টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে আরো নতুন করে ২জন করোনায় আক্রান্ত
- প্রকাশিত সময় ০৬:১২:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুন ২০২০
- / 152
খায়রুল খন্দকার, টাঙ্গাইলঃ প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নতুন করে আরো ২জন আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে ।
আক্রান্ত ২জনের বাড়ি উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নে। তারা হলেন গোবিন্দাসী গ্রামের মরহুম ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে শাহ আলম ( ৪৫) ও চিতুলিয়া পাড়া গ্রামের শামসুল হকের ছেলে আলাউদ্দিন (৩৫)। তারা গত ২৫ মে (সোমবার) ঢাকার কর্মস্থল থেকে নিজ বাড়িতে আসেন।
স্থানীয় ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মজনু মিয়া জানান , গত ১জুন (সোমবার) শাহ আলম বাড়ি এসে জ্বর, ঠান্ডা, কাশি নিয়ে অসুস্থতা বোধ করলে সে স্ত্রীকে নিয়ে উপজেলার পৌর এলাকার কাঁকন ক্লিনিকে যান। সেখানে ডা. ফরিদুজ্জামান তার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে ব্যবস্থাপত্রে ডেলটা কোম্পানীর Cefotixone (ZON 3) ইনজেকশন লিখেন। পরে তিনি সেটি কোন এক ওষুধের দোকান থেকে সংগ্রহ করলেও শরীরে পুশ করতে পারেন না। ইনজেকশন দিতে গোবিন্দাসী বাজারের বিভিন্ন ওষুধের দোকানে গেলেও সকল দোকানদার তাকে ইনজেকশন দিতে অসম্মতি জানান। তিনি ঢাকা থেকে এসেছেন ও তার জ্বর, ঠান্ডা করোনা ভাইরাসের প্রাথমিক উপসর্গ ধারণা করে তাকে করোনা টেস্ট করতে বলেন। এমতাবস্থায় তিনি গোবিন্দাসী উচ্চ বিদ্যালয় রোড সংলগ্ন ফাতেমা মেডিকেল হলে গেলে দোকানের মালিক সুলতান মাহমুদ ইনজেকশন দিয়ে দেন।
এই ঘটনায় এলাকার লোকজন ভাইরাস আতঙ্কে রয়েছে। স্থানীয়রা তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের বাড়ি বের হতে নিষেধ করেন, কিন্তু তারা সেসব কথা অমান্য করে দিব্যি গোবিন্দাসী বাজারে ঘোরাফেরা করছে ও বিভিন্ন দোকান থেকে বাজার করছেন।
এদিকে ঢাকা ফেরত অন্যজন আলাউদ্দিন ঢাকা থেকে বাড়িতে আসার খবর পেয়ে করোনা সন্দেহে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা ৩১ মে (রবিবার) তার নমুনা সংগ্রহ করেন। পর ৫ জুন (শুক্রবার) সকালে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, তিনি করোনা পজিটিভ।
শুক্রবার (৬ জুন) এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা ডা. মহীউদ্দিন বলেন, নতুন করে দুই জন আক্রান্ত সহ ভূঞাপুর উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১২জন। এর মধ্যে ৯জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. নাসরীন পারভীন জানান, ঢাকা ফেরত ওই ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ফলাফল পজিটিভ আসায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সুপারিশে আক্রান্তদের বাড়ি ও আশেপাশের দুইটি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এসব বাড়ি থেকে পরিবারের কেউ ১৪দিন ঘর থেকে বাহিরে যাবে না ও বাহির হতে কেউ প্রবেশ করবে না।