ঢাকা ০৭:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

“করোনায় আলো জ্বালিয়ে রাখতে পাবনা সমাজসেবা প্রবেশন অফিসার পল্লব’র ব্যতিক্রমী ও অভিনব উদ্যোগ”

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৭:৩০:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ এপ্রিল ২০২০
  • / 93

মিজান তানজিল,পাবনাঃ শিশু সুমন (ছদ্ম নাম), কিছুদিন আগে একটি লঘু আপরাধে আদালতে নিজের দোষ স্বীকারে প্রবেশনে মুক্তি পায়, পড়াশোনার পাশাপাশি মাংসের দোকানে কসাইয়ের সহকারির কাজ করে, প্রবেশন অফিসার ফলো আপে রাখত ও সাহায্য করতো। কিন্তু করোনাভাইরাস এর প্রাদুর্ভাবে সে এখন কাজ ছাড়া, সংসারের উপার্জনের কেউ নাই।

শুধু সুমন না, আলোর পথে আলোর সাথে পথ চলার এমন অভিযাত্রী আরো আছে। এই আলোর পথে চলা যেন ব্যতয় না হয় তাই পাবনা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন অফিসার মো: পল্লব ইবনে শায়েখ ব্যতিক্রমী ও অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সেই সকল আলোর পথের অভিযাত্রীদের তালিকা করে সার্বিক সহায়তায় তিনি এগিয়ে আসেন এবং যার মাধ্যমে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষাও নিশ্চিত হবে।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব জনিত কারনে সৃষ্ট সমস্যা মোকাবেলায় বাংলাদেশে এর নিন্মআয়ের মানুষের পাশে এসে সবাই সহযোগিতা করছে। কিন্তু আমরা জানি বাংলাদেশে ১৬ বছরের উর্দ্ধে অনেক শিশু বিভিন্ন কাজে যুক্ত। এর মধ্যে অনেক শিশু আছে যারা তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী মানুষ ও শেষ অবলম্বন।

বিগত কিছু মাসে বিজ্ঞ শিশু আদালত পাবনা থেকে আইনের সাথে সংঘর্ষে জড়িত অনেক শিশু জামিনে মুক্তি পায়, পাশাপাশি গত মাসে দোষী সাব্যস্থ বা নিজে দোষ স্বীকারে বেশ কিছু শিশুর প্রবেশন মঞ্জুর হয়। সবগুলো জামিন ও প্রবেশন আদেশের সময় আমি বিজ্ঞ শিশু আদালতে উপস্থিত ছিলাম। এর মাঝে অনেক শিশু জামিনে বের হয়ে আবার সঠিক কর্ম জীবনে ফিরে যায় এবং প্রবেশন আদেশপ্রাপ্ত উপার্জনে জড়িত সকল শিশু কর্মে নিযুক্ত হয়, আমি ফলোআপে রাখি।

কিন্তু করোনাভাইরাস এর প্রাদুর্ভাবে বর্তমানে তাদের কাজ নেই, এখন তাদের ইনকাম নেই, টাকাও নেই। যেহেতু তারা শিশু, এই অবস্থায় অর্থের অভাবে তারা যেন আর অতীতের ন্যায় কোন অপরাধমূলক কাজে পুনরায় জড়িয়ে না যায়, অথবা কোন অসাধু ব্যক্তি বা গ্রুপ তাদেরকে দিয়ে কোন খারাপ কাজ না করাতে পারে, সেই জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে সমন্বয় করে সব শিশুদের একটি তালিকা তৈরি করি।

জেলা প্রশাসক মহোদয় তাৎক্ষণিক সাড়া দেন, এবং যত দূরেই থাকুক সেখানে জেলা প্রশাসনের গাড়ি দিয়ে পৌছে দিবে সহায়তা। তারা নিয়মিত ফলো আপে থাকবে এবং সহায়তা অব্যাহত থাকবে। প্রবেশন আদেশপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও অন্য শিশুদের তালিকা প্রস্তুত অব্যাহত আছে। বাদ যাবে না কেউ।

পাশাপাশি আইনের সংঘর্ষে জড়িত শিশুদের, অপরাধী যুবক বা কারাগার থেকে সম্প্রতি মুক্ত কয়েদিদের যেকোন সহায়তা তিনি এগিয়ে আসতে চান। সুমনের মত শুধু পাবনা শহরের আশেপাশেই আপাতত ৩৫ জনের তালিকা করেছে পাবনা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের এই প্রবেশন অফিসার মো: পল্লব ইবনে শায়েখ।

তিনি বলেন আরো বলেন, এর পাশাপাশি চলমান প্রবেশন কেইস, ডাইভারশন, জামিন, ৩৭ ধারায় বিকল্প বিরোধ মীমাংসা, পারিবারিক সম্মেলন, বিজ্ঞ আদালত কতৃক ফলো আপে প্রেরিত সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তি ও কারাগার থেকে পুনর্বাসন ফলো আপে থাকা আরো অনেকেই আছেন। পাবনার মত সব জায়গায় যদি তালিকা করে কাজ করা যায় তাহলে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময় ও পরবর্তী সময়ে সামাজিক সুরক্ষা ও সামাজিক অবক্ষয় রোধ হবে বলে মনে করেন তিনি।

এই রকম আরও টপিক

“করোনায় আলো জ্বালিয়ে রাখতে পাবনা সমাজসেবা প্রবেশন অফিসার পল্লব’র ব্যতিক্রমী ও অভিনব উদ্যোগ”

প্রকাশিত সময় ০৭:৩০:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ এপ্রিল ২০২০

মিজান তানজিল,পাবনাঃ শিশু সুমন (ছদ্ম নাম), কিছুদিন আগে একটি লঘু আপরাধে আদালতে নিজের দোষ স্বীকারে প্রবেশনে মুক্তি পায়, পড়াশোনার পাশাপাশি মাংসের দোকানে কসাইয়ের সহকারির কাজ করে, প্রবেশন অফিসার ফলো আপে রাখত ও সাহায্য করতো। কিন্তু করোনাভাইরাস এর প্রাদুর্ভাবে সে এখন কাজ ছাড়া, সংসারের উপার্জনের কেউ নাই।

শুধু সুমন না, আলোর পথে আলোর সাথে পথ চলার এমন অভিযাত্রী আরো আছে। এই আলোর পথে চলা যেন ব্যতয় না হয় তাই পাবনা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন অফিসার মো: পল্লব ইবনে শায়েখ ব্যতিক্রমী ও অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সেই সকল আলোর পথের অভিযাত্রীদের তালিকা করে সার্বিক সহায়তায় তিনি এগিয়ে আসেন এবং যার মাধ্যমে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষাও নিশ্চিত হবে।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব জনিত কারনে সৃষ্ট সমস্যা মোকাবেলায় বাংলাদেশে এর নিন্মআয়ের মানুষের পাশে এসে সবাই সহযোগিতা করছে। কিন্তু আমরা জানি বাংলাদেশে ১৬ বছরের উর্দ্ধে অনেক শিশু বিভিন্ন কাজে যুক্ত। এর মধ্যে অনেক শিশু আছে যারা তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী মানুষ ও শেষ অবলম্বন।

বিগত কিছু মাসে বিজ্ঞ শিশু আদালত পাবনা থেকে আইনের সাথে সংঘর্ষে জড়িত অনেক শিশু জামিনে মুক্তি পায়, পাশাপাশি গত মাসে দোষী সাব্যস্থ বা নিজে দোষ স্বীকারে বেশ কিছু শিশুর প্রবেশন মঞ্জুর হয়। সবগুলো জামিন ও প্রবেশন আদেশের সময় আমি বিজ্ঞ শিশু আদালতে উপস্থিত ছিলাম। এর মাঝে অনেক শিশু জামিনে বের হয়ে আবার সঠিক কর্ম জীবনে ফিরে যায় এবং প্রবেশন আদেশপ্রাপ্ত উপার্জনে জড়িত সকল শিশু কর্মে নিযুক্ত হয়, আমি ফলোআপে রাখি।

কিন্তু করোনাভাইরাস এর প্রাদুর্ভাবে বর্তমানে তাদের কাজ নেই, এখন তাদের ইনকাম নেই, টাকাও নেই। যেহেতু তারা শিশু, এই অবস্থায় অর্থের অভাবে তারা যেন আর অতীতের ন্যায় কোন অপরাধমূলক কাজে পুনরায় জড়িয়ে না যায়, অথবা কোন অসাধু ব্যক্তি বা গ্রুপ তাদেরকে দিয়ে কোন খারাপ কাজ না করাতে পারে, সেই জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে সমন্বয় করে সব শিশুদের একটি তালিকা তৈরি করি।

জেলা প্রশাসক মহোদয় তাৎক্ষণিক সাড়া দেন, এবং যত দূরেই থাকুক সেখানে জেলা প্রশাসনের গাড়ি দিয়ে পৌছে দিবে সহায়তা। তারা নিয়মিত ফলো আপে থাকবে এবং সহায়তা অব্যাহত থাকবে। প্রবেশন আদেশপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও অন্য শিশুদের তালিকা প্রস্তুত অব্যাহত আছে। বাদ যাবে না কেউ।

পাশাপাশি আইনের সংঘর্ষে জড়িত শিশুদের, অপরাধী যুবক বা কারাগার থেকে সম্প্রতি মুক্ত কয়েদিদের যেকোন সহায়তা তিনি এগিয়ে আসতে চান। সুমনের মত শুধু পাবনা শহরের আশেপাশেই আপাতত ৩৫ জনের তালিকা করেছে পাবনা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের এই প্রবেশন অফিসার মো: পল্লব ইবনে শায়েখ।

তিনি বলেন আরো বলেন, এর পাশাপাশি চলমান প্রবেশন কেইস, ডাইভারশন, জামিন, ৩৭ ধারায় বিকল্প বিরোধ মীমাংসা, পারিবারিক সম্মেলন, বিজ্ঞ আদালত কতৃক ফলো আপে প্রেরিত সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তি ও কারাগার থেকে পুনর্বাসন ফলো আপে থাকা আরো অনেকেই আছেন। পাবনার মত সব জায়গায় যদি তালিকা করে কাজ করা যায় তাহলে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময় ও পরবর্তী সময়ে সামাজিক সুরক্ষা ও সামাজিক অবক্ষয় রোধ হবে বলে মনে করেন তিনি।