ঢাকা ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

করোনা সংকটে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের “বেসিক ট্রেড স্কীল ডেভেলপমেন্ট ফোরাম” এর প্রণোদনার দাবি

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৬:২৫:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মে ২০২০
  • / 185

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) থেকে সৃষ্ট বিশ্বব্যাপী চরম অর্থনৈতিক ক্ষতি ও পরিবর্তন ঘটতে চলেছে । বাংলাদেশও এই ক্ষতির মধ্যে এখন। এ সংকটে পড়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের বেসিক ট্রেডের আওতাধীন সারা দেশের বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত কম্পিউটার প্রশিক্ষণসহ ১০৫টি ট্রেডের আওতাধীন “বেসিক ট্রেড স্কীল ডেভেলপমেন্ট ফোরাম” এর পক্ষে প্রায় ৩৫০০ প্রতিষ্ঠান/উদ্যোক্তাগণ চলমান করোনা সংকট মোকাবেলায় কর্মহীন হয়ে চরম আর্থিক সংকটের মুখোমুখি। এমতাবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ১০৫ কোটি টাকার ‘কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের বেসিক ট্রেড প্রণোদনা প্যাকেজ’ চেয়ে অনুরোধ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর ভিশন বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী এই নিরলস ভাবে কাজ করে যাওয়া এ প্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে স্থবির হয়ে আজ হুমকির সম্মুখীন। ফলে এ সেক্টরে সরকারি প্রণোদনা ছাড়া এ সংকটময় পরিস্থিতিতে টিকিয়ে রাখা কঠিন। বর্তমানে কয়েক হাজার কর্মী জীবনে চরম দুর্দশা নেমে এসেছে। এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষা ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর বরাবর বেসরকারি “বেসিক ট্রেড স্কীল ডেভেলপমেন্ট ফোরাম” এর আহবায়ক নিত্যনন্দ সরকার ও সদস্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন টুটুল স্বাক্ষরিত পত্রে প্রণোদনা প্যাকেজের আবেদন করা হয়েছে।

আবেদনে বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে’র বেসিক ট্রেডের আওতাধীন ৩৩টি শিক্ষাক্রম দেশের সরকারী প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারী প্রায় ৩,৫০০ প্রতিষ্ঠান তথ্য প্রযুক্তি বিকাশে ব্যাপক ভ‚মিকা পালন করেছে বলে পরিসংখ্যানে প্রকাশ পায়। যেখানে প্রতি বছর তিন মাস ও ৬ মাস মেয়াদী সেশনে রেজিস্ট্রেশনকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রতি বছর প্রায় ২,৭০০০০ (দুই লক্ষ সত্তর হাজার) যারা বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের মূল্যায়ন পূর্বক চুড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আসছে। এর মধ্যে মহিলা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০% ভাগ। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন স্তরে এনরোলমেন্ট বর্তমানে ১৬.০৫%। সরকারি নীতি ও দারিদ্র্যবিমোচন কর্মসূচির আলোকে পরিকল্পনা অনুযায়ী এই বছরের মধ্যেই এনরোলমেন্ট ২০% এবং পরবর্তী দুই দশকে যথাক্রমে ৩০% ও ৫০% এ উন্নীত করার লক্ষ্যে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রয়েছে।

এ উদ্যোক্তা/প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন ট্রেডে কারিগরি ও আইসিটি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশের বিপুল সংখ্যক জনসংখ্যাকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের নানাবিধ পর্যায়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্যোক্তা ও ফ্রিল্যান্সার তৈরি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে যুগান্তকারী ও সময়োপযোগী ভূমিকা পালন আসছে। এর ফলে আত্মনির্ভরশীল ও বেকার সমস্যা দূরীকরণ, দক্ষ জনশক্তি তৈরী ও বিদেশে দক্ষ জনশক্তি প্রেরণের মাধ্যমে রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন রাখছে। এই বেসরকারি কারিগরি প্রতিষ্ঠানসমূহ বেতন-ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারি কোন অনুদান বা আর্থিক সহযোগিতা পায় না এবং কখনো পাওয়ার জন্য আবেদনও করেনি। কিন্তু বর্তমানে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গত ১৭ মার্চ থেকে সরকারি সিদ্ধান্তে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করার পর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত ও অনুমোদনপ্রাপ্ত বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে চরম অর্থনৈতিক সংকটে এখন এ কারিগরি সেক্টর। প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালক/অধ্যক্ষ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা নাজুক অবস্থার শিকার বলেও এই আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

করোনার ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন সেক্টর ও প্রতিষ্ঠানসমূহকে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক প্রণোদনা এবং সহযোগিতার প্রশংসা করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয় এই পত্রে। সেই সাথে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের বেসিক ট্রেডের বেসরকারি এই সকল প্রতিষ্ঠানের জন্য অন্যান্য পেশাজীবিদের মতো সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতার জন্য একশত পাঁচ কোটি টাকার প্রণোদনা তহবিল গঠন করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানানো হয়। সেই সাথে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীন এইসব প্রতিষ্ঠানের জন্য মেয়াদি জামানতবিহীন ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ অনুরোধ জানানো হয়। নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নানা কারণে এখন অর্থনৈতিক দুর্বলতার শিকার। এ প্রতিষ্ঠানগুলো বেশিরভাগ ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়কৃত বেতন দিয়েই প্রতিষ্ঠানের ভবন ভাড়া, সব ইউটিলিটি বিল এবং শিক্ষক এবং কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়। কিন্তু দুর্যোগকালীন সময়ে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি আদায় করতে পারবে না। এতে করে প্রতিষ্ঠান গুলোতে কর্মরত স্বল্প বেতনের ৫০ হাজারের অধিক প্রশিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী আর্থিক সংকটে দিন যাপন করছে এবং সামাজিক সম্মান ও অবস্থানের কারণে কারও দ্বারস্থ হতেও পারছে না।

অথচ যাদের মাধ্যমে তৈরী হওয়া শিক্ষাক্ষার্থীরা আজ দেশ বিদেশের সর্বধুনিক প্রযুক্তির কর্মস্থলে অবস্থান ও ভবিষৎ প্রজন্মকে গড়ে তোলার গুরুদায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশে জাতীয় ভাবে নট্রামস এর মাধ্যমে ১৯৮৮ সাল থেকে সারাদেশে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের কার্যক্রম শুরু হয়, ২০০১ সাল থেকে নট্রামসের জাতীয় ভাবে এই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০০২ সাল থেকে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে সারাদেশের প্রত্যন্ত অ ল থেকে বেসরকারী উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের বিপুল পরিমান জনসংখ্যাকে বিভিন্ন ট্রেডে কারিগরি ও আইসিটি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ, ফ্রিলান্সার তৈরি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে।

তদুপরি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অ লের এই সকল উদ্যেক্তারা প্রতিষ্ঠানিভাবে বিগত প্রায় ৩২ বছর যাবৎ বেসিক ট্রেডের আওতাধীন বিউটি পার্লার, শেলাই শার্টলিপি এবং সর্বাপেক্ষা কম্পিউটার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশের দারিদ্র্য দূরীকরণ, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও সুনিশ্চিত উন্নতির অন্যতম চাবিকাঠি হিসাবে কাজ করছে। এবং বিশে^র বিভিন্ন দেশে কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেই সব শিক্ষার্থীরা আজ ভালো অবস্থানে আছেন এবং বলা হয় যে কোন শিক্ষার বেসিক অর্থাৎ মৌলিক শিক্ষাটি ভালো থাকলে সেই বিষয়ের পরবর্তী শিক্ষাটি ভালো হয়, যে কাজটি এই সকল প্রতিষ্ঠানগুলো নিভৃতে দেশের কম্পিউটার প্রশিক্ষণে প্রথমিক বিদ্যালয়ের মত কাজ করে আসছে।

যেখানে সরকার বিগত কয়েক বছরে বিপুল অর্থব্যায় করে দেশের শিক্ষিত বেকার যুব সমাজকে নানাবিধ জন্য ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং বিষয়ক নানাবিধ প্রশিক্ষণ প্রদান করছে, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের চলমান এই কাজকে এগিয়ে নিতে এই সকল প্রতিষ্ঠান সমূহ স্ব উদ্যোগে সমান ভাবে সামান্য কোর্স ফির মাধ্যওে এই সকল প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে মূলধারার সাথে সম্পর্কিত।

এ ছাড়াও উক্ত উদ্যোক্তা/প্রতিষ্ঠানগুলো শাররীক প্রতিবন্ধী, হিজড়া, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা মহিলাসহ সমাজের সুবিধা বি ত বেকার যুবক-যুবতীদের বিনা খরচে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে আসছে। উদ্যোক্তা/প্রতিষ্ঠানগুলো সব ধরনের জাতীয় দিবস পালনসহ সরকার ঘোষিত সকল রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে সেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে থাকে। বর্তমান সরকারের মিশন-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে। একই সাথে এসডিজি (ঝউএ) অর্জনে প্রতিষ্ঠানগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। বর্তমানে করোনা (ঈঙঠওউ-১৯) মহাদুর্যোগে উক্ত উদ্যোক্তা/প্রতিষ্ঠানগুলো করোনা সচেতনতামূলক লিফলেট ও অনলাইন মিডিয়া প্রচার, মাক্স, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছে। করোনা সংক্রোমন এড়াতে প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা সত্বেও প্রশিক্ষাণীদের স্বার্থে অনলাইনে ক্লাস নেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগক্তাগণ জেলা/উপজেলা পর্যায়ে করোনা সংকট প্রতিরোধে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন।

করোনা সংকটে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের “বেসিক ট্রেড স্কীল ডেভেলপমেন্ট ফোরাম” এর প্রণোদনার দাবি

প্রকাশিত সময় ০৬:২৫:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মে ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) থেকে সৃষ্ট বিশ্বব্যাপী চরম অর্থনৈতিক ক্ষতি ও পরিবর্তন ঘটতে চলেছে । বাংলাদেশও এই ক্ষতির মধ্যে এখন। এ সংকটে পড়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের বেসিক ট্রেডের আওতাধীন সারা দেশের বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত কম্পিউটার প্রশিক্ষণসহ ১০৫টি ট্রেডের আওতাধীন “বেসিক ট্রেড স্কীল ডেভেলপমেন্ট ফোরাম” এর পক্ষে প্রায় ৩৫০০ প্রতিষ্ঠান/উদ্যোক্তাগণ চলমান করোনা সংকট মোকাবেলায় কর্মহীন হয়ে চরম আর্থিক সংকটের মুখোমুখি। এমতাবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ১০৫ কোটি টাকার ‘কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের বেসিক ট্রেড প্রণোদনা প্যাকেজ’ চেয়ে অনুরোধ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর ভিশন বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী এই নিরলস ভাবে কাজ করে যাওয়া এ প্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে স্থবির হয়ে আজ হুমকির সম্মুখীন। ফলে এ সেক্টরে সরকারি প্রণোদনা ছাড়া এ সংকটময় পরিস্থিতিতে টিকিয়ে রাখা কঠিন। বর্তমানে কয়েক হাজার কর্মী জীবনে চরম দুর্দশা নেমে এসেছে। এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষা ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর বরাবর বেসরকারি “বেসিক ট্রেড স্কীল ডেভেলপমেন্ট ফোরাম” এর আহবায়ক নিত্যনন্দ সরকার ও সদস্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন টুটুল স্বাক্ষরিত পত্রে প্রণোদনা প্যাকেজের আবেদন করা হয়েছে।

আবেদনে বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে’র বেসিক ট্রেডের আওতাধীন ৩৩টি শিক্ষাক্রম দেশের সরকারী প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারী প্রায় ৩,৫০০ প্রতিষ্ঠান তথ্য প্রযুক্তি বিকাশে ব্যাপক ভ‚মিকা পালন করেছে বলে পরিসংখ্যানে প্রকাশ পায়। যেখানে প্রতি বছর তিন মাস ও ৬ মাস মেয়াদী সেশনে রেজিস্ট্রেশনকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রতি বছর প্রায় ২,৭০০০০ (দুই লক্ষ সত্তর হাজার) যারা বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের মূল্যায়ন পূর্বক চুড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আসছে। এর মধ্যে মহিলা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০% ভাগ। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন স্তরে এনরোলমেন্ট বর্তমানে ১৬.০৫%। সরকারি নীতি ও দারিদ্র্যবিমোচন কর্মসূচির আলোকে পরিকল্পনা অনুযায়ী এই বছরের মধ্যেই এনরোলমেন্ট ২০% এবং পরবর্তী দুই দশকে যথাক্রমে ৩০% ও ৫০% এ উন্নীত করার লক্ষ্যে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রয়েছে।

এ উদ্যোক্তা/প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন ট্রেডে কারিগরি ও আইসিটি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশের বিপুল সংখ্যক জনসংখ্যাকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের নানাবিধ পর্যায়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্যোক্তা ও ফ্রিল্যান্সার তৈরি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে যুগান্তকারী ও সময়োপযোগী ভূমিকা পালন আসছে। এর ফলে আত্মনির্ভরশীল ও বেকার সমস্যা দূরীকরণ, দক্ষ জনশক্তি তৈরী ও বিদেশে দক্ষ জনশক্তি প্রেরণের মাধ্যমে রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন রাখছে। এই বেসরকারি কারিগরি প্রতিষ্ঠানসমূহ বেতন-ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারি কোন অনুদান বা আর্থিক সহযোগিতা পায় না এবং কখনো পাওয়ার জন্য আবেদনও করেনি। কিন্তু বর্তমানে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গত ১৭ মার্চ থেকে সরকারি সিদ্ধান্তে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করার পর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত ও অনুমোদনপ্রাপ্ত বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে চরম অর্থনৈতিক সংকটে এখন এ কারিগরি সেক্টর। প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালক/অধ্যক্ষ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা নাজুক অবস্থার শিকার বলেও এই আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

করোনার ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন সেক্টর ও প্রতিষ্ঠানসমূহকে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক প্রণোদনা এবং সহযোগিতার প্রশংসা করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয় এই পত্রে। সেই সাথে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের বেসিক ট্রেডের বেসরকারি এই সকল প্রতিষ্ঠানের জন্য অন্যান্য পেশাজীবিদের মতো সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতার জন্য একশত পাঁচ কোটি টাকার প্রণোদনা তহবিল গঠন করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানানো হয়। সেই সাথে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীন এইসব প্রতিষ্ঠানের জন্য মেয়াদি জামানতবিহীন ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ অনুরোধ জানানো হয়। নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নানা কারণে এখন অর্থনৈতিক দুর্বলতার শিকার। এ প্রতিষ্ঠানগুলো বেশিরভাগ ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়কৃত বেতন দিয়েই প্রতিষ্ঠানের ভবন ভাড়া, সব ইউটিলিটি বিল এবং শিক্ষক এবং কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়। কিন্তু দুর্যোগকালীন সময়ে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি আদায় করতে পারবে না। এতে করে প্রতিষ্ঠান গুলোতে কর্মরত স্বল্প বেতনের ৫০ হাজারের অধিক প্রশিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী আর্থিক সংকটে দিন যাপন করছে এবং সামাজিক সম্মান ও অবস্থানের কারণে কারও দ্বারস্থ হতেও পারছে না।

অথচ যাদের মাধ্যমে তৈরী হওয়া শিক্ষাক্ষার্থীরা আজ দেশ বিদেশের সর্বধুনিক প্রযুক্তির কর্মস্থলে অবস্থান ও ভবিষৎ প্রজন্মকে গড়ে তোলার গুরুদায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশে জাতীয় ভাবে নট্রামস এর মাধ্যমে ১৯৮৮ সাল থেকে সারাদেশে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের কার্যক্রম শুরু হয়, ২০০১ সাল থেকে নট্রামসের জাতীয় ভাবে এই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০০২ সাল থেকে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে সারাদেশের প্রত্যন্ত অ ল থেকে বেসরকারী উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের বিপুল পরিমান জনসংখ্যাকে বিভিন্ন ট্রেডে কারিগরি ও আইসিটি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ, ফ্রিলান্সার তৈরি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে।

তদুপরি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অ লের এই সকল উদ্যেক্তারা প্রতিষ্ঠানিভাবে বিগত প্রায় ৩২ বছর যাবৎ বেসিক ট্রেডের আওতাধীন বিউটি পার্লার, শেলাই শার্টলিপি এবং সর্বাপেক্ষা কম্পিউটার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশের দারিদ্র্য দূরীকরণ, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও সুনিশ্চিত উন্নতির অন্যতম চাবিকাঠি হিসাবে কাজ করছে। এবং বিশে^র বিভিন্ন দেশে কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেই সব শিক্ষার্থীরা আজ ভালো অবস্থানে আছেন এবং বলা হয় যে কোন শিক্ষার বেসিক অর্থাৎ মৌলিক শিক্ষাটি ভালো থাকলে সেই বিষয়ের পরবর্তী শিক্ষাটি ভালো হয়, যে কাজটি এই সকল প্রতিষ্ঠানগুলো নিভৃতে দেশের কম্পিউটার প্রশিক্ষণে প্রথমিক বিদ্যালয়ের মত কাজ করে আসছে।

যেখানে সরকার বিগত কয়েক বছরে বিপুল অর্থব্যায় করে দেশের শিক্ষিত বেকার যুব সমাজকে নানাবিধ জন্য ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং বিষয়ক নানাবিধ প্রশিক্ষণ প্রদান করছে, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের চলমান এই কাজকে এগিয়ে নিতে এই সকল প্রতিষ্ঠান সমূহ স্ব উদ্যোগে সমান ভাবে সামান্য কোর্স ফির মাধ্যওে এই সকল প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে মূলধারার সাথে সম্পর্কিত।

এ ছাড়াও উক্ত উদ্যোক্তা/প্রতিষ্ঠানগুলো শাররীক প্রতিবন্ধী, হিজড়া, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা মহিলাসহ সমাজের সুবিধা বি ত বেকার যুবক-যুবতীদের বিনা খরচে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে আসছে। উদ্যোক্তা/প্রতিষ্ঠানগুলো সব ধরনের জাতীয় দিবস পালনসহ সরকার ঘোষিত সকল রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে সেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে থাকে। বর্তমান সরকারের মিশন-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে। একই সাথে এসডিজি (ঝউএ) অর্জনে প্রতিষ্ঠানগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। বর্তমানে করোনা (ঈঙঠওউ-১৯) মহাদুর্যোগে উক্ত উদ্যোক্তা/প্রতিষ্ঠানগুলো করোনা সচেতনতামূলক লিফলেট ও অনলাইন মিডিয়া প্রচার, মাক্স, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছে। করোনা সংক্রোমন এড়াতে প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা সত্বেও প্রশিক্ষাণীদের স্বার্থে অনলাইনে ক্লাস নেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগক্তাগণ জেলা/উপজেলা পর্যায়ে করোনা সংকট প্রতিরোধে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন।