বাজারে দাম ভাল থাকায় ভাঙ্গুড়া খাদ্যগুদামে ধান ও চাল সংগ্রহে গতিনেই
- প্রকাশিত সময় ০৩:১৪:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুলাই ২০২০
- / 92
ভাঙ্গুড়া(পাবনা) প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়ায় চলতি বোরো মৌসুমে সরকারী খাদ্যগুদামে ধান চাল সংগ্রহের গতিনেই।ছোট বাজারে ধানের দাম ভাল পাওয়ায় কৃষকেরা সরকারী খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করতে আগ্রহী হচ্ছেন না।
শনিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষক, জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ করে এমন চিত্র উঠেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এনামুল হক জানান, উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ৬ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়েছিল। প্রতি হেক্টরে গড় ফলন ৬ মেট্রিকটন হিসাবে ধান উৎপাদিত হয়েছে। সেই হিসাবে উপজেলায় ৩৬ হাজার ২১০ মেট্রিকটন ধান উৎপাদিত হয়েছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও উপজেলা ধান-চাল সংগ্রহ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব আইনিন আফরোজ জানান, চলতি বোরো মৌসুমে ২৬ টাকা কেজি দরে ৮শ’১০ মেট্রিকটন ধান এবং ৩৬ টাকা কেজি দরে ৭শ’৯৯ মেট্রিকটন চাউল কল মালিকদের নিকট থেকে ক্রয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরাসরি কৃষকদের নিকট থেকে ধান ক্রয়ের জন্য ব্যাপক প্রচার প্রচারনা চালিয়ে গত, ১ জুন থেকে আগ্রহী কৃষকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষীতে কৃষক নির্বাচনের লটারী সম্পন্ন হয়। প্রতিজন কৃষককে ১ মেট্রিকটন করে ধান বিক্রির জন্য বলা হয়। অপরদিকে চুক্তিবদ্ধ চাউল কল মালিকদের নিকট থেকে চাল সংগ্রহ করা হয়েছে ২শ’৮৫ মেট্রিকটন।
উপজেলার খাঁনমরিচ ইউনিয়নের কৃষক আব্দুস সালাম ফকির বলেন, বর্তমান হাট বাজারে প্রতি মণ ধান ৯শ’ থেকে ৯শ’ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কয়েক টাকা বেশি পাওয়ার আশা নিয়ে সরকারী খাদ্যগুদামে ধান দিতে গিয়ে শুধুই বিড়ম্বনায় (১৪% আর্দ্রতা, চিটা প্রভৃতি নিতিমালা রয়েছে খাদ্যগুদামে) পড়তে হয়। গত কয়েক বছরে ধানের বাজার দর বেশি ছিলনা। তখন কৃষকগণ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নেতৃবৃন্দের পিছনে ঘুড়েও সরকারী খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করতে পারেননি। এবার অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে বলে তারা খুশি।
একজন ধান ব্যবসায়ী বলেন, কৃষকের আইডি কার্ড ও কৃষি সুবিধাভোগী কার্ড সংগ্রহ করে স্থনীয় পর্যায়ের একটি চক্র প্রতি মৌসুমে সরকারী খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করত। কিন্তু এবারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় তাদের তৎপরতা নেই বললেই চলে।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও খাদ্য ক্রয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি সৈয়দ আসাদুজ্জামান বলেন, প্রতিবার সরকারী খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করতে কৃষকরা আগ্রহী হতেন। এজন্য লটারী করে কৃষক নির্বাচন করতে হতো। এবার লটারীতে অংশগ্রহনকারীর সংখ্যা কম।
তিনি আরও বলেন, হাটে বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় লটারীতে অংশগ্রহন কারীরাও খাদ্যগুদামে ধান দিচ্ছেন না।
উল্লেখ্য আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ধান চাল সংগ্রহের সময়সীমা থাকলেও প্রয়োজনে সময় বর্ধিত করা হতে পারে।