ঢাকা ১১:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ২৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার এত কম কেন!

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৩:৫৪:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল ২০২০
  • / 225

ডেস্ক নিউজঃ বিশ্বের যে দেশগুলোর মানুষ ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে সেই দেশগুলোতে সংক্রমণ বৃদ্ধি ও মৃত্যুর হারের সাথে বাংলাদেশের একটি ব্যাপক পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়েছে।

সরকারি সংস্থা আইইডিসিআর বুধবার দেশটিতে ষষ্ঠ ব্যক্তির মারা যাওয়ার তথ্য দিয়েছে। এ নিয়ে শেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন দুজন সহ দেশে মোট আক্রান্ত রোগী সংখ্যা ৫৬ জন।

অথচ বিপুল ঘনবসতি, স্বাস্থ্য খাতের সক্ষমতার অভাব এবং সাধারণ মানুষের পরিচ্ছন্নতাজনিত অনভ্যাসের কারণে বাংলাদেশে ভাইরাসটির মারাত্মকভাবে সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।

চীনের উহানে ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত করা হয়েছিল গত ডিসেম্বরের শেষে। জানুয়ারির শেষ দিকে চীনের সকল প্রদেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের জন্স হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যমতে, চীনের ৮২ হাজারের বেশি রোগীই ছিল তখন সংখ্যায় সর্বাধিক।

খুব দ্রুতই চীনের আশেপাশে বিভিন্ন দেশে ভাইরাসটি ছড়াতে শুরু করে। চীনের পরেই দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে থাকে।

ইউরোপে সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ইতালি। জন্স হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যমতে জানুয়ারির শেষে ইতালিতে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে ৫৯ দিনে এখনো পর্যন্ত সব মিলিয়ে এক লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ৬৭ দিনে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় দেড় লাখের বেশি মানুষ।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরিমাণে আক্রান্ত দেশগুলো যেমন স্পেন, ইরান, যুক্তরাজ্যসহ প্রায় সব দেশেই ভাইরাসটি সংক্রমণের হারের ক্ষেত্রে ক্রমান্বয়ে ঊর্ধ্বগতিই দেখা গেছে।
বাংলাদেশে প্রথম শনাক্তকৃত করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি ছিলেন একজন ইতালি ফেরত প্রবাসী। কিন্তু ইতালি থেকে আসা সেই একই ভাইরাস বাংলাদেশে কী ভিন্ন আচরণ করছে? এর সম্ভাব্য কারণ কি হতে পারে?

ভাইরোলজিষ্ট অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশে ভাইরাসটির আচরণ অন্য দেশগুলোর সাথে মিলছে না কেন সেটা নিয়ে আমিও চিন্তা করছি। এখানে ভাইরাসটি এসেছে ইতালি থেকে। যেটি ইতালিতে মহামারীর কারণ হয়ে দাঁড়ালো সেটি আমাদের এখানে তেমন কিছুই করছে না এরকম একটা ব্যাপার পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিষয়টি আমার কাছেও বোধগম্য হচ্ছে না।”

“তবে উহান থেকে যে ভাইরাসটির উৎপত্তি হয়েছিল তা কিন্তু পরিবর্তিত হয়েছে। কিছু দেশে তাই একই ধরনের সংক্রমণের প্যাটার্ন দেখা গেছে। অন্য কোথাও আবার একটু ভিন্ন। আমাদের ভাইরাসটি উহান থেকে আসেনি।”

তিনি আরো বলেন, “জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ অনেক দেশে হয়েছে, কিন্তু কেবল একটি দেশেই মাইক্রোকেফালি দেখা দিল। সেটি হচ্ছে ব্রাজিল।”

“আরেকটি ভাইরাসের উৎপত্তি মালয়েশিয়াতে। সেটি হচ্ছে নিপাহ ভাইরাস। যেটা বাংলাদেশে আসে ১৯৯৯ সালের দিকে এবং বাংলাদেশেই ঘোরাফেরা করছে। আসলে যথেষ্ট গবেষণা ছাড়া ভাইরাসের চরিত্র বিশ্লেষণ করা কঠিন।”

সূত্রঃ বিবিসি

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার এত কম কেন!

প্রকাশিত সময় ০৩:৫৪:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল ২০২০

ডেস্ক নিউজঃ বিশ্বের যে দেশগুলোর মানুষ ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে সেই দেশগুলোতে সংক্রমণ বৃদ্ধি ও মৃত্যুর হারের সাথে বাংলাদেশের একটি ব্যাপক পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়েছে।

সরকারি সংস্থা আইইডিসিআর বুধবার দেশটিতে ষষ্ঠ ব্যক্তির মারা যাওয়ার তথ্য দিয়েছে। এ নিয়ে শেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন দুজন সহ দেশে মোট আক্রান্ত রোগী সংখ্যা ৫৬ জন।

অথচ বিপুল ঘনবসতি, স্বাস্থ্য খাতের সক্ষমতার অভাব এবং সাধারণ মানুষের পরিচ্ছন্নতাজনিত অনভ্যাসের কারণে বাংলাদেশে ভাইরাসটির মারাত্মকভাবে সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।

চীনের উহানে ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত করা হয়েছিল গত ডিসেম্বরের শেষে। জানুয়ারির শেষ দিকে চীনের সকল প্রদেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের জন্স হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যমতে, চীনের ৮২ হাজারের বেশি রোগীই ছিল তখন সংখ্যায় সর্বাধিক।

খুব দ্রুতই চীনের আশেপাশে বিভিন্ন দেশে ভাইরাসটি ছড়াতে শুরু করে। চীনের পরেই দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে থাকে।

ইউরোপে সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ইতালি। জন্স হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যমতে জানুয়ারির শেষে ইতালিতে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে ৫৯ দিনে এখনো পর্যন্ত সব মিলিয়ে এক লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ৬৭ দিনে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় দেড় লাখের বেশি মানুষ।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরিমাণে আক্রান্ত দেশগুলো যেমন স্পেন, ইরান, যুক্তরাজ্যসহ প্রায় সব দেশেই ভাইরাসটি সংক্রমণের হারের ক্ষেত্রে ক্রমান্বয়ে ঊর্ধ্বগতিই দেখা গেছে।
বাংলাদেশে প্রথম শনাক্তকৃত করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি ছিলেন একজন ইতালি ফেরত প্রবাসী। কিন্তু ইতালি থেকে আসা সেই একই ভাইরাস বাংলাদেশে কী ভিন্ন আচরণ করছে? এর সম্ভাব্য কারণ কি হতে পারে?

ভাইরোলজিষ্ট অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশে ভাইরাসটির আচরণ অন্য দেশগুলোর সাথে মিলছে না কেন সেটা নিয়ে আমিও চিন্তা করছি। এখানে ভাইরাসটি এসেছে ইতালি থেকে। যেটি ইতালিতে মহামারীর কারণ হয়ে দাঁড়ালো সেটি আমাদের এখানে তেমন কিছুই করছে না এরকম একটা ব্যাপার পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিষয়টি আমার কাছেও বোধগম্য হচ্ছে না।”

“তবে উহান থেকে যে ভাইরাসটির উৎপত্তি হয়েছিল তা কিন্তু পরিবর্তিত হয়েছে। কিছু দেশে তাই একই ধরনের সংক্রমণের প্যাটার্ন দেখা গেছে। অন্য কোথাও আবার একটু ভিন্ন। আমাদের ভাইরাসটি উহান থেকে আসেনি।”

তিনি আরো বলেন, “জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ অনেক দেশে হয়েছে, কিন্তু কেবল একটি দেশেই মাইক্রোকেফালি দেখা দিল। সেটি হচ্ছে ব্রাজিল।”

“আরেকটি ভাইরাসের উৎপত্তি মালয়েশিয়াতে। সেটি হচ্ছে নিপাহ ভাইরাস। যেটা বাংলাদেশে আসে ১৯৯৯ সালের দিকে এবং বাংলাদেশেই ঘোরাফেরা করছে। আসলে যথেষ্ট গবেষণা ছাড়া ভাইরাসের চরিত্র বিশ্লেষণ করা কঠিন।”

সূত্রঃ বিবিসি