ঢাকা ০২:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ভাঙ্গুড়ায় ট্রাক চাপায় শ্রমিক আহতর ঘটনা ২৫হাজার টাকায় ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৮:২০:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২০
  • / 124

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ট্রাক চাপায় দু’পাই হারাতে বসেছে শাজাহান আলী নামের এক ধানকাটা শ্রমিক।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত পাবনার এআর চাঊল মিলের ট্রাক ও বিএনপির ত্রানবাহি পাবনা-ট ১১-০৫২৭ টিকে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ আটক করলেও ড্রাইভার পালিয়ে যায়। কিন্তু শনিবার পাবনা সদর হাসপাতালে আহত ব্যক্তিকে ও তার স্বজনকে স্থানীয় বিএনপির নেতারা ভয়ভীতি দেখিয়ে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন এমন অভিযোগ করেছেন আহত ব্যক্তির চাচা আলী আহম্মেদ।

আহত শ্রমিক উল্লাাপাড়া উপজেলার সুবদ্ধ মরিচ গ্রামের হানেফ আলীর ছেলে।

আহত ব্যক্তি ও পুলিশ জানান, শুক্রবার দুপুরের দিকে শ্রমিক শাজাহান আলী কাজের সন্ধানে কুষ্টিয়া যাচ্ছিলেন। সে পৌরসভার ভাঙ্গুড়া-শরৎনগর বেইলী ব্রিজের উপর দিয়ে পায়ে হেটে ভাঙ্গুড়া বাসস্ট্যান্ড আসছিল। বেইলী ব্রিজের উপর আসলে পেছন দিক দিয়ে (পাবনা-ট ১১-০৫২৭) ট্রাকটিও ব্রিজ পার হচ্ছিল। এমন সময় বিএনপির ত্রানবাহি ট্রাকের পেছনের চাকায় দু’পা পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়ে রাস্তায় সে পড়ে যায়।

খবর পেয়ে পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল এর তত্বাবধানে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন এবং এরপরপরই বিএনপির নেতারা হাসপাতালে হাজির হন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে বিএনপির নেতারা তাকে পাবনা সদরে রেফার না করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই রেখে চিকিৎসা দিতে বলেন। কিন্তু মেয়রের হস্তক্ষেপে ঐদিনই পাবনা সদর হাসপাতালে রের্ফার করেন।

আপরদিকে বিষয়টি ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশকে অবগত করলে ভাঙ্গুড়া থানার এএসআই মুকিম ট্রাকটিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। কিন্তু ড্রইভার পালিয়ে যায়।

শনিবার দুপুরের দিকে তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পাবনা সদর হাসপাতালের কর্র্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কিংবা পুঙ্গ হাসপাতালে প্রেরণের পরামর্শ দেন। কিন্তু পাবনার স্থানীয় বিএনপি নেতারা তাকে ২৫ হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে রামেক হামপাতলে পাঠায়।

আহত শ্রমিকের চাচা আলী আহম্মেদ বলেন, এসময় এআর চাউল মিলের লোকজন স্থানীয় প্রভাবশালী বিএনপির নেতাদের দিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে আহত ব্যক্তির হাতে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে থানায় অভিযোগ দিতে নিষেধ করেন। এসময় আহত ব্যক্তির মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তার সাথে কাউকে কথা বলতে দেয় নি। এসময় পাবনা সদর হাসপাতালে ভাঙ্গুড়া থানার এএসআই মুুকিম উপস্থিত ছিলেন।

এবিষয়ে আহত শ্রমিক শাজাহান মোবাইল ফোনে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, সে শ্রমিক মানুষ পরিশ্রম করে সংসার চালায় এখন দুপায়ের যে অবস্থা? তারা ২৫ হাজার টাকা দিয়েছেন। আমার পা কি আর ভালো হবে?

এব্যপারে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ফাতেমাতুজ জোহরা বলেন, আহত ব্যক্তির ডিগ্লোভিং ইনজুরি রয়েছে সে কারণে তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে রের্ফার করা হয়েছিল।

ভাঙ্গুড়ায় ট্রাক চাপায় শ্রমিক আহতর ঘটনা ২৫হাজার টাকায় ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা

প্রকাশিত সময় ০৮:২০:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২০

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ট্রাক চাপায় দু’পাই হারাতে বসেছে শাজাহান আলী নামের এক ধানকাটা শ্রমিক।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত পাবনার এআর চাঊল মিলের ট্রাক ও বিএনপির ত্রানবাহি পাবনা-ট ১১-০৫২৭ টিকে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ আটক করলেও ড্রাইভার পালিয়ে যায়। কিন্তু শনিবার পাবনা সদর হাসপাতালে আহত ব্যক্তিকে ও তার স্বজনকে স্থানীয় বিএনপির নেতারা ভয়ভীতি দেখিয়ে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন এমন অভিযোগ করেছেন আহত ব্যক্তির চাচা আলী আহম্মেদ।

আহত শ্রমিক উল্লাাপাড়া উপজেলার সুবদ্ধ মরিচ গ্রামের হানেফ আলীর ছেলে।

আহত ব্যক্তি ও পুলিশ জানান, শুক্রবার দুপুরের দিকে শ্রমিক শাজাহান আলী কাজের সন্ধানে কুষ্টিয়া যাচ্ছিলেন। সে পৌরসভার ভাঙ্গুড়া-শরৎনগর বেইলী ব্রিজের উপর দিয়ে পায়ে হেটে ভাঙ্গুড়া বাসস্ট্যান্ড আসছিল। বেইলী ব্রিজের উপর আসলে পেছন দিক দিয়ে (পাবনা-ট ১১-০৫২৭) ট্রাকটিও ব্রিজ পার হচ্ছিল। এমন সময় বিএনপির ত্রানবাহি ট্রাকের পেছনের চাকায় দু’পা পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়ে রাস্তায় সে পড়ে যায়।

খবর পেয়ে পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল এর তত্বাবধানে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন এবং এরপরপরই বিএনপির নেতারা হাসপাতালে হাজির হন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে বিএনপির নেতারা তাকে পাবনা সদরে রেফার না করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই রেখে চিকিৎসা দিতে বলেন। কিন্তু মেয়রের হস্তক্ষেপে ঐদিনই পাবনা সদর হাসপাতালে রের্ফার করেন।

আপরদিকে বিষয়টি ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশকে অবগত করলে ভাঙ্গুড়া থানার এএসআই মুকিম ট্রাকটিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। কিন্তু ড্রইভার পালিয়ে যায়।

শনিবার দুপুরের দিকে তার অবস্থার আরও অবনতি হলে পাবনা সদর হাসপাতালের কর্র্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কিংবা পুঙ্গ হাসপাতালে প্রেরণের পরামর্শ দেন। কিন্তু পাবনার স্থানীয় বিএনপি নেতারা তাকে ২৫ হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে রামেক হামপাতলে পাঠায়।

আহত শ্রমিকের চাচা আলী আহম্মেদ বলেন, এসময় এআর চাউল মিলের লোকজন স্থানীয় প্রভাবশালী বিএনপির নেতাদের দিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে আহত ব্যক্তির হাতে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে থানায় অভিযোগ দিতে নিষেধ করেন। এসময় আহত ব্যক্তির মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তার সাথে কাউকে কথা বলতে দেয় নি। এসময় পাবনা সদর হাসপাতালে ভাঙ্গুড়া থানার এএসআই মুুকিম উপস্থিত ছিলেন।

এবিষয়ে আহত শ্রমিক শাজাহান মোবাইল ফোনে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, সে শ্রমিক মানুষ পরিশ্রম করে সংসার চালায় এখন দুপায়ের যে অবস্থা? তারা ২৫ হাজার টাকা দিয়েছেন। আমার পা কি আর ভালো হবে?

এব্যপারে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ফাতেমাতুজ জোহরা বলেন, আহত ব্যক্তির ডিগ্লোভিং ইনজুরি রয়েছে সে কারণে তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে রের্ফার করা হয়েছিল।