ঢাকা ১১:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

তাড়াশে কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৭:৪৭:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ এপ্রিল ২০২০
  • / 120

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের বদলীপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের নির্মাণকাজে অনিয়মের অভিযোগে কাজটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে না জানিয়ে তারা কাজটি শুরু করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

জানা গেছে, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়ণে তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের বদলীপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণের দরপত্র আহবান করা হলে, ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকার একতলা ক্লিনিকের নির্মাণকাজের কার্যাদেশ পায় সিরাজগঞ্জের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মের্সাস ইসহাক কনস্ট্রাকশন’।

কার্যাদেশ পাওয়ার পর ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান করোনা ভাইরাস অভিঘাতের সুযোগ নিয়ে, সিরাজগঞ্জ স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কে না জানিয়েই কাজ শুরু করে। এবং যথারীতি সোলিং, বেজ ও গেডবিম ঢালাই করে কলাম নির্মাণ করতে থাকে। আর এ কাজে তারা ডোমার সেন্ট মোটা বালি ব্যবহার না স্থানীয়ভাবে মাটিযুক্ত বালি, মানহীন খোয়া ও গ্রেডহীন নি¤œমানের রড ব্যবহার ও পর্যাপ্ত পরিমাণ সিমেন্ট না দেয়ায় এলাকাবাসী আপত্তি জানান। কিন্তু স্থানীয়দের আপত্তির তোয়াক্কা না করে ঠিকাদার ম্যানেজার পরিচয়ে ময়েজ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির তদারকিতে কাজ চালিয়ে যেতে থাকলে, এলাকাবাসী স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কে জানালে, তারা শুক্রবার সকালে কাজটি বন্ধ করে দেয়।

বলদিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সুলতান, আবু জাফর, শাহিন আলম, মসলিম উদ্দিন প্রমুখ অভিযোগ করে বলেন, শুরুতেই ঠিকাদার নিম্নমানের কাজ করায় আমরা বারবার আপত্তি জানাই। কিন্তু ওই ঠিকাদার সিরাজগঞ্জ সদরের বাসিন্দা হওয়ায় জোর করেই কাজ করতে থাকে।

এ প্রসঙ্গে মের্সাস ইসহাক কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী মোঃ ইসহাক আলী বলেন, আমার লাইসেন্স দিয়ে কাজ করে ময়েজ উদ্দিন নামের এক সাব ঠিকাদার। কাজের বিষয় আমি কিছু জানি না।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: জামাল মিঞা শোভন বলেন, কাজটি স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের। নিয়ম অনুযায়ী কাজ শেষে আমাদের কে বুঝিয়ে দেয়া হবে। তারপরও অনিয়মের বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকে অবহিত করা হবে।

এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ স্বাস্থ্য অধিদফতরের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল মোমিন বলেন, কাজ চলছে বিষয়টি আমাদের জানানো হয়নি। অভিযোগ পাওয়ার পর কাজটি বন্ধ করে দিয়েছি ।

তাড়াশে কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত সময় ০৭:৪৭:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ এপ্রিল ২০২০

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের বদলীপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের নির্মাণকাজে অনিয়মের অভিযোগে কাজটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে না জানিয়ে তারা কাজটি শুরু করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

জানা গেছে, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়ণে তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের বদলীপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণের দরপত্র আহবান করা হলে, ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকার একতলা ক্লিনিকের নির্মাণকাজের কার্যাদেশ পায় সিরাজগঞ্জের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মের্সাস ইসহাক কনস্ট্রাকশন’।

কার্যাদেশ পাওয়ার পর ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান করোনা ভাইরাস অভিঘাতের সুযোগ নিয়ে, সিরাজগঞ্জ স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কে না জানিয়েই কাজ শুরু করে। এবং যথারীতি সোলিং, বেজ ও গেডবিম ঢালাই করে কলাম নির্মাণ করতে থাকে। আর এ কাজে তারা ডোমার সেন্ট মোটা বালি ব্যবহার না স্থানীয়ভাবে মাটিযুক্ত বালি, মানহীন খোয়া ও গ্রেডহীন নি¤œমানের রড ব্যবহার ও পর্যাপ্ত পরিমাণ সিমেন্ট না দেয়ায় এলাকাবাসী আপত্তি জানান। কিন্তু স্থানীয়দের আপত্তির তোয়াক্কা না করে ঠিকাদার ম্যানেজার পরিচয়ে ময়েজ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির তদারকিতে কাজ চালিয়ে যেতে থাকলে, এলাকাবাসী স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কে জানালে, তারা শুক্রবার সকালে কাজটি বন্ধ করে দেয়।

বলদিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সুলতান, আবু জাফর, শাহিন আলম, মসলিম উদ্দিন প্রমুখ অভিযোগ করে বলেন, শুরুতেই ঠিকাদার নিম্নমানের কাজ করায় আমরা বারবার আপত্তি জানাই। কিন্তু ওই ঠিকাদার সিরাজগঞ্জ সদরের বাসিন্দা হওয়ায় জোর করেই কাজ করতে থাকে।

এ প্রসঙ্গে মের্সাস ইসহাক কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী মোঃ ইসহাক আলী বলেন, আমার লাইসেন্স দিয়ে কাজ করে ময়েজ উদ্দিন নামের এক সাব ঠিকাদার। কাজের বিষয় আমি কিছু জানি না।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: জামাল মিঞা শোভন বলেন, কাজটি স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের। নিয়ম অনুযায়ী কাজ শেষে আমাদের কে বুঝিয়ে দেয়া হবে। তারপরও অনিয়মের বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকে অবহিত করা হবে।

এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ স্বাস্থ্য অধিদফতরের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল মোমিন বলেন, কাজ চলছে বিষয়টি আমাদের জানানো হয়নি। অভিযোগ পাওয়ার পর কাজটি বন্ধ করে দিয়েছি ।