পাবনার ঈশ্বরদীতে এক শিশু স্কুল শিক্ষার্থী গণধর্ষণের স্বীকার: আটক-১
- প্রকাশিত সময় ০৫:৩৪:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ মার্চ ২০২০
- / 115
বার্তা সংস্থা পিপঃ পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের গোয়াল বাথান গ্রামের ৫ম শ্রেনীর এক স্কুল শিক্ষার্থী গণ ধর্ষণের স্বীকার হয়েছে। রবিবার রাতে বাড়ির পাশে প্রতিবেশীর এক আত্মিয়ার নতুন বউ দেখে বাড়ি ফেরার পথে তাকে ধর্ষন করে অত্র এলাকার দুইযুবক।
ঘটনার বিষয়ে পরিবারের অভিভাবক ভীকটিমের বাবা ভ্যানচালক জানান, এলাকার মধ্যেই এক আত্মিয়ার বাড়িতে নতুন বউ দেখ সন্ধ্যার পরে বাড়িতে ফিরছিলো আমার মেয়ে। পথের মধ্যে একই এলাকার চিহিৃত দুই যুবক নিজাম উদ্দিনের ছেলে জাহিদ হোসেন (২০) ও মৃত আজিবর হোসেনের ছেলে শান্ত হোসেন চেতনানাশক কিছু আমার মেয়ের মুখে দিয়ে আমার মেয়েকে নির্যন স্থানে তুলে নিয়ে যায়। গ্রামের একটি আম বাগানের মধ্যে আমার মেয়েকে তারা জোর পূর্বক ধর্ষন করে।
এই ধর্ষকেরা এর আগেও আমার মেয়ের স্কুলে যাওয়া আসার পথে মেয়েকে নানাভাবে উক্তত্য করতো। তাদেরকে মৌখিক ভাবে নিষেধ করা হয়েছিলো। কিন্তু তারা আমরা মেয়ের এই সর্বনাষ করেছে। রাতে মেয়ে বাড়িতে না আসলে এলাকার সকল স্থানে খোঁজকরি। কোথাও না পেয়ে রাতে ঈশ্বরদী থানাতে বিষটি অবহিতকরি। সকালে বাড়ির পিছে পুকুর পারে আমার মেয়েকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় উদ্ধারকরি। সকালে তাকে নিয়ে থানাতে গিয়ে মামলা দায়ের করেছি।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী ঘটনার সত্যাতা স্বীকার করে জানান, প্রাথমিক ভাবে মেয়েটির ধর্ষনের সত্যতা পাওয়া গেছে। রাতে মেয়েটিকে পাওয়া যাচ্ছেনা মৈখিক অভিযোগ পেয়েছিলাম। সকালে পরিবারের সদস্যরা মেয়েটিকে উদ্ধারকরে থানাতে নিয়ে আসে। ধর্ষনের স্বীকার মেয়েটির সাথে কথাবলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। মেয়েটির মা নিজে বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানাতে দুইজনের নাম উল্লেখ করে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেছে। সকালে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত মামলার প্রধান আসামী মুলাডুলি গোয়াল বাথান গ্রামের নিজাম হোসেনের ছেলে জাহিদ হোসেন(২০)কে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর অপর ধর্ষক একই এলাকার মৃত, আজিবর হোসেনের ছেলেশান্ত (২২) পলাতক রয়েছে।
এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত অরবিন্দ সরকার বলেন, মামলার পরে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে। একজনকে ইতমধ্যে গ্রেফকার করা হয়েছে অর অপর ধর্ষকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
মেয়েটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই দুই ধর্ষক একজন কাঠমিস্ত্রী আর অপরএকজন ট্রাকের হেলপার বলে জানাগেছে। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার পরে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।