রাজশাহীর বাঘায় কলেজ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা: গ্রেফতার ৫
- প্রকাশিত সময় ০৪:৪১:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই ২০২০
- / 81
হাবিল উদ্দিন, বাঘাঃ রাজশাহীর বাঘায় মেহগনি গাছের ডাল কাটাকে কেন্দ্র করে পিটিয়ে রিদওয়ান হৃদয় (২০) নামক এক কলেজ ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে।
রিদওয়ান হৃদয় বাঘা শাহদৌল্লাহ সরকারী কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এতে আহত হয়েছে ৫ জন।
বুধবার ১ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার পাকুড়িয়া (কলিগ্রাম) এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। বুধবার ১ জুলাই দিবাগত রাতে নিহতের বাবা বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামী করে বাঘা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই ঘটনায় থানায় এজাহারভুক্ত নামীয় সাদেক আলী (৬৫), রুমিয়া বেগম (৫৫), তাজমিরা বেগম (২৫) ও কল্পনা খাতুন (৩২) কে পুলিশ আটক করেছে। বৃহষ্প্রতিবার ২ জুলাই সকালে রেখা বেগম(৩৫) নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, দ্বীন-মোহাম্মদ দুখু ও তার দুই ছেলে নিহত রিদওয়ান হৃদয়, সাব্বির আহম্মেদ বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়ার (কলিগ্রাম) নিজ বাড়ির মেহগনি গাছের ডাল কাটছিল। এ সময় বাড়ির পাশের রকসেদ আলীর ছেলে সাদেক আলী (৬৫) ওই গাছটি তার জমির উপর দাবি করে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে সাদেক আলী, তার ছেলে সুজন আলী, স্ত্রী রুমিয়া বেগম, ছেলে বউ তাজমিরা বেগম, কল্পনা খাতুন, ফরিদ উদ্দিনসহ আরো অনেকে দলবদ্ধভাবে হাতুরী ও লোহার রড-লাঠি দিয়ে তাদের উপর হামলা করে।
এই হামলায় দ্বীন-মোহাম্মদ দুখু, তার স্ত্রী শাহানাজ বেগম, ছেলে রিদওয়ান হৃদয়, সাব্বির আহম্মেদ, মেয়ে শারমিন খাতুন জখম ও আহত হয়। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে প্রথমে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এরমধ্যে রিদওয়ান হৃদয়ের অবস্থা গুরুতর হলে তাৎক্ষনিক তাকে ঢাকার একটি হাসাপাতালে স্থানান্তর করে। হৃদয়কে মাইক্রোতে করে ঢাকা রওনা হলে পথে সন্ধ্যা ৭.৩০ টার দিকে মৃত্যু হয়।
হৃদয়ের মৃত্যুর ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সাদেক আলীসহ ৪ জনকে আটক করে।
এ বিষয়ে বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি বুধবার রাত ১০ টার দিকে জানার পর পরই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। লাশ তার বাড়ি থেকে থানায় আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২জুলাই) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। ৫ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছি। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার অভিযান চলছে।