করোনা ভাইরাসে-কর্মহীন অসহায় জীবনযাপন করছে চাটমোহরের শতশত স্বর্ণ শিল্পী
- প্রকাশিত সময় ১০:০৬:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল ২০২০
- / 137
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধিঃ করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে পাবনার চাটমোহরের ৪ থেকে ৫’শতাধিক স্বর্ণ শিল্পী মানবেতর জীবনযাপন করছে।
এসব স্বর্ণ শিল্পী যাদের স্থানীয়ভাবে কারিগর বলা হয়। উপজেলার বিভিন্ন জুয়েলারী ও সোনার দোকানে প্রায় ৪৫০-৫০০ জন স্বর্ণ শিল্পী কাজ করে। বিগত মাসাধিক সময় ধরে এদের কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে। এরা কোন বেতন ভূক্ত নয়। কাজ করলে মজুরি পায়। এখন সোনা বা চাঁদির সকল কাজই বন্ধ। কোন কাজ না করতে পারায় পুঁজি যতটুকু যত সামান্য ছিলো তা প্রায় সবটুকুই ভেঙ্গে খেয়েছে। নিজেদের এই দুরবস্থার এই কারিগররা কাউকে বলতেও পারছে না কষ্টের কথা। এরা কোনদিনও কারো কাছে হাত পাতেনি। তাই হাতও পাততে তারা জানে না।
বাংলাদেশ জুয়েলারি মালিক সমিতি’র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যারা সরকারের ত্রাণ বিতরণ করছেন, তারাও এদের কোন খোঁজ-খবর নেয়নি। এই অবস্থায় পরিবার পরিজনদের নিয়ে চাটমোহরের শত শত স্বর্ণের কারিগর না খেয়ে মরার উপক্রম হয়েছে।
চাটমোহর পৌরসদরের মির্জা মার্কেটের দোলবেদীতলা, নতুনবাজার খেয়াঘাট, রেলবাজার, হরিপুর সহ উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়ন এলাকায় স্বর্ণশিল্পীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কারিগররা মূলত: জুয়েলারী ও বড় দোকানের অর্ডারের কাজগুলো করে দেয়। এদের কেউ গড়িত, কেউ সিলা, নকশা, সেটিংসহ বিভিন্ন ধরণের কাজ করে থাকে। কারিগরদের পাশাপাশি ছোট ছোট দোকানদারও এসব কাজের সাথে জড়িত। করোনা পরিস্থিতির আগে দফায় দফায় সোনার দাম বেড়ে যাওয়ায় বেশ কয়েক’মাস যাবত এসব কারিগরদের দুর্দিন চলছিল। এই সময়েই তারা পুঁজি ভেঙ্গে খেতে খেতে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে। এরইমধ্যে করোনা পরিস্থিতিতে পড়ে জুয়েলারীসহ সোনার কাজের সকল দোকানপাঠ মাসাধিক সময় ধরে বন্ধ থাকায় এদের অবস্থা এখন চরম সংকটাপন্ন।
এবিষয়ে উপজেলা স্বর্ণ শিল্পী সমিতি’র সহ সাধারণ সম্পাদক ও ভাই ভাই জুয়েলার্স এর মালিক মো:নূর মোহাম্মদ রান্টু কর্মকার জানান,চাটমোহর উপজেলায় প্রায় দেড় শতাধিক দোকানের কারিগর মিলে মোট ৪৫০-৫০০জন হবে। স্বর্ণের কারিগররা কোনদিন কারো কাছে হাত পাতে নি। এরা হাত পাততেও জানে না। না খেয়ে মরে গেলেও স্বর্ণের কারিগরররা কোন দিন কারো কাছে হাত পাতবে না।
তিনি বলেন, শুনছি সরকার বিভিন্ন এলাকায় সাহায্য সহযোগিতা করছে। কিন্তু কোন জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসনের লোক তাঁদের এলাকায় ত্রাণ বিতরণ তো দূরের কথা খোঁজখবরও নেয়নি।