সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ সহ ১৫ জন আহত
- প্রকাশিত সময় ১২:৪৮:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুন ২০২০
- / 103
আমিনুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জঃ সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সালিশবৈঠককে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক কামাল আহমেদ গুলিবিদ্ধ সহ উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছে।
গুরুতর আহত কামাল আহমেদ (৩৫) কে এনায়েতপুরের বেতিল ড্যাফোডিল ক্লিনিক ও অন্যদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে দুই পক্ষের ২০টি মোটর সাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
পুলিশ ও এলাকাবাসি জানান, উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জোকনালা গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী শিক্ষিকা উম্মে জহুরার একটি পরিত্যাক্ত পুকুর নিয়ে প্রতিবেশী রফিকুল ইসলামের সাথে বিরোধ চলছিলো।
এনিয়ে শনিবার বিকেলে সালিশ বৈঠক ডাকা হয় জোকনালা বাজারে। এসময় রফিকুল ইসলামের পক্ষে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সাজ্জাদুল হক রেজার নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন হাজির হয় সেখানে। সালিশ কাজ বিলম্বিত হওয়ায় তারা প্রায় অর্ধশত মোটরসাইকেল নিয়ে সগুনা চৌরাস্তা মোড়ে পৌছলে তখন বিপরীত দিক থেকে শিক্ষিকা উম্মে জহুরার পক্ষে নিকট আত্বীয় দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা আশিকুর রহমান লাজুক বিশ্বাসের নেতৃত্বে শতাধীক লোক মোটরসাইকেল নিয়ে মুখোমুখি হলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে।
এসময় লাজুক বিশ্বাসের পক্ষের উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক কামাল আহমেদ গুলিবিদ্ধ সহ রেজা গ্রুপের যুবলীগ কর্মী নাজমুল সহ উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে ভাংচুর করা হয় উভয় পক্ষের প্রায় ২০টি মোটরসাইকেল।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আহতদের মধ্যে সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা কামাল আহমেদকে গুরুতর অবস্থায় স্থানীয় ড্যাফোডিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত সিরাজগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এবিষয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আ.লীগের সভাপতি সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস জানান, রেজা নিজেই গুলি চালিয়ে দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা আমার ছেলে আশিকুর রহমান লাজুক বিশ্বাসকে হত্যার চেষ্টা করে। ভাগ্যক্রমে সে বেঁচে গেছে তবে ওই গুলিতে উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক কামাল আহমেদ গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে।
অপরদিকে গুলি চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করে সাজ্জাদুল হক রেজা জানান সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস নিজেই গুলি চালিয়ে আমার ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন। আমিতো তার হামলার শিকার হয়ে ওখান থেকে জীবন নিয়ে ফিরে এসেছি।
সংগর্ষ এবং গুলি বিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম, প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাদ দিয়ে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এখনো আমরা কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে গুলির বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি।