পুঠিয়ায় ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দুলাভাই কর্তৃক কিশোরী ধর্ষণ: লজ্জায় আত্বহত্যা
- প্রকাশিত সময় ০৯:৪৩:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ এপ্রিল ২০২০
- / 101
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পুঠিয়ায় খাওয়ার জুসের ভেতরে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে এক কিশোরীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে। লোকলজ্জার ভয়ে ঘরের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে ওই কিশোরী।
বর্তমানে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় মামলার তালিকাভুক্ত একজন আসামীকে আটক করা হয়েছে।
মৃত কিশোরী উপজেলার রামজীবনপুর গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেণার ছাত্রী। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তার নিজ বাড়িতে এ মেয়েটি আত্বহত্যা করে।
কিশোরীর পিতা বলেন, প্রায় তিনমাস আগে জিউপাড়া ইউনিয়নের হলহোলিয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে এখলাস আলীর সাথে আমার বড় মেয়ের বিয়ে দেই। প্রায় ১৫দিন আগে মেয়ের শ্বশুর-শ্বশুড়ি আত্বীয়র বেড়াতে গেলে ঐ বাড়িতে আমার বড় মেয়ে একা হয়ে যায়। দু’বোন এক সাথে থাকলে ভালো হয় জানিয়ে জামাই এসে ছোট মেয়েকেও নিয়ে যায়। ছোট মেয়ে তার বোনের বাড়িতে প্রায় এক সপ্তাহ থাকে। এরপর কয়েকদিন আগে সে বাড়ি এসে কারো সাথে কোনো কথা বলতো না।
তিনি বলেন, আমার চঞ্চল মেয়ে বাসায় গম্ভীর হয়ে সারা দিন ঘরের মধ্যে থাকতো। পরে সে তার মাকে বলে দুলাভাই জুসের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তাকে খাওয়ায় এবং শারীরিক নির্যাতন করেছে। আমি বিষয়টি জানার পর লম্পট এখলাসের বাড়ি থেকে বড় মেয়েকে নিয়ে এসেছি। পরে এই ঘটনায় জামাইয়ের পরিবারকে জানিয়েও এর কোনো বিচার পাইনি।
তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে দু’মেয়েকে নাস্তা খাইয়ে আমি রাজশাহী শহরে ভ্যান চালাতে যাই। সেখানে যাওয়ার পর ছোট মেয়ের আত্মহত্যার খবর পাই।
তিনি আরো বলেন, যাদের কারণে ছোট মেয়ে আত্বহত্যা করলো আমি তাদের কঠিন বিচার চাই।
এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ বৃহস্পতিবার দপুরে খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় আনেন। শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগির বাবা গতকাল রাতে বাদি হয়ে জামাইসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর মামলার প্রধান আসামী এখলাস আলী ও তার পিতা পলাতক রয়েছে। তবে মামলার তিন নম্বর আসামী এখলাসের মা জরিনা বেগম (৪৮) কে আটক করা হয়েছে।