে ডাক্তাররা নিজ নিজ কক্ষ ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছে।

গত মঙ্গলবার ও বুধবার তারা বর্হিবিভাগে ঠিকমত রোগীদের পরামর্শ না দেয়ায় ফিরে গেছেন অনেক রোগী। তবে ডাক্তারেরা জানিয়েছেন দেশে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তাদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা ব্যবস্থা অপ্রতুল হওয়ায় তারা রোগী দেখা কমিয়ে দিয়েছেন।

গত বুধবার ২৫ মার্চ সকাল ১১টার দিকে গিয়ে দেখা যায় সকল মেডিকেল অফিসারের চেয়ার শূন্য তারা কেউই তাদের কক্ষে নেই। রোগীদের প্রচুর ভীড়। তবে এ সময় উপ সহকারী মেডিকেল অফিসারদের চিকিৎসা দিতে দেখা যায়।

রোগীরা চিকিৎসকদের খোজ করলে পাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় তারা মিটিংয়ে রয়েছে। ফলে রোগীরা বাধ্য হয়ে উপ সহকারী মেডিকেল অফিসারদের নিকট চিকিৎসা নিচ্ছে। বর্তমানে উপজেলায় মোট ২২ জন প্রবাসী হোম কোয়রেনটাইনে রয়েছেন। এছাড়া হাসপাতালে আইসোলেশনের জন্য চারটি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবসের কারণে বর্হিবিভাগ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উপসহকারী মেডিকেল অফিসার বলেন, করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই মেডিকেল অফিসাররা রোগী দেখতে অনীহা প্রকাশ করছেন। কিন্তু উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চাপে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়েই উপসহকারী মেডিকেল অফিসারদের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এতে তাদের ওপর রোগীদের প্রচন্ড চাপ পড়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে মেডিকেল অফিসারদের না পেয়ে ক্ষোভের এক রোগী বলেন, গত দুইদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছি। কিন্তু কোনো ডাক্তারকে পাইনি। শুনেছি তারা নাকি মিটিংয়ে ব্যস্ত। তাই পরে উপসহকারী মেডিকেল অফিসারকে দিয়ে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরছি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম বলেন, বর্তমানে চিকিৎসকরা নিজেদের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। নিজেদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি না থাকায় চিকিৎসকরা রোগী দেখতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তবে অসুস্থ ব্যক্তিদেরকে আন্তঃবিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া সর্দি-জ্বরের রোগীদেরকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ফোনে জানিয়ে তারপরে আসতে বলা হয়েছে।

ভাঙ্গুড়ায় মেডিকেল অফিসারদের চিকিৎসা অনীহায় বিপাকে রোগী

প্রকাশিত সময় ০১:০৭:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ ২০২০

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে রোগীদের চিকিৎসা পরামর্শ না দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া বিভিন্ন কারন দেখিয়ে ডাক্তাররা নিজ নিজ কক্ষ ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছে।

গত মঙ্গলবার ও বুধবার তারা বর্হিবিভাগে ঠিকমত রোগীদের পরামর্শ না দেয়ায় ফিরে গেছেন অনেক রোগী। তবে ডাক্তারেরা জানিয়েছেন দেশে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তাদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা ব্যবস্থা অপ্রতুল হওয়ায় তারা রোগী দেখা কমিয়ে দিয়েছেন।

গত বুধবার ২৫ মার্চ সকাল ১১টার দিকে গিয়ে দেখা যায় সকল মেডিকেল অফিসারের চেয়ার শূন্য তারা কেউই তাদের কক্ষে নেই। রোগীদের প্রচুর ভীড়। তবে এ সময় উপ সহকারী মেডিকেল অফিসারদের চিকিৎসা দিতে দেখা যায়।

রোগীরা চিকিৎসকদের খোজ করলে পাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় তারা মিটিংয়ে রয়েছে। ফলে রোগীরা বাধ্য হয়ে উপ সহকারী মেডিকেল অফিসারদের নিকট চিকিৎসা নিচ্ছে। বর্তমানে উপজেলায় মোট ২২ জন প্রবাসী হোম কোয়রেনটাইনে রয়েছেন। এছাড়া হাসপাতালে আইসোলেশনের জন্য চারটি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবসের কারণে বর্হিবিভাগ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উপসহকারী মেডিকেল অফিসার বলেন, করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই মেডিকেল অফিসাররা রোগী দেখতে অনীহা প্রকাশ করছেন। কিন্তু উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চাপে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়েই উপসহকারী মেডিকেল অফিসারদের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এতে তাদের ওপর রোগীদের প্রচন্ড চাপ পড়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে মেডিকেল অফিসারদের না পেয়ে ক্ষোভের এক রোগী বলেন, গত দুইদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছি। কিন্তু কোনো ডাক্তারকে পাইনি। শুনেছি তারা নাকি মিটিংয়ে ব্যস্ত। তাই পরে উপসহকারী মেডিকেল অফিসারকে দিয়ে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরছি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম বলেন, বর্তমানে চিকিৎসকরা নিজেদের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। নিজেদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি না থাকায় চিকিৎসকরা রোগী দেখতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তবে অসুস্থ ব্যক্তিদেরকে আন্তঃবিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া সর্দি-জ্বরের রোগীদেরকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ফোনে জানিয়ে তারপরে আসতে বলা হয়েছে।