দলীয় কর্মীর হামলায় ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগ নেতা আহত
- প্রকাশিত সময় ০৭:০৮:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মে ২০২০
- / 92
ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ ঈশ্বরদী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম গোলবার স্থানীয় অংগ সংগঠনের কর্মীদের হামলায় আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার সকাল ১১ টায় ঈশ্বরদী পৌর মার্কেটের সামনে সবজি বাজারে আওয়ামী লীগ নেতা গোলবার হোসেনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। আহত গোলবার হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার সাথে সম্পৃক্তরা স্থানীয় যুবলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত হলেও উপজেলা ও পৌর যুবলীগ নেতারা যুবলীগের কর্মী নয় বলে দাবী করেছেন।
আহত গোলবার হোসেনের ছেলে সনি জানান, পৌর মার্কেটের সামনে দৈনিক বাজারের ইজারাদার ও বাজার সংশ্লিষ্টদের নিকট থেকে চাঁদা দাবির বিষয় নিয়ে সকালে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে তার বাবাকে লাঠি ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এই হামলার ঘটনায় স্থানীয় আলমগীর হোসেন ও শফিকুল জড়িত বলে দাবী করে তিনি বলেন, এরা যুবলীগের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিলেও বর্তমানে কোন কমিটিতে নেই। এদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন ও শফিকুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে চাঁদাবাজী ও হামলার সাথে জড়িত থাকার ঘটনা অস্বীকার করেছেন।
তারা বলেন, সকালে কাঁচাবাজারে সবজি কেনার জন্য গিয়েছিলাম। পৌরসভার টাউন হলের পুরাতন ভবন আমরা টেন্ডারে ক্রয় করি। এতে গোলবার হোসেনও অংশীদার ছিলেন। ভবনের সকল স্থাপনা ভেঙ্গে নেয়া হলেও জেনারেটর রাখার রূমটি বাদ ছিল। এই রূমের জানালা-দরজাসহ ভাল ভাল জিনিষ গোলবার নিয়ে গেছে। সকালে এলাকার কয়েকজন ছেলে ইট ভাঙ্গার সময় ওই ছেলেদের সাথে গোলবারের সাথে কথা কাটাকাটি এবং এক পর্যায়ে চড়-থাপ্পরের ঘটনা ঘটে। কিন্তু তারা কেউই এই ঘটনার সাথে জড়িত নয় দাবী করেন।
আলমগীর পৌর যুবলীগের সাবেক কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এবং শফিকুল ৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন বলে জানিয়েছেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরীফ তমাল হামলার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, যুবলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে যারা এসব অপকর্ম করছে তাদের কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এরা যুবলীগের কোন কমিটিতে নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।
পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইছাহক আলী মালিথা জানান, গোলবার একজন দক্ষ ও বিচক্ষণ আওয়ামী লীগ নেতা। সবজি বাজারে চাঁদাবাজির ঘটনা নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে নামধারী কিছু যুবলীগের কর্মী মারধর করবে, এটা মেনে নেয়া যায় না। এদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থার পাশাপাশি দলের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগেও শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।