ঢাকা ০২:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ফরিদপুরে সর্বোচ্চ সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্যের শরীরে করোনা শনাক্ত

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০১:২৬:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জুন ২০২০
  • / 178

ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ সারাদেশের মতো ফরিদপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সামনের সারির যোদ্ধা। ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামানের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের সদস্যরা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সামনে থেকে লড়াই করে চলছেন শুরুর থেকেই।

তাঁরা ফরিদপুরবাসীকে করোনা ভাইরাসের করাল গ্রাস থেকে নিরাপদ রাখতে প্রতিনিয়ত হাতে নিচ্ছেন নানা উদ্যোগ। তাঁদের এই উদ্যোগ শুধু সচেতন করার জন্যই নয়, তাঁরা করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। আক্রান্ত ব্যক্তির ও পরিবারে যাবতীয় সমস্যা সমাধানে নিরলস ভূমিকা পালন করছেন ফরিদপুর পুলিশের সদস্যরা। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি পরিবহন থেকে সৎকার ও দাফন সহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন ফরিদপুর জেলা পুলিশ।

একইসঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনা ভাইরাসের শিকার হয়েছেন ফরিদপুর র‌্যাব-৮-এর সদস্যরা। এর মধ্যে পুলিশের আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ জন আর র‌্যাবে সেই সংখ্যা ২১ জনে দাঁড়িয়েছে।

এই ৭০ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এখনো করোনা পজিটিভ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে বলে জানায় জেলা পুলিশ ও র‌্যাব।

এ বিষয়ে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান বলেন, ‘শুরু থেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই দুর্যোগে কাজ করছে পুলিশ। বেশির ভাগ সময়ই দেখা যায়, করোনায় মৃত ব্যক্তির দাফনে বা সৎকারে কোনো লোক পাওয়া যায় না। সেখানে পুলিশ সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মৃতের দাফন ও সৎকারের ব্যবস্থা করছেন। এ ছাড়াও আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাঁর পরিবারের নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন।’

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‌‘জেলায় মোট ৪৯ জন পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ভাঙ্গা থানাতেই ৩৩ জন। ফরিদপুর পুলিশ লাইন্স থেকে অতিরিক্ত ফোর্স পাঠিয়ে ঐ থানার দৈনিক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।’

পুলিশ থাকতে কোন মানুষ অসহায় হয়ে বা না খেয়ে থাকবে না। মৃত্যুর পর সকলের দাফন বা সৎকারের ব্যবস্থাও পুলিশ সদস্যরা করবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের বেশির ভাগ সদস্যই নিজ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। বাকিরা জেলার পুলিশ হাসপাতাল ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিশেষায়িত কোভিড-১৯ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে এই করোনা দুর্যোগেও র‍্যাব সদস্যরা নিয়মিত টহল, বিশেষ অভিযান, মাদকবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে। এ পর্যন্ত র‌্যাব-৮ ফরিদপুর কোম্পানির ২১ জন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

র‌্যাব-৮ ফরিদপুর কোম্পানি কমান্ডার দেবাশীষ কর্মকার তাঁর ক্যাম্পের ২১ সদস্যের করোনায় আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আক্রান্ত সদস্যদের র‌্যাব-৮-এর হেডকোয়ার্টার বরিশালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তাঁদের চিকিৎসার জন্য মিনি হাসপাতালের ব্যবস্থা রয়েছে। করোনায় আক্রান্ত সদস্যদের সেখানেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ফরিদপুর জেলায় করোনা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে দিন দিন। এরইমধ্যে জেলার ভাঙ্গা উপজেলাকে ১৫ দিনের জন্য পূর্ণাঙ্গ লকডাউন ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসন।

ফরিদপুরে সর্বোচ্চ সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্যের শরীরে করোনা শনাক্ত

প্রকাশিত সময় ০১:২৬:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জুন ২০২০

ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ সারাদেশের মতো ফরিদপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সামনের সারির যোদ্ধা। ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামানের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের সদস্যরা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সামনে থেকে লড়াই করে চলছেন শুরুর থেকেই।

তাঁরা ফরিদপুরবাসীকে করোনা ভাইরাসের করাল গ্রাস থেকে নিরাপদ রাখতে প্রতিনিয়ত হাতে নিচ্ছেন নানা উদ্যোগ। তাঁদের এই উদ্যোগ শুধু সচেতন করার জন্যই নয়, তাঁরা করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। আক্রান্ত ব্যক্তির ও পরিবারে যাবতীয় সমস্যা সমাধানে নিরলস ভূমিকা পালন করছেন ফরিদপুর পুলিশের সদস্যরা। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি পরিবহন থেকে সৎকার ও দাফন সহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন ফরিদপুর জেলা পুলিশ।

একইসঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনা ভাইরাসের শিকার হয়েছেন ফরিদপুর র‌্যাব-৮-এর সদস্যরা। এর মধ্যে পুলিশের আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ জন আর র‌্যাবে সেই সংখ্যা ২১ জনে দাঁড়িয়েছে।

এই ৭০ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এখনো করোনা পজিটিভ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে বলে জানায় জেলা পুলিশ ও র‌্যাব।

এ বিষয়ে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান বলেন, ‘শুরু থেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই দুর্যোগে কাজ করছে পুলিশ। বেশির ভাগ সময়ই দেখা যায়, করোনায় মৃত ব্যক্তির দাফনে বা সৎকারে কোনো লোক পাওয়া যায় না। সেখানে পুলিশ সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মৃতের দাফন ও সৎকারের ব্যবস্থা করছেন। এ ছাড়াও আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাঁর পরিবারের নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন।’

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‌‘জেলায় মোট ৪৯ জন পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ভাঙ্গা থানাতেই ৩৩ জন। ফরিদপুর পুলিশ লাইন্স থেকে অতিরিক্ত ফোর্স পাঠিয়ে ঐ থানার দৈনিক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।’

পুলিশ থাকতে কোন মানুষ অসহায় হয়ে বা না খেয়ে থাকবে না। মৃত্যুর পর সকলের দাফন বা সৎকারের ব্যবস্থাও পুলিশ সদস্যরা করবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের বেশির ভাগ সদস্যই নিজ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। বাকিরা জেলার পুলিশ হাসপাতাল ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিশেষায়িত কোভিড-১৯ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে এই করোনা দুর্যোগেও র‍্যাব সদস্যরা নিয়মিত টহল, বিশেষ অভিযান, মাদকবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে। এ পর্যন্ত র‌্যাব-৮ ফরিদপুর কোম্পানির ২১ জন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

র‌্যাব-৮ ফরিদপুর কোম্পানি কমান্ডার দেবাশীষ কর্মকার তাঁর ক্যাম্পের ২১ সদস্যের করোনায় আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আক্রান্ত সদস্যদের র‌্যাব-৮-এর হেডকোয়ার্টার বরিশালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তাঁদের চিকিৎসার জন্য মিনি হাসপাতালের ব্যবস্থা রয়েছে। করোনায় আক্রান্ত সদস্যদের সেখানেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ফরিদপুর জেলায় করোনা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে দিন দিন। এরইমধ্যে জেলার ভাঙ্গা উপজেলাকে ১৫ দিনের জন্য পূর্ণাঙ্গ লকডাউন ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসন।