ঢাকা ১০:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৯:০৮:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুলাই ২০২০
  • / 114

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বেড়েই চলেছে। সেই সাথে বাড়ছে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও। এতে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার ৬ টি উপজেলার ৩৪ টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ।

শুক্রবার পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, বিগত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীতে ১৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সিমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি আজ সারাদিন স্থিতিশীল অবস্থায় থাকলেও আগামী তিনদিন পানি কমার পর আবারও বৃদ্ধি পেতে পারে।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সিমলা এলাকায় পাউবোর স্পার বাধেঁর অবশিষ্ট অংশ যমুনায় বিলীনসহ সয়দাবাদ ও কাজিপুর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর, তেকানি ও শুভগাছা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে পানি ঢুকে পড়েছে। এছাড়াও জেলার অর্ধশতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিক, পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, উপজেলার ৩২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় তলিয়ে গেছে। তিনটি কমিউনিটি ক্লিনিক ও তিনটি ইউনিয়ন পরিষদে বন্যার পানি ঢুকেছে।

শুক্রবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ সদর আসনের সাংসদ প্রফেসর হাবিবে মিল্লাত মুন্না সায়ষদাবাদ ও কালিয়াহরিপুর উইনয়নের বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন।

সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহমি জানান, চলতি বন্যায় জেলার ৬টি উপজেলার ৩৬টি ইউনিয়নের ২২৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের ৪৭ হাজার ৮শ’ ১৭টি পরিবার পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পানিতে আবদ্ধ ৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তলিয়ে গেছে ১৪ হাজার ১৩ হেক্টর জমির ফসল।

সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

প্রকাশিত সময় ০৯:০৮:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুলাই ২০২০

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বেড়েই চলেছে। সেই সাথে বাড়ছে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও। এতে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার ৬ টি উপজেলার ৩৪ টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ।

শুক্রবার পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, বিগত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীতে ১৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সিমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি আজ সারাদিন স্থিতিশীল অবস্থায় থাকলেও আগামী তিনদিন পানি কমার পর আবারও বৃদ্ধি পেতে পারে।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সিমলা এলাকায় পাউবোর স্পার বাধেঁর অবশিষ্ট অংশ যমুনায় বিলীনসহ সয়দাবাদ ও কাজিপুর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর, তেকানি ও শুভগাছা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে পানি ঢুকে পড়েছে। এছাড়াও জেলার অর্ধশতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিক, পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, উপজেলার ৩২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় তলিয়ে গেছে। তিনটি কমিউনিটি ক্লিনিক ও তিনটি ইউনিয়ন পরিষদে বন্যার পানি ঢুকেছে।

শুক্রবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ সদর আসনের সাংসদ প্রফেসর হাবিবে মিল্লাত মুন্না সায়ষদাবাদ ও কালিয়াহরিপুর উইনয়নের বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন।

সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহমি জানান, চলতি বন্যায় জেলার ৬টি উপজেলার ৩৬টি ইউনিয়নের ২২৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের ৪৭ হাজার ৮শ’ ১৭টি পরিবার পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পানিতে আবদ্ধ ৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তলিয়ে গেছে ১৪ হাজার ১৩ হেক্টর জমির ফসল।