লালপুরে কৃষক নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত চেয়ারম্যান গ্রেফতার
- প্রকাশিত সময় ০৭:২৮:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০
- / 105
লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধিঃ নাটোরের লালপুরে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে ত্রাণ চাওয়া কৃষককে নির্যাতন মামলায় অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার ১৭ এপ্রিল সকালে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজ দুপুরে নাটোর পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানায় পুলিশ।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, গত ১০ এপ্রিল টিভি স্ক্রিনে সরকারি সহায়তার হটলাইন নাম্বার দেখে ৩৩৩ নম্বরে ফোন দেন নাটোরের লালপুর উপজেলার আঙ্গারিপাড়া গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম। এ সময় তিনি করোনা ভাইরাসের কারণে বেকার হয়ে পড়া তিনিসহ ঐ গ্রামের তিনশত জন দরিদ্র মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা চান। এরপর সেখান থেকে ত্রাণ সহায়তার আশ্বাস মেলে।
পরে ৩৩৩ এর মাধ্যমে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি অবগত হয়ে অর্জনপুর-বরমহাটি ইউপি চেয়ারম্যানকে ঐ এলাকায় ত্রাণ সহায়তার নির্দেশ দেন।
এর দু’দিন পর গত ১২ এপ্রিল স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার চৌকিদার দিয়ে কৃষক শহিদুল ইসলামকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকে এনে লাঠিপেটা করেন। এ সময় তিনি বলেন, ৩৩৩ নম্বরে ফোন করায় এলাকার সম্মানহানী হয়েছে। এ ঘটনা কাউকে বললে অসুবিধা হবে বলে হুসিয়ারিও দেন তিনি।
পরে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বানীন দ্যুতি স্থানীয়দের মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং চেয়ারম্যানকে তিন দিনের মধ্যে কারন দর্শানোর নোটিশ দেন। কিন্তু চেয়ারম্যান তার জবাব দেননি ।
মঙ্গলবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনাটি দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
গত বুধবার কৃষক শহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার, মেম্বার রেজা ও রুবেলের নামে লালপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকেই চেয়ারম্যান ও তার দুই সহযোগী মেম্বার পলাতক ছিল।
মামলা দায়েরের পর থেকে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। পরে পাবনার ঈশ্বরদী থেকে চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তার দুই সহযোগিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক গোলাম রাব্বি জানান, অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও জনস্বার্থ বিরোধী কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে বরখাস্তের প্রস্তাবনা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।