ঢাকা ০৪:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

রেল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সরকারী নির্দেশনা না মানার অভিযোগ বিক্ষুব্ধ ঈশ্বরদীর শ্রমিক-কর্মচারী

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০১:২৯:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ ২০২০
  • / 89

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ রেলওয়ে কর্মকর্তদের বিরুদ্ধে সরকারী নির্দেশনা না মেনে কাজ করানোর অভিযোগ করেছে ঈশ্বরদী লোকসেডে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীরা। সামাজিক দূরুত্ব না মানা এবং প্রয়োজনীয় পোশাক না থাকায় করোানা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা করছেন তারা।

ঈশ্বরদী লোকসেডে কর্মরত শ্রমিকরা জানান, এই মহামারী নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার ১০ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষনা এবং জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর হতে বের না হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। সকল গণপরিবহণ বন্ধ। রেলের সকল যাত্রীবাহী ট্রেনও বন্ধ। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কিছু মালবাহী ট্রেন, তেলবাহী বিটিও, পণ্যবহণকারী কন্টেইনার ট্রেন এবং খাদ্য দ্রব্যবহণকারী মালগাড়ী চলাচল করবে। কিন্তু পশ্চিম রেলের পাকশী বিভাগের রেল কর্তৃপক্ষ সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে পাথরবাহী মালগাড়ী চালাচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন। এই মালবাহী ট্রেনগুলোর এলএম, এএলএম, লোকসেড ও ক্যারেজের ফিটিং ষ্টাফসহ অন্যান্যদের অনিচ্ছা স্বত্তেও কর্মকর্তরা জোর করে পাথর বহন ও অপ্রয়োজনীয় ট্রেন বর্তমানে চালিয়ে যাচ্ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলএম, এএলএম, ও ক্যারেজ ফিটিং ষ্টাফরা জানান, এই বাড়তি ট্রেনগুলো চালাতে গিয়ে নানা রকম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সামাজিক দূরুত্ব বজায় না রেখে একসাথে কাজ করতে হচ্ছে। লকডাউন অবস্থায় এমন কিছু জায়গায় ট্রেন গুলো নিয়ে যেতে হচ্ছে, যেখানে বিশ্রাম ও খাওয়ার ব্যবস্থা নেই। এই অবস্থায় চাকরি করতে গিয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

এব্যাপারে পাকশী বিভাগীয় লেকোমেটিভ প্রকৌশলী অসীম কুমার মন্ডল বলেন, রেলপথ বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস) কর্তৃক প্রেরীত পত্রে রেল ইঞ্জিনের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের কথা বলা হয়েছে। এই কাজে সামাজিক দূরুত্ব না থাকলেও চাকরী হারানোর ভয়ে শ্রমিক-কর্মচারীরা বাধ্য হয়ে কর্মস্থলে আসতে বাধ্য হচ্ছে।

এব্যাপারে রেল শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, এডিজি’র চিঠির প্রেক্ষিতে রাজশাহী হতে রেলের পশ্চিমা লের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা এসে সিডিউল ক্লিপ (নিয়মিত ইঞ্জিনের কাজকর্ম) করে গেছেন। সিডিউলের কাজ করতে প্রতিদিনই ঈশ্বরদী লোকোসেডে একসাথে জমায়েত হতে হচ্ছে। সরকার বলছে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখার কথা। ইঞ্জিনের সিডিউল করতে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখা সম্ভব না। কাজের সময় সামাজিক দূরুত্ব বজায় না থাকায় করোনা ভাইরাসের আশংকায় ঈশ্বরদী লোকসেডে কর্মরত কর্মচারীরা চরমভাবে ভীত বলে তিনি জানিয়েছেন।

রেল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সরকারী নির্দেশনা না মানার অভিযোগ বিক্ষুব্ধ ঈশ্বরদীর শ্রমিক-কর্মচারী

প্রকাশিত সময় ০১:২৯:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ ২০২০

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ রেলওয়ে কর্মকর্তদের বিরুদ্ধে সরকারী নির্দেশনা না মেনে কাজ করানোর অভিযোগ করেছে ঈশ্বরদী লোকসেডে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীরা। সামাজিক দূরুত্ব না মানা এবং প্রয়োজনীয় পোশাক না থাকায় করোানা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা করছেন তারা।

ঈশ্বরদী লোকসেডে কর্মরত শ্রমিকরা জানান, এই মহামারী নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার ১০ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষনা এবং জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর হতে বের না হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। সকল গণপরিবহণ বন্ধ। রেলের সকল যাত্রীবাহী ট্রেনও বন্ধ। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কিছু মালবাহী ট্রেন, তেলবাহী বিটিও, পণ্যবহণকারী কন্টেইনার ট্রেন এবং খাদ্য দ্রব্যবহণকারী মালগাড়ী চলাচল করবে। কিন্তু পশ্চিম রেলের পাকশী বিভাগের রেল কর্তৃপক্ষ সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে পাথরবাহী মালগাড়ী চালাচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন। এই মালবাহী ট্রেনগুলোর এলএম, এএলএম, লোকসেড ও ক্যারেজের ফিটিং ষ্টাফসহ অন্যান্যদের অনিচ্ছা স্বত্তেও কর্মকর্তরা জোর করে পাথর বহন ও অপ্রয়োজনীয় ট্রেন বর্তমানে চালিয়ে যাচ্ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলএম, এএলএম, ও ক্যারেজ ফিটিং ষ্টাফরা জানান, এই বাড়তি ট্রেনগুলো চালাতে গিয়ে নানা রকম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সামাজিক দূরুত্ব বজায় না রেখে একসাথে কাজ করতে হচ্ছে। লকডাউন অবস্থায় এমন কিছু জায়গায় ট্রেন গুলো নিয়ে যেতে হচ্ছে, যেখানে বিশ্রাম ও খাওয়ার ব্যবস্থা নেই। এই অবস্থায় চাকরি করতে গিয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

এব্যাপারে পাকশী বিভাগীয় লেকোমেটিভ প্রকৌশলী অসীম কুমার মন্ডল বলেন, রেলপথ বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস) কর্তৃক প্রেরীত পত্রে রেল ইঞ্জিনের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের কথা বলা হয়েছে। এই কাজে সামাজিক দূরুত্ব না থাকলেও চাকরী হারানোর ভয়ে শ্রমিক-কর্মচারীরা বাধ্য হয়ে কর্মস্থলে আসতে বাধ্য হচ্ছে।

এব্যাপারে রেল শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, এডিজি’র চিঠির প্রেক্ষিতে রাজশাহী হতে রেলের পশ্চিমা লের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা এসে সিডিউল ক্লিপ (নিয়মিত ইঞ্জিনের কাজকর্ম) করে গেছেন। সিডিউলের কাজ করতে প্রতিদিনই ঈশ্বরদী লোকোসেডে একসাথে জমায়েত হতে হচ্ছে। সরকার বলছে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখার কথা। ইঞ্জিনের সিডিউল করতে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখা সম্ভব না। কাজের সময় সামাজিক দূরুত্ব বজায় না থাকায় করোনা ভাইরাসের আশংকায় ঈশ্বরদী লোকসেডে কর্মরত কর্মচারীরা চরমভাবে ভীত বলে তিনি জানিয়েছেন।