ঢাকা ০৮:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মেয়র রাসেলের ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৬:০৯:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০
  • / 94

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়ায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল পৌর সদরের চারটি স্থানে জীবাণু নাশক স্প্রে কক্ষ স্থাপন করেছেন।

পৌর সদরে জরুরী প্রয়োজনে যারা প্রবেশ করবে তারা বাধ্যতামূলক ঐসকল কক্ষের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করে যেতে হবে। এ সময় এই গেটের পাশে রাখা স্প্রে মেসিনের সাহায্যে প্রবেশকৃত ব্যক্তিকে ও তার যানবাহনে জীবানু নাশক স্প্রে করে দেওয়া হচ্ছে। এই কাজটি ব্যতিক্রম কাজ হিসেবে সর্বত্র প্রশংসা পাচ্ছে।

জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রথম দিকে থেকেই পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল পৌর এলাকায় ব্যাপক জনসচেতনতামূলক কার্য্যক্রম গ্রহণ করেছেন। পৌর এলাকায় দশটি পয়েন্টে সাবান পানি দিয়ে জনসাধাণকে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা, স্বাস্থ্য কর্মী, পুলিশ প্রশাসন, পৌরসভার স্বেচ্ছা সেবকদের ও সাংবাদ কর্মীদের বিনা মূল্যে পিপিই (পার্সোনাল প্রেটেক্টশন ইকুয়েবমেন্ট) প্রদান, প্রত্যক কাউন্সিলরকে হ্যান্ড মাইক প্রদান করেন।

এছাড়াও তিনি সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য কাঁচা মালের বাজার ও মাছ বাজার কে পৃথক স্থানে বসার ব্যবস্থা করেন। পৌর সদরে জনসাধারণের প্রবেশাধিকার সংরক্ষণ করেছেন। বিভিন্ন প্রধান সড়কে জীনাণূনাশক স্প্রে ছিটানো, মাইকিং করে পৌর এলাকার জনতা কে সচেতন করে চলেছেন। এরই ধারাবাহিতকায় পৌর এলাকায় চারটি পয়েন্টে জীবাণু নাশক কক্ষ স্থাপন করেছে।

পৌর মেয়রের এই জন সচেতনতা মূলক পদক্ষেপ ও করোনাভাইরাসের মধ্যেও পৌর এলাকার বিভিন্ন কাজের তদারকি করতে স্বশরীরে হাজির হয়ে বিভিন্ন কাজের দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে অনেকেই প্রশংসা করে ও জীবনের ঝুকি নিয়ে কাজ করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন।

শুক্রবার সরেজমিন পৌর এলাকায় ঘুরে দেখা যায় যে, পৌর সদরের দক্ষিণ মেন্দা কালিবাড়ি, ভাঙ্গুড়া বাসস্ট্যান্ড, শরৎনগর বাজার ও ভবানী পুর এলাকায় এই প্রধান চারটি পয়েন্টে জীবাণূ নাশক স্প্রে কক্ষ নিমাণ করা হয়েছে। সে সব যাত্রীসাধারণ বিশেষ প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে পৌর সদরের প্রবেশ করবেন তাদরেকে এই গেট দিয়ে অবশ্যই প্রবেশ করতে হবে।

এসময় তাদের শরীরে বাধ্যতামূলক জীবানুনাশক স্প্রে করে দেওয়া হচ্ছে। এজন্য ঐ চারটি জীবানূ নাশক কক্ষের পৌর সভার পক্ষ থেকে লোক নিযুক্ত রয়েছে যারা সর্বদা জনসাধারণ কে জীবাণূ নাশক স্প্রে গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেছেন এবং জীবানূ নাশক স্প্রে প্রদান করেছেন। কক্ষের ব্যনারে ছবি সম্বলিত জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন লেখা রয়েছে। যেমন, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখি, অতি প্রয়োজনে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করি।

এব্যাপারে পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ প্রথম দিক থেকেই পৌরবাসীর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও বেশি বেশি করে হাত ধোয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। কিন্তু পার্শ্ববর্তী উপজেলায় চাটমোহরে করোনাভাইরাসের রোগী সনাক্ত হওয়াতে আমরা কিছুটা উদ্বিগ্ন তবে ভাঙ্গুড়াবাসী সকলের সহযোগিতায় ও সচেতনতায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারবো বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। এজন্য সবাইকে আতংকিত না হয়ে অবশ্যই সচেতন হয়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের নিময় মেনে চলার আহবানও জানান তিনি।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মেয়র রাসেলের ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ

প্রকাশিত সময় ০৬:০৯:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়ায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল পৌর সদরের চারটি স্থানে জীবাণু নাশক স্প্রে কক্ষ স্থাপন করেছেন।

পৌর সদরে জরুরী প্রয়োজনে যারা প্রবেশ করবে তারা বাধ্যতামূলক ঐসকল কক্ষের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করে যেতে হবে। এ সময় এই গেটের পাশে রাখা স্প্রে মেসিনের সাহায্যে প্রবেশকৃত ব্যক্তিকে ও তার যানবাহনে জীবানু নাশক স্প্রে করে দেওয়া হচ্ছে। এই কাজটি ব্যতিক্রম কাজ হিসেবে সর্বত্র প্রশংসা পাচ্ছে।

জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রথম দিকে থেকেই পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল পৌর এলাকায় ব্যাপক জনসচেতনতামূলক কার্য্যক্রম গ্রহণ করেছেন। পৌর এলাকায় দশটি পয়েন্টে সাবান পানি দিয়ে জনসাধাণকে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা, স্বাস্থ্য কর্মী, পুলিশ প্রশাসন, পৌরসভার স্বেচ্ছা সেবকদের ও সাংবাদ কর্মীদের বিনা মূল্যে পিপিই (পার্সোনাল প্রেটেক্টশন ইকুয়েবমেন্ট) প্রদান, প্রত্যক কাউন্সিলরকে হ্যান্ড মাইক প্রদান করেন।

এছাড়াও তিনি সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য কাঁচা মালের বাজার ও মাছ বাজার কে পৃথক স্থানে বসার ব্যবস্থা করেন। পৌর সদরে জনসাধারণের প্রবেশাধিকার সংরক্ষণ করেছেন। বিভিন্ন প্রধান সড়কে জীনাণূনাশক স্প্রে ছিটানো, মাইকিং করে পৌর এলাকার জনতা কে সচেতন করে চলেছেন। এরই ধারাবাহিতকায় পৌর এলাকায় চারটি পয়েন্টে জীবাণু নাশক কক্ষ স্থাপন করেছে।

পৌর মেয়রের এই জন সচেতনতা মূলক পদক্ষেপ ও করোনাভাইরাসের মধ্যেও পৌর এলাকার বিভিন্ন কাজের তদারকি করতে স্বশরীরে হাজির হয়ে বিভিন্ন কাজের দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে অনেকেই প্রশংসা করে ও জীবনের ঝুকি নিয়ে কাজ করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন।

শুক্রবার সরেজমিন পৌর এলাকায় ঘুরে দেখা যায় যে, পৌর সদরের দক্ষিণ মেন্দা কালিবাড়ি, ভাঙ্গুড়া বাসস্ট্যান্ড, শরৎনগর বাজার ও ভবানী পুর এলাকায় এই প্রধান চারটি পয়েন্টে জীবাণূ নাশক স্প্রে কক্ষ নিমাণ করা হয়েছে। সে সব যাত্রীসাধারণ বিশেষ প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে পৌর সদরের প্রবেশ করবেন তাদরেকে এই গেট দিয়ে অবশ্যই প্রবেশ করতে হবে।

এসময় তাদের শরীরে বাধ্যতামূলক জীবানুনাশক স্প্রে করে দেওয়া হচ্ছে। এজন্য ঐ চারটি জীবানূ নাশক কক্ষের পৌর সভার পক্ষ থেকে লোক নিযুক্ত রয়েছে যারা সর্বদা জনসাধারণ কে জীবাণূ নাশক স্প্রে গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেছেন এবং জীবানূ নাশক স্প্রে প্রদান করেছেন। কক্ষের ব্যনারে ছবি সম্বলিত জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন লেখা রয়েছে। যেমন, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখি, অতি প্রয়োজনে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করি।

এব্যাপারে পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ প্রথম দিক থেকেই পৌরবাসীর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও বেশি বেশি করে হাত ধোয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। কিন্তু পার্শ্ববর্তী উপজেলায় চাটমোহরে করোনাভাইরাসের রোগী সনাক্ত হওয়াতে আমরা কিছুটা উদ্বিগ্ন তবে ভাঙ্গুড়াবাসী সকলের সহযোগিতায় ও সচেতনতায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারবো বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। এজন্য সবাইকে আতংকিত না হয়ে অবশ্যই সচেতন হয়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের নিময় মেনে চলার আহবানও জানান তিনি।