মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ বৃহস্পতিবার ০৯ জুলাই সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈশ্বিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ও তত্ত্বাবধানে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রেজাউল করিম এর সভাপতিত্বে হাতিয়া উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে, বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষতা ও সচেতনতা, শীর্ষক প্রচার, প্রেস ব্রিফিং ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হাতিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ মাহবুব মুর্শেদ লিটন, পৌরমেয়র এ কে এম ইউছুপ আলী, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃআবু ছালেক, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ ফখরুল ইসলাম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ভবরঞ্জন দাস, উপজেলা রির্সোস সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর আকবর হোসেন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, সাংবাদিকসহ সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হাতিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ মাহবুব মুর্শেদ লিটন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সার্থে, জনগণের সার্থে ব্যাপক পরিমাণে উন্নয়ন মূলক কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য আমি আমার হাতিয়া উপজেলার পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে ধন্যবাদ জানায়। পাশাপাশি যে সকল প্রবাসী বিদেশে গিয়ে বিপদে আছে তাদের করণীয় কি এবং তারা কিভাবে সঠিক তথ্যের মাধ্যমে সহযোগিতা পাবে।কোন মাধ্যমে তারা সঠিক ভিসা পাবে। সে বিষয়ে আলোচনা করেন।

সেমিনারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রেজাউল করিম প্রস্তাব করেন, বাংলাদেশের যে সকল লোক টাকার কারণে বিদেশে যেতে পারচ্ছে না, তারা বাংলাদেশে একটা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক রয়েছে সেই ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বিদেশ যেতে পারেন এছাড়াও স্বল্প সুদে মাসিক কিস্তিতে শোধ করতে পারবেন এবং অনেকে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে বেশি সুদ দেয়। এ সকল এনজিও থেকে ঋণ না নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়াটা ভালো বলে মন্তব্য করেন।

এছাড়াও জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবু ছালেক জানান, হাতিয়া একটি দ্বীপ অঞ্চল এজন্য আমরা বিদেশ যাওয়ার আগে প্রবাসীদের ট্রেনিং এর জন্য হাতিয়া উপজেলায় একটি ট্রেনিং সেন্টার খোলার প্রস্তাব দিয়েছি এছাড়াও বৈধ ভাবে বিদেশ গেলে, বাংলাদেশে প্রবাসী কল্যাণ বৃত্তি এবং বিদেশে মারা গেলে মৃত ব্যক্তির পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করা হবে।

যে সকল প্রবাসী বিদেশে মারা যাবে তাদের কে বাংলাদেশে পাঠানো হলে যদি ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে টাকা পয়সার বিনিময়ে আনতে না পারলে তাহলে এয়ারপোর্টে প্রবাসী কল্যাণ বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধিনে এ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। যার মাধ্যেমে মৃত ব্যক্তিকে বিনা টাকায় এ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশে বিভিন্ন জেলায় প্রায় ১৬ শত রিক্রুটিং এজেন্সির অফিস রয়েছে। এছাড়াও কেউ বৈধ ভাবে বিদেশ গেলে সেখানে যদি কোন বিপদ আপদে পড়ে তাহলে সরকারি ভাবে সকল সুযোগ সুবিধা পাবে সেই স্থানের প্রবাসী কল্যাণ অফিসে। শুধু সেখানে গিয়ে সাথে সাথে অভিযোগ করতে হবে।

এছাড়াও জেলা পর্যায়ে যারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ট্রেনিং সাটিফিকেট নিয়ে বিদেশ যাবে তাদেরকে সকল দিক দিয়ে সুযোগ সুবিধার অগ্রধিকার দেওয়া হবে। ট্রেনিং শেষে সরকারি ভাবে একটি সাটিফিকেট দেওয়া হয় জেলা পর্যায়ে। ঐ সাটিফিকেট নিয়ে বিদেশ গেলে তাহলে আর কোন সমস্যা হবে না। প্রতি বছর উপজেলা পর্যায়ে ১ হাজার লোক বিদেশ পাঠানোর জন্য প্রস্তাব দিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

তিনি আরও জানান, বিদেশ যাওয়ার আগে ভিসা, পার্সপোট, মেডিকেল সাটিফিকেট এগুলো ভালো করে দেখে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। কোন প্রকার দালালদের হাতে না পড়ে সে দিকে নজর রাখার জন্য পরামর্শ দেন।