লিবিয়ায় নিহত ২৬ বাংলাদেশির মরদেহ আসছে না দেশে
- প্রকাশিত সময় ০৮:৫৩:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মে ২০২০
- / 151
বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম বিষয়ক কাউন্সিলর অশরাফুল ইসলাম জানিয়েছেন, নিহতদের পরিবারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে মিজদা শহরেই মরদেহগুলো দাফনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আশরাফুল ইসলাম বলেন, “লাশগুলো এখানে দাফন করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। কাজেই এটা মেনে নিতে হবে।”
তিনি আরো জানান, লাশগুলো বর্তমানে ঘটনাস্থল মিজদার একটি হাসপাতালে রয়েছে।
“মিজদা খুব অনুন্নত একটি শহর। তাই লাশ সংরক্ষণের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থাও এখানে নেই।”
এছাড়া যুদ্ধকবলিত এবং এলাকাটি লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে হওয়ায় রাজধানী ত্রিপোলির সাথে মিজদা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থাও বেশ খারাপ বলে জানান আশরাফুল ইসলাম।
উপরন্তু করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে সব ধরণের আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় লাশগুলো মিজদা শহর থেকে সরিয়ে নেয়া সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
“এসব কারণে লাশ হস্তান্তর করার বা বাংলাদেশে পাঠানোর কোনো সুযোগ নেই। এজন্য আমরা তাদের পরিবারের সাথে কথাবার্তা বলে লাশগুলো এখানে দাফন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে আজ থেকেই হয়ত লাশগুলো দাফনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
গত বৃহস্পতিবার সকালে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে মিজদা অঞ্চলে অপহরণকারীদের গুলিতে ২৬ জন বাংলাদেশি নিহত হন। আহত হন আরো ১১ জন।
তারা লিবিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পারি দিয়ে অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
উল্লেখ্য লিবিয়ার বেনগাজি বন্দরে পৌঁছে সেখানে কয়েকমাস আত্মগোপনে ছিলেন এই অভিবাসন প্রত্যাশীরা।
এ মাসের মাঝামাঝিতে বেনগাজি থেকে উপকূলবর্তী যুওয়ারা অঞ্চলে যাওয়ার পথে অপহরণকারীদের কবলে পড়েন তারা।
এরপর গত ২৮ মে সকালে অপহরণকারীদের গুলিতে ২৬ জন বাংলাদেশিসহ মোট ৩০ জন মারা যায় বলে জানায় লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার।
সূত্রঃ বিবিসি