ঢাকা ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ভিজিডি চাল বিতরণে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৫:৪৯:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জুলাই ২০২০
  • / 132

স্টাফ রিপোর্টারঃ পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ভিজিডি চাল বিতরণে সুবিধা ভোগিদের কাছ থেকে অবৈধ ভাবে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার খাঁনমরিচ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

গত ৩০ জুন মঙ্গলবার চাল বিতরণ কালে খাঁনমরিচ ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় ৫২১ জন কার্ডধারীর মধ্যে চাল বিতরণের সময় এ অর্থ আদায় করা হয়। গত ৭ দিনেও সুবিধা ভোগিরা আদায়কৃত টাকা ফেরত পায়নি। দেশের করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সুফলভোগী হতদরিদ্র নারীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ভিজিডি কার্যক্রমের জন্য বরাদ্দকৃত ৫২১ জন কার্ডধারীর চাল উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে উত্তোলন করেন ইউপি চেয়ারম্যান।

সুবিধাভোগিরা জানান, চাল বিতরণের সময় তাদের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কার্ডধারী বিধবা বলেন, মাইকিং করে এবং গ্রাম পুলিশদের বাড়ি বাড়ি পাঠিয়ে পরিবহন খরচ বাবদ ১০০ টাকা নিয়ে গিয়ে চাল আনতে বলে। আমি দিন আনি দিন খাই। আমার টাকা যোগাড় করার কোন সামর্থ্য নাই, ১০০ টাকা কইপাব। বাধ্য হয়ে ১০০ টাকা প্রতিবেশির কাছ থেকে ধার-দেনা করে এনেছি। বিতরণ কালে দায়িত্ব প্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার উপস্থিত থেকে তদারকি করার কথা থাকলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

অপর দিকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শ্রীপুর গ্রামের ইউপি সদস্য মোঃ শরীফ উদ্দিন জিন্নাহ বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের সম্মতিতে চাল বিতরণ কালে প্রত্যেক কার্ডধারীর কাছ থেকে ১০০ টাকা করে পরিবহন খরচ বাবদ আদায় করা হয়েছে।

গ্রাম পুলিশ মোঃ আব্দুল মজিদ ও ফরজ আলী বলেন, প্রায় সকল ইউপি সদস্যদের উপস্থিতিতে ১০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে ।

আনিত অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে, ইউপি চেয়ারম্যান আছাদুর রহমান বলেন, কার্ডধারীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার কথা শুনেই আমি বন্ধ করে দিয়েছি। অবৈধ ভাবে আদায় কৃতটাকা ফেরত দেবার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন আবার আমাকে নিয়ে টানা টানি করছেন কেন।

৫ জুলাই রবিবার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাসনাৎ জাহান বলেন, কার্ডধারীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি। কিন্তু লিখিত অভিযোগ না পাওয়াই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আশরাফুজ্জানের বলেন, বিষয়টি জেনে টাকা নেওয়া বন্ধের নির্দেশ এবং মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ভিজিডি চাল বিতরণে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

প্রকাশিত সময় ০৫:৪৯:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জুলাই ২০২০

স্টাফ রিপোর্টারঃ পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ভিজিডি চাল বিতরণে সুবিধা ভোগিদের কাছ থেকে অবৈধ ভাবে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার খাঁনমরিচ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

গত ৩০ জুন মঙ্গলবার চাল বিতরণ কালে খাঁনমরিচ ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় ৫২১ জন কার্ডধারীর মধ্যে চাল বিতরণের সময় এ অর্থ আদায় করা হয়। গত ৭ দিনেও সুবিধা ভোগিরা আদায়কৃত টাকা ফেরত পায়নি। দেশের করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সুফলভোগী হতদরিদ্র নারীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ভিজিডি কার্যক্রমের জন্য বরাদ্দকৃত ৫২১ জন কার্ডধারীর চাল উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে উত্তোলন করেন ইউপি চেয়ারম্যান।

সুবিধাভোগিরা জানান, চাল বিতরণের সময় তাদের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কার্ডধারী বিধবা বলেন, মাইকিং করে এবং গ্রাম পুলিশদের বাড়ি বাড়ি পাঠিয়ে পরিবহন খরচ বাবদ ১০০ টাকা নিয়ে গিয়ে চাল আনতে বলে। আমি দিন আনি দিন খাই। আমার টাকা যোগাড় করার কোন সামর্থ্য নাই, ১০০ টাকা কইপাব। বাধ্য হয়ে ১০০ টাকা প্রতিবেশির কাছ থেকে ধার-দেনা করে এনেছি। বিতরণ কালে দায়িত্ব প্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার উপস্থিত থেকে তদারকি করার কথা থাকলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

অপর দিকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শ্রীপুর গ্রামের ইউপি সদস্য মোঃ শরীফ উদ্দিন জিন্নাহ বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের সম্মতিতে চাল বিতরণ কালে প্রত্যেক কার্ডধারীর কাছ থেকে ১০০ টাকা করে পরিবহন খরচ বাবদ আদায় করা হয়েছে।

গ্রাম পুলিশ মোঃ আব্দুল মজিদ ও ফরজ আলী বলেন, প্রায় সকল ইউপি সদস্যদের উপস্থিতিতে ১০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে ।

আনিত অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে, ইউপি চেয়ারম্যান আছাদুর রহমান বলেন, কার্ডধারীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার কথা শুনেই আমি বন্ধ করে দিয়েছি। অবৈধ ভাবে আদায় কৃতটাকা ফেরত দেবার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন আবার আমাকে নিয়ে টানা টানি করছেন কেন।

৫ জুলাই রবিবার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাসনাৎ জাহান বলেন, কার্ডধারীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি। কিন্তু লিখিত অভিযোগ না পাওয়াই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আশরাফুজ্জানের বলেন, বিষয়টি জেনে টাকা নেওয়া বন্ধের নির্দেশ এবং মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।