ঢাকা ০৬:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ঈদের কেনাকাটার চাপ সামলাতে না পারায় বন্ধ হলো ঈশ্বরদীসহ পাবনার দোকানপাট

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১০:০৪:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মে ২০২০
  • / 83

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ গত কয়েকদিনে ঈশ্বরদীসহ পাবনা জেলার সর্বত্র হাট-বাজার-মার্কেটে ঈদের কেনাকাটার বেসামাল চাপ সামলাতে না পেরে জেলার সকল মার্কেট, শপিংমল, দোকানপাট (নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী ও ঔষধের ফামেসী ব্যতিত) সকল দোকানপাট পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করেছেন পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ। ১৮ই মে এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তিনি এ নির্দেশ জারি করেন।

জেলা প্রশাসকের নির্দেশের আলোকে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রশাসন আগামীকাল মঙ্গলবার (১৯শে মে) থেকে ঈশ্বরদী উপজেলার দোকানপাট, শপিংমল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অনান্য বাজার বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করেছেন।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সকল ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক জানানো যাচ্ছে যে, পবিত্র রমজান ও ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে দোকানপাট, শপিংমল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অনান্য বাজার যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত শর্তপালন স্বাপেে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু পর্যবেণ দেখা গেছে, বিগত কয়েকদিন বাজার ও শপিংমলসমূহে আগত ক্রেতা/ বিক্রেতাগণ সরকারি নির্দেশনা পালনে নির্লিপ্ত থেকে অবহেলা প্রদর্শন করেছেন। সেহেতু জনসাধারণের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনা করে সকল দোকানপাট, শপিংমল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অনান্য বাজার ১৯ মে থেকে বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হলো।

তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি দোকান, কাঁচা বাজার, সার/কীটনাশকের দোকান, মোবাইল ফেক্সি/ রকেট/বিকাশ /নগদ/শিওর ক্যাশ; খাবার দোকান বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ঔষধের দোকান ও অনান্য জরুরি পরিসেবা এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। একই সাথে আন্তঃ উপজেলা ও আন্তঃ জেলা চলাচল বন্ধ থাকবে।

নির্দেশনা অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত: ১০ই মে লকডাউন শিথিলের সাথে সাথেই ঈশ্বরদীসহ জেলার সকল বাজারে ঈদের কেনাকাটার জন্য লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়েন। বাজারে সামাজিক দূরত্ব না মেনে এবং স্বাস্থ্যবিধি উপো করার বিষয়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে বারবার সতর্ক করা হয়।

বেসামাল ভীড় প্রসংগে গত শনিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিহাব রায়হানের নিকট প্রশ্ন তোলা হলে তিনি আক্ষেপের সাথে বলেন, ‘রঙিন পোশাক কিনতে গিয়ে যেন সাদা পোশাক নিয়ে বাড়ি আসতে না হয়।’

শেষ পর্যন্ত আর কোন উপায়ন্তর না দেখে জেলা প্রশাসন বাধ্য হয়ে গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বন্ধের নির্দেশনা জারী করেন।

ঈদের কেনাকাটার চাপ সামলাতে না পারায় বন্ধ হলো ঈশ্বরদীসহ পাবনার দোকানপাট

প্রকাশিত সময় ১০:০৪:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মে ২০২০

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ গত কয়েকদিনে ঈশ্বরদীসহ পাবনা জেলার সর্বত্র হাট-বাজার-মার্কেটে ঈদের কেনাকাটার বেসামাল চাপ সামলাতে না পেরে জেলার সকল মার্কেট, শপিংমল, দোকানপাট (নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী ও ঔষধের ফামেসী ব্যতিত) সকল দোকানপাট পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করেছেন পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ। ১৮ই মে এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তিনি এ নির্দেশ জারি করেন।

জেলা প্রশাসকের নির্দেশের আলোকে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রশাসন আগামীকাল মঙ্গলবার (১৯শে মে) থেকে ঈশ্বরদী উপজেলার দোকানপাট, শপিংমল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অনান্য বাজার বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করেছেন।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সকল ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক জানানো যাচ্ছে যে, পবিত্র রমজান ও ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে দোকানপাট, শপিংমল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অনান্য বাজার যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত শর্তপালন স্বাপেে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু পর্যবেণ দেখা গেছে, বিগত কয়েকদিন বাজার ও শপিংমলসমূহে আগত ক্রেতা/ বিক্রেতাগণ সরকারি নির্দেশনা পালনে নির্লিপ্ত থেকে অবহেলা প্রদর্শন করেছেন। সেহেতু জনসাধারণের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনা করে সকল দোকানপাট, শপিংমল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অনান্য বাজার ১৯ মে থেকে বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হলো।

তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি দোকান, কাঁচা বাজার, সার/কীটনাশকের দোকান, মোবাইল ফেক্সি/ রকেট/বিকাশ /নগদ/শিওর ক্যাশ; খাবার দোকান বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ঔষধের দোকান ও অনান্য জরুরি পরিসেবা এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। একই সাথে আন্তঃ উপজেলা ও আন্তঃ জেলা চলাচল বন্ধ থাকবে।

নির্দেশনা অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত: ১০ই মে লকডাউন শিথিলের সাথে সাথেই ঈশ্বরদীসহ জেলার সকল বাজারে ঈদের কেনাকাটার জন্য লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়েন। বাজারে সামাজিক দূরত্ব না মেনে এবং স্বাস্থ্যবিধি উপো করার বিষয়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে বারবার সতর্ক করা হয়।

বেসামাল ভীড় প্রসংগে গত শনিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিহাব রায়হানের নিকট প্রশ্ন তোলা হলে তিনি আক্ষেপের সাথে বলেন, ‘রঙিন পোশাক কিনতে গিয়ে যেন সাদা পোশাক নিয়ে বাড়ি আসতে না হয়।’

শেষ পর্যন্ত আর কোন উপায়ন্তর না দেখে জেলা প্রশাসন বাধ্য হয়ে গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বন্ধের নির্দেশনা জারী করেন।