ঢাকা ০৬:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

রাজশাহীতে গমের বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৫:০৮:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল ২০২০
  • / 126

তারেক মাহমুদ, রাজশাহীঃ রাজশাহীতে ফসলের মাঠগুলো এখন সোনালী রঙে ঝলমল করছে। সবুজ ফসলের মাঝে মাঝে হলুদ গমের শীষ গুলো রোদে ঝিলিক দিয়ে আলো ছড়াচ্ছে।

চৈত্রের খরতাপে আর করোনার সংকট এই সময়ে গরম বাতাসের দোলায় গমের শীষ গুলো এখন কৃষকে নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। রাজশাহীর উপজেলার কৃষকরা এখন গম কাটা ও মাড়াই নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।

এদিকে ৯ টি উপজেলার ফসলের মাঠগুলো গমের সোনালী শীর্ষে ভরে আছে। আবহাওয়া অনুকুল থাকায় এবার গমের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তারা। আর বাজারেও গমের দাম ভালো থাকায় চাষিদের মুখে হাসি।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলার ৯ উপজেলায় ২৬ হাজার ৫৪১ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে। গত আবাদ বছর তা ছিলো শুধু ২৬ হাজার হেক্টর জমিতে। গত বছরের তুলনায় এবার ৫৪১ হেক্টর বেশি জমিতে গমের চাষ হয়েছে।

ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরাও অনেক খুশি। তারা এখন মাঠে গম কাটা আর মাড়াইয়ের ব্যস্ত। পরিবারের সবাই এক সাথে যোগ দিয়েছেন এই মাড়ায়ের কাজে।

এদিকে রাজশাহীর বাজার-হাটেও এসেছে আগাম জাতের গম। বর্তমানে বাজারে এক হাজার টাকা মণে গম বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি গমের দাম থাকছে ২৫ টাকা করে।
রোদ ভালো থাকায় কৃষি কর্মকর্তারা গম পাঁকায় আগেই গম কাটার বিষয়ে জানিয়েছেন। তারা আশঙ্কা করছেন কিছুদিনের মাঝেই বৃষ্টি হলে সমস্যা হবে। তাই আগে কাটাই ভালো।

এবার জেলায় সবচেয়ে বেশি জমিতে গমের আবাদ হয়েছে চারঘাট ও পুঠিয়া উপজেলাতে। বিঘাতে ৮ থেকে সাড়ে ১৫ মণ গম পেয়েছেন কৃষকরা।

পুঠিয়া কৃষি সম্প্রাসারণ অফিসার কামরুল ইসলাম জানান, এ বছর বারি ৩০ জাত গমের ভালো ফলন হয়েছে। বিঘা প্রতি ১৪ থেকে সাড়ে ১৫ মণ গম পেয়েছে কৃষক।

পুঠিয়া উপজেলার কৃষক আনিসুর রহমান জানান, কৃষি অফিসের পরামর্শে এবার বারি ৩০ জাতের গম আবাদ শুরু করেন তিনি। ফলনও ভালো পেয়েছেন। তিনি জানান, আমার জমিতে বিঘা প্রতি ১৪ মণ করে গম পেয়েছি।

এই এলাকার আরেক কৃষক আসমত আলী জানান, তিনি বিঘা প্রতি ১৫ মণ করে গম পেয়েছে।

পুঠিয়া কাজির পাড়া এলাকার কৃষক মঞ্জুর রহমান জানান, এক বিঘা জমিতে এবার সাড়ে ১৪ মণ গম পেয়েছেন তিনি।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামসুল হক জানান, অন্য বছরের চেয়ে এবার রাজশাহীতে গম চাষের জন্য অনুকুল আবহাওয়া ছিলো। তাই ভালো ফলন ভালো হয়েছে। রাজশাহীতে কয়েকদিনের রোদের জন্য গম ভালো ভাবে পেঁকেছে। এখন ৮০ ভাগ গম কেটে ফেলেছে কৃষক। আর ২০ ভাগ গম জমিতে আছে। এবার বিঘা প্রতি গড়ে ১০ থেকে ১২ মণ গম হয়েছে রাজশাহীর উপজেলার জমি গুলোতে। দেশের খাদ্য ও পুষ্ঠিতে গমের এ ফলন সহায়ক ভুমিকা রাখবে বলে তিনি অবহিত করেন।

রাজশাহীতে গমের বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি

প্রকাশিত সময় ০৫:০৮:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল ২০২০

তারেক মাহমুদ, রাজশাহীঃ রাজশাহীতে ফসলের মাঠগুলো এখন সোনালী রঙে ঝলমল করছে। সবুজ ফসলের মাঝে মাঝে হলুদ গমের শীষ গুলো রোদে ঝিলিক দিয়ে আলো ছড়াচ্ছে।

চৈত্রের খরতাপে আর করোনার সংকট এই সময়ে গরম বাতাসের দোলায় গমের শীষ গুলো এখন কৃষকে নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। রাজশাহীর উপজেলার কৃষকরা এখন গম কাটা ও মাড়াই নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।

এদিকে ৯ টি উপজেলার ফসলের মাঠগুলো গমের সোনালী শীর্ষে ভরে আছে। আবহাওয়া অনুকুল থাকায় এবার গমের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তারা। আর বাজারেও গমের দাম ভালো থাকায় চাষিদের মুখে হাসি।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলার ৯ উপজেলায় ২৬ হাজার ৫৪১ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে। গত আবাদ বছর তা ছিলো শুধু ২৬ হাজার হেক্টর জমিতে। গত বছরের তুলনায় এবার ৫৪১ হেক্টর বেশি জমিতে গমের চাষ হয়েছে।

ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরাও অনেক খুশি। তারা এখন মাঠে গম কাটা আর মাড়াইয়ের ব্যস্ত। পরিবারের সবাই এক সাথে যোগ দিয়েছেন এই মাড়ায়ের কাজে।

এদিকে রাজশাহীর বাজার-হাটেও এসেছে আগাম জাতের গম। বর্তমানে বাজারে এক হাজার টাকা মণে গম বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি গমের দাম থাকছে ২৫ টাকা করে।
রোদ ভালো থাকায় কৃষি কর্মকর্তারা গম পাঁকায় আগেই গম কাটার বিষয়ে জানিয়েছেন। তারা আশঙ্কা করছেন কিছুদিনের মাঝেই বৃষ্টি হলে সমস্যা হবে। তাই আগে কাটাই ভালো।

এবার জেলায় সবচেয়ে বেশি জমিতে গমের আবাদ হয়েছে চারঘাট ও পুঠিয়া উপজেলাতে। বিঘাতে ৮ থেকে সাড়ে ১৫ মণ গম পেয়েছেন কৃষকরা।

পুঠিয়া কৃষি সম্প্রাসারণ অফিসার কামরুল ইসলাম জানান, এ বছর বারি ৩০ জাত গমের ভালো ফলন হয়েছে। বিঘা প্রতি ১৪ থেকে সাড়ে ১৫ মণ গম পেয়েছে কৃষক।

পুঠিয়া উপজেলার কৃষক আনিসুর রহমান জানান, কৃষি অফিসের পরামর্শে এবার বারি ৩০ জাতের গম আবাদ শুরু করেন তিনি। ফলনও ভালো পেয়েছেন। তিনি জানান, আমার জমিতে বিঘা প্রতি ১৪ মণ করে গম পেয়েছি।

এই এলাকার আরেক কৃষক আসমত আলী জানান, তিনি বিঘা প্রতি ১৫ মণ করে গম পেয়েছে।

পুঠিয়া কাজির পাড়া এলাকার কৃষক মঞ্জুর রহমান জানান, এক বিঘা জমিতে এবার সাড়ে ১৪ মণ গম পেয়েছেন তিনি।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামসুল হক জানান, অন্য বছরের চেয়ে এবার রাজশাহীতে গম চাষের জন্য অনুকুল আবহাওয়া ছিলো। তাই ভালো ফলন ভালো হয়েছে। রাজশাহীতে কয়েকদিনের রোদের জন্য গম ভালো ভাবে পেঁকেছে। এখন ৮০ ভাগ গম কেটে ফেলেছে কৃষক। আর ২০ ভাগ গম জমিতে আছে। এবার বিঘা প্রতি গড়ে ১০ থেকে ১২ মণ গম হয়েছে রাজশাহীর উপজেলার জমি গুলোতে। দেশের খাদ্য ও পুষ্ঠিতে গমের এ ফলন সহায়ক ভুমিকা রাখবে বলে তিনি অবহিত করেন।