ঈশ্বরদীতে দোকান বন্ধ রাখার বিষয় নিয়ে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের
- প্রকাশিত সময় ১২:৫৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ এপ্রিল ২০২০
- / 155
ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের নতুন হাট মোড়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী দোকান বন্ধ রাখার বিষয় নিয়ে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
মামলায় ২ জনকে নামীয় এবং ৩০-৩৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। মামলার নামীয় আসামীদের মধ্যে রয়েছে জুতার দোকানদার ও নতুন সাহাপুর গ্রামের জনৈক আব্দুল হান্নানের পুত্র শান্ত (২৭) এবং কসমেটিকস্ এর দোকানী ও নতুন মানিকনগর মধ্যপাড়া গ্রামের আতিয়ার রহমানের পুত্র শান্ত (২৮)।
এই মামলার বাদী ঘটনার সময় ওই এলাকায় দায়িত্বরত এএসআই খায়রুল ইসলাম। ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ বাহাউদ্দিন ফারুকী মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেফতারের ভয়ে মঙ্গলবার নতুনহাট এলাকার সকল দোকানপাট বন্ধ ছিল বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত: সোমবার সকালে ওই এলাকায় দায়িত্ব পালনের সময় সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী দোকান বন্ধ রাখার বিষয় নিয়ে পুলিশ সদস্যদের অনুরোধ না মানলে দোকানদারদের সাথে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এসময় পুলিশ কন্সটেবল রুহুল আমিনকে মারধর করা হলে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল হতে শান্ত নামে এক কসমেটিক্সের দোকানদারকে ধরে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করলে দোকানদাররা হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবিরসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে ঘটনার পরপরই ব্যবসায়ীরা সকল দোকানপাট বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, করেনা পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বেশ কয়েকদিন ধরে নতুন হাট মোড়ের কসমেটিক, কাপড় ও জুতা স্যান্ডেলের কয়েকজন দোকানদার তাদের দোকান খুলে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে ওই বাজারে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছিল না। পুলিশ কয়েকদিন ধরে ব্যবসায়ীদের মৌখিকভাবে দোকান বন্ধ রাখতে বলছিল। তবুও কয়েকজন দোকান খুলে বসে। সকালে হাসেম আলী মার্কেটের জুতা-স্যান্ডেলের দোকানদার রানা দোকান খুললে ঈশ্বরদী থানার এএসআই খায়রুল ইসলাম, কন্সটেবল ফুয়াদ ও রুহুল আমিন দোকান বন্ধ করতে বলেন। এ নিয়ে পুলিশের সাথে ওই মার্কেটের দোকানদারদের প্রথমে বাকবিতন্ডা হয়। একপযায়ে পুলিশের সাথে দোকানদারের সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, দোকান খোলা রাখার অভিযোগে পুলিশ কয়েকজন দোকানদারকে মারধর করেছে। সেজন্য দোকানদাররা ক্ষিপ্ত হয়ে একজন কন্সটেবলকে লাঞ্ছিত করেছে। তবে বড় ধরনের কোন সংর্ঘষ বা মারধরের ঘটনা ঘটেনি।