ঢাকা ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ফরিদপুর জেলার শ্রেষ্ঠ গণমাধ্যম যোদ্ধারা

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৪:৪৯:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জুন ২০২০
  • / 110

ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের পদ্মা, মধুমতী, আড়িয়াল খাঁ, কুমার ও ভুবনেশ্বর নদীর তীরের সুনামধন্য জেলা ফরিদপুর। ফরিদপুর জেলার বহু কৃতি সন্তান রয়েছে যারা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে আজও লড়াই করে যাচ্ছেন সত্য ও মানুষের জন্য। এই সত্য ও মানুষের জন্য লড়াই করতে গিয়ে শহীদ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অসংখ্য মেধাবী সন্তান। তারা এই জেলার শ্রেষ্ঠতম তথ্য যোদ্ধা ও সংবাদ কর্মী ।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশের গণ্যমাধ্যম ও সাংবাদিকতা জগতে যে অশনি আলো নেমে আসে তার ভিন্নতা হয়নি ফরিদপুরেও। সামরিক শাসন আমল থেকে শুরু অসংখ্য সাংবাদিক হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, হচ্ছেন আজও। অনেকেই জেল-জুলুম খেটেছেন।

২০০৫ সালে নিহত হয়েছেন তৎকালীন সমকালের ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান ভাঙ্গার চন্ডিদাসদি গ্রামের সন্তান নির্ভিক সাংবাদিক গৌতম দাস। বর্তমান সরকার এই ঘটনার বিচার কার্য সম্পন্ন করেছে।

ফরিদপুরে তৎকালীন জনকণ্ঠের প্রতিনিধি বর্তমান উত্তরাধিকার একাত্তরের সম্পাদক শহিদ বুদ্ধিজীবি পরিবারের সন্তান সাংবাদিক প্রবীর শিকদার-কে হত্যার উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের উস্কানিতে শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে। এই ঘটনায় তার একটি পা হারায়। পঙ্গুত্ব জীবন নিয়েও তিনি নির্ভিক ছুটে চলেছেন সত্য প্রকাশে।

তৎকালীন ফরিদপুরের আজকের কাগজের প্রতিনিধি অমরেশ রায় ও ভোরের কাগজের প্রতিনিধি অশোকেশ রায়-কে হামলা-মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়। এমন কি? তাদের জেলা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করা হয়। তারা বর্তমানে ঢাকায় সাংবাদিকতা পেশায় কর্মরত রয়েছেন।

ফরিদপুর প্রথম আলোর ব্যুরো প্রধান সাংবাদিক পান্না বালার উপর ২ দফা হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয় ২০১২ ও ২০১৫ সালে।

সাংবাদিক বেলার চৌধুরী তৎকালীন গ্রামের কাগজের ফরিদপুর প্রতিনিধি সন্ত্রাসীরা হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে দুই হাতের রগ কেটে দেয়।

সাংবাদিক বিজয় পোদ্দার দৈনিক ফরিদপুরের সহ-সম্পাদক ও ইদানিং-এর তৎকালীন বার্তা সম্পাদক তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দুই দফা হামলা করা হয়। একবার রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে, আরেকবার শোভারামপুরস্থ বাসভবনে গান পাউডার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

সাংবাদিক আশিষ পোদ্দার বিমান দৈনিক গণসংহতি পত্রিকার বার্তা সম্পাদক-কে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতারের ভিতরে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।

এছাড়া ২০০৫ সালে ভাঙ্গার খবর পত্রিকার সম্পাদক মামুনুর রশিদ কে ততকালীন ক্ষমতাশীল দলের ছত্রছায়ায় থাকা একজন আদম ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে লেখার অভিযোগে মিথ্যা মামলায় সাঁজা দেন ততকালীন জেলা ম্যজিস্ট্রেট আদালত।

সারা দেশেই ক্রমাগত ভাবে মিথ্যা মামলা-হামলার শিকার হচ্ছেন তথ্য যোদ্ধারা যুগে যুগে ফরিদপুর সহ দেশের সাধারণ জনগণের কাছে সঠিক ও নির্ভুল তথ্য তুলে ধরতে গিয়ে। তারা ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না এতে করে, তৈরি হচ্ছে আগামী প্রজন্মের মধ্যে সাংবাদিকতা পেশা কে নিয়ে ভীতি ও অনিহা।

তবু্ও থেমে নেই লড়াই, অল্প সংখ্যক হলেও নতুন তরুণ-তরুণীরা আসছেন এই পেশায় সমস্ত ভয় ও সঙ্কা কে উপেক্ষা করে ফরিদপুর জেলা বুকে সত্যকে সবার সামনে তুলে ধরতে।

ফরিদপুর জেলার শ্রেষ্ঠ গণমাধ্যম যোদ্ধারা

প্রকাশিত সময় ০৪:৪৯:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জুন ২০২০

ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের পদ্মা, মধুমতী, আড়িয়াল খাঁ, কুমার ও ভুবনেশ্বর নদীর তীরের সুনামধন্য জেলা ফরিদপুর। ফরিদপুর জেলার বহু কৃতি সন্তান রয়েছে যারা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে আজও লড়াই করে যাচ্ছেন সত্য ও মানুষের জন্য। এই সত্য ও মানুষের জন্য লড়াই করতে গিয়ে শহীদ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অসংখ্য মেধাবী সন্তান। তারা এই জেলার শ্রেষ্ঠতম তথ্য যোদ্ধা ও সংবাদ কর্মী ।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশের গণ্যমাধ্যম ও সাংবাদিকতা জগতে যে অশনি আলো নেমে আসে তার ভিন্নতা হয়নি ফরিদপুরেও। সামরিক শাসন আমল থেকে শুরু অসংখ্য সাংবাদিক হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, হচ্ছেন আজও। অনেকেই জেল-জুলুম খেটেছেন।

২০০৫ সালে নিহত হয়েছেন তৎকালীন সমকালের ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান ভাঙ্গার চন্ডিদাসদি গ্রামের সন্তান নির্ভিক সাংবাদিক গৌতম দাস। বর্তমান সরকার এই ঘটনার বিচার কার্য সম্পন্ন করেছে।

ফরিদপুরে তৎকালীন জনকণ্ঠের প্রতিনিধি বর্তমান উত্তরাধিকার একাত্তরের সম্পাদক শহিদ বুদ্ধিজীবি পরিবারের সন্তান সাংবাদিক প্রবীর শিকদার-কে হত্যার উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের উস্কানিতে শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে। এই ঘটনায় তার একটি পা হারায়। পঙ্গুত্ব জীবন নিয়েও তিনি নির্ভিক ছুটে চলেছেন সত্য প্রকাশে।

তৎকালীন ফরিদপুরের আজকের কাগজের প্রতিনিধি অমরেশ রায় ও ভোরের কাগজের প্রতিনিধি অশোকেশ রায়-কে হামলা-মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়। এমন কি? তাদের জেলা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করা হয়। তারা বর্তমানে ঢাকায় সাংবাদিকতা পেশায় কর্মরত রয়েছেন।

ফরিদপুর প্রথম আলোর ব্যুরো প্রধান সাংবাদিক পান্না বালার উপর ২ দফা হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয় ২০১২ ও ২০১৫ সালে।

সাংবাদিক বেলার চৌধুরী তৎকালীন গ্রামের কাগজের ফরিদপুর প্রতিনিধি সন্ত্রাসীরা হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে দুই হাতের রগ কেটে দেয়।

সাংবাদিক বিজয় পোদ্দার দৈনিক ফরিদপুরের সহ-সম্পাদক ও ইদানিং-এর তৎকালীন বার্তা সম্পাদক তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দুই দফা হামলা করা হয়। একবার রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে, আরেকবার শোভারামপুরস্থ বাসভবনে গান পাউডার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

সাংবাদিক আশিষ পোদ্দার বিমান দৈনিক গণসংহতি পত্রিকার বার্তা সম্পাদক-কে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতারের ভিতরে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।

এছাড়া ২০০৫ সালে ভাঙ্গার খবর পত্রিকার সম্পাদক মামুনুর রশিদ কে ততকালীন ক্ষমতাশীল দলের ছত্রছায়ায় থাকা একজন আদম ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে লেখার অভিযোগে মিথ্যা মামলায় সাঁজা দেন ততকালীন জেলা ম্যজিস্ট্রেট আদালত।

সারা দেশেই ক্রমাগত ভাবে মিথ্যা মামলা-হামলার শিকার হচ্ছেন তথ্য যোদ্ধারা যুগে যুগে ফরিদপুর সহ দেশের সাধারণ জনগণের কাছে সঠিক ও নির্ভুল তথ্য তুলে ধরতে গিয়ে। তারা ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না এতে করে, তৈরি হচ্ছে আগামী প্রজন্মের মধ্যে সাংবাদিকতা পেশা কে নিয়ে ভীতি ও অনিহা।

তবু্ও থেমে নেই লড়াই, অল্প সংখ্যক হলেও নতুন তরুণ-তরুণীরা আসছেন এই পেশায় সমস্ত ভয় ও সঙ্কা কে উপেক্ষা করে ফরিদপুর জেলা বুকে সত্যকে সবার সামনে তুলে ধরতে।