ঢাকা ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

মহাসড়কে ধান ও খড়ের বিড়ম্বনা! প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০১:৫৬:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মে ২০২০
  • / 169

খায়রুল খন্দকার, টাঙ্গাইলঃ টাঙ্গাইলের উপজেলার ভূঞাপুরে বিভিন্ন সড়কে যত্রতত্র ভাবে শুকানো হচ্ছে ধান ও খড়। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।

এলেঙ্গা-ভূঞাপুর-গোবিন্দাসী যাওয়ার প্রধান সড়কটি জেলার অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক। এই সড়ক দিয়েই পাশের পার্শ্ববর্তী জামালপুরের তারাকান্দি সার কারখানা, ঢাকাগামী কিছু বাস, ক্যান্টনমেন্ট সহ উপজেলার সকল পণ্যবাহী গাড়ি গুলো উত্তরবঙ্গে উদ্দেশ্যে যাতায়াত করে। করোনা পরিস্থিতির কারণে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও, সিএনজি চালিত রিক্সা, প্রাইভেট কার, মোটর সাইকেলের চলাচল করছে। আর এই মহাসড়কেই স্থানীয়রা তার বাড়ির সামনে পুরো রাস্তা জুড়ে ধান ও ধানের খড় শুকাতে দিচ্ছে।

সড়কে গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় একপাশে আবার কোন জায়গায় পুরো সড়ক জুড়েই ধানের খড় ও ধান শুকানোর জন্য ছড়িয়ে রাখছে। কিছু জায়গায় ছড়িয়ে রাখা খড় ও ধানের ওপর দিয়ে যেন যানবাহন না যেতে পারে সেজন্য সড়কের মাঝখানেই কলাগাছ ও কাঠের গুড়ি দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। ফলে প্রতিদিনই কোন না কোন দূর্ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়। এদিকে বৃষ্টি হওয়াতে খড়গুলো হয়ে উঠেছে মাত্রাতিরিক্ত পিচ্ছিল। যা মোটর মোটর সাইকেল ও ব্যাটারি চালিত ভ্যানের জন্য ভয়াবহ হুমকিস্বরূপ।

এছাড়াও সড়কের ধান ও খড় খেতে আসে হাস ও হাঁস। ফলে আকস্মিক ভাবে এসব দেখে ব্রেক চাপতেই পিচ্ছিল খড়ের ওপর গাড়ি পড়ে গিয়ে ঘটছে বিভিন্ন দুর্ঘটনা। আহত যাত্রীরা ঘটনাস্থলেই অভিযোগ করলেও কেউ সেটি কর্ণপাত করছেনা। বরং প্রতিদিনের মত তারা আবার সড়কে ধান ও খড় শুকাতে দিচ্ছে।

এই সড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারী ব্যাংক কর্মকর্তা শাহ আলম জানান, আমি গতপরশু মোটরসাইকেলে অফিসে যাচ্ছিলাম। কাগমারী পাড়া নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক কে সাইড দিতে গিয়ে খড়ের উপর ব্রেক কষতেই মোটর সাইকেল পিচ্ছিল খড়ের ওপর পরে যায় কিন্তু অল্পের জন্য সে যাত্রায় বেঁচে যাই।

আরেক সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক মফিজুল ইসলাম জানায়, গোবিন্দাসী থেকে ভূঞাপুর ফেরার পথে ছাব্বিশা আসলে রাস্তার বাম পাশে ধান শুকাতে দেয়। ডান দিক থেকে আসা একটি ট্রাককে সাইড দিয়ে দিতে গিয়ে আমার গাড়ি ধানের পাশে কাঠের গুড়ির সাথে লেগে চাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয় ও ২ যাত্রী ব্যাথা পায়।

এই সড়কে চলাচলকারী যানবাহন চালকরা জানান, রাস্তায় খড় ও ধানের উপর দিয়ে যান চলাচল করা খুব ঝুঁকিপূর্ণ। এর ফলে মারাত্মক ক্ষতি সহ প্রাণনাশের মত দুর্ঘটনা ঘটছে। এই সমস্যা সমাধানে চালক, যাত্রী ও জনসাধারণ দ্রুত প্রশাসন এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

মহাসড়কে ধান ও খড়ের বিড়ম্বনা! প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা

প্রকাশিত সময় ০১:৫৬:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মে ২০২০

খায়রুল খন্দকার, টাঙ্গাইলঃ টাঙ্গাইলের উপজেলার ভূঞাপুরে বিভিন্ন সড়কে যত্রতত্র ভাবে শুকানো হচ্ছে ধান ও খড়। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।

এলেঙ্গা-ভূঞাপুর-গোবিন্দাসী যাওয়ার প্রধান সড়কটি জেলার অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক। এই সড়ক দিয়েই পাশের পার্শ্ববর্তী জামালপুরের তারাকান্দি সার কারখানা, ঢাকাগামী কিছু বাস, ক্যান্টনমেন্ট সহ উপজেলার সকল পণ্যবাহী গাড়ি গুলো উত্তরবঙ্গে উদ্দেশ্যে যাতায়াত করে। করোনা পরিস্থিতির কারণে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও, সিএনজি চালিত রিক্সা, প্রাইভেট কার, মোটর সাইকেলের চলাচল করছে। আর এই মহাসড়কেই স্থানীয়রা তার বাড়ির সামনে পুরো রাস্তা জুড়ে ধান ও ধানের খড় শুকাতে দিচ্ছে।

সড়কে গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় একপাশে আবার কোন জায়গায় পুরো সড়ক জুড়েই ধানের খড় ও ধান শুকানোর জন্য ছড়িয়ে রাখছে। কিছু জায়গায় ছড়িয়ে রাখা খড় ও ধানের ওপর দিয়ে যেন যানবাহন না যেতে পারে সেজন্য সড়কের মাঝখানেই কলাগাছ ও কাঠের গুড়ি দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। ফলে প্রতিদিনই কোন না কোন দূর্ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়। এদিকে বৃষ্টি হওয়াতে খড়গুলো হয়ে উঠেছে মাত্রাতিরিক্ত পিচ্ছিল। যা মোটর মোটর সাইকেল ও ব্যাটারি চালিত ভ্যানের জন্য ভয়াবহ হুমকিস্বরূপ।

এছাড়াও সড়কের ধান ও খড় খেতে আসে হাস ও হাঁস। ফলে আকস্মিক ভাবে এসব দেখে ব্রেক চাপতেই পিচ্ছিল খড়ের ওপর গাড়ি পড়ে গিয়ে ঘটছে বিভিন্ন দুর্ঘটনা। আহত যাত্রীরা ঘটনাস্থলেই অভিযোগ করলেও কেউ সেটি কর্ণপাত করছেনা। বরং প্রতিদিনের মত তারা আবার সড়কে ধান ও খড় শুকাতে দিচ্ছে।

এই সড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারী ব্যাংক কর্মকর্তা শাহ আলম জানান, আমি গতপরশু মোটরসাইকেলে অফিসে যাচ্ছিলাম। কাগমারী পাড়া নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক কে সাইড দিতে গিয়ে খড়ের উপর ব্রেক কষতেই মোটর সাইকেল পিচ্ছিল খড়ের ওপর পরে যায় কিন্তু অল্পের জন্য সে যাত্রায় বেঁচে যাই।

আরেক সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক মফিজুল ইসলাম জানায়, গোবিন্দাসী থেকে ভূঞাপুর ফেরার পথে ছাব্বিশা আসলে রাস্তার বাম পাশে ধান শুকাতে দেয়। ডান দিক থেকে আসা একটি ট্রাককে সাইড দিয়ে দিতে গিয়ে আমার গাড়ি ধানের পাশে কাঠের গুড়ির সাথে লেগে চাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয় ও ২ যাত্রী ব্যাথা পায়।

এই সড়কে চলাচলকারী যানবাহন চালকরা জানান, রাস্তায় খড় ও ধানের উপর দিয়ে যান চলাচল করা খুব ঝুঁকিপূর্ণ। এর ফলে মারাত্মক ক্ষতি সহ প্রাণনাশের মত দুর্ঘটনা ঘটছে। এই সমস্যা সমাধানে চালক, যাত্রী ও জনসাধারণ দ্রুত প্রশাসন এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।