ঢাকা ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনায় টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গৃহবধূ উধাও

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০২:১৯:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুলাই ২০২০
  • / 153

পাবনা সংবাদদাতাঃ পাবনা পৌর এলাকার ছাতিয়ানী মহল্লায় স্বামীর বাড়ী থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও হয়েছে এক গৃহবধূ। গত ১৩ জুলাই ২০২০ তারিখে এ ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে স্ত্রীসহ আরও দুজনকে আসামী করে গত ১৬ জুলাই পাবনার বিজ্ঞ অতিঃ চীফ জুডিসিয়াল আমালী-১ নং আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী স্বামী ইবনে মাসুদ।

জানা যায়, ছাতিয়ানী মহল্লার আলহাজ্ব ফজলুল হকের ছেলে ইবনে মাসুদের প্রথম স্ত্রী তিন কন্যা সন্তান রেখে মারা যায়। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর ২০১৭ সালের ০৪ ফেব্রুয়ারি ঈশ্বরদী থানার আওতাপাড়া গ্রামের মৃত লিয়াকত আলী সরদারের মেয়ে অলিফা খাতুনকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই অলিফা খাতুন ইবনে মাসুদের প্রথম পক্ষের শিশু কন্যা সন্তানদের নানা ভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত বলে জানায় ইবনে মাসুদ। এ নিয়ে তার সাথে বনিবনা না হওয়ায় মাঝে মধ্যেই সে বাবার বাড়ীতে চলে যেত।

গত ১৩ জুলাই বিকালে অলিফার বড় ভাই মোঃ সাইফুল ইসলাম ও মাতা সায়েরা খাতুন ইবনে মাসুদের বাড়ীতে আসে। এ সময় মাসুদ চরবাঙ্গাবাড়ীয়া গ্রামে তার গরুর খামারে ছিল। সন্ধ্যার দিকে সৎ মা অলিফা ইবনে মাসুদের কন্যা আমেনা (১৩) ও মরিয়ম (৭) কে বাজারে যাওয়ার কথা জানিয়ে তার মা ও ভাইয়ের সাথে বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়। এরপর সে আর বাড়ীতে ফিরে আসেনি।

খামারের কাজ শেষ করে রাত ৮ টার দিকে ইবনে মাসুদ বাড়ীতে এসে স্ত্রী অলিফা খাতুনকে দেখতে না পেয়ে শিশু কন্যাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান অলিফা তার মা ও ভাইয়ের সাথে বাজারে গেছে। এসময় মাসুদ তার ঘরে থাকা আলমারী খোলা দেখতে পায়। আরও দেখতে পায় আলমারীতে রাখা ০৭ (সাত) ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও খামারের গরু বিক্রি করা নগদ ৩,০৭,০০০/- (তিন লক্ষ সাত হাজার) টাকা নেই। সে তৎক্ষনাৎ স্ত্রী অলিফাকে ফোন করলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পান।

ঘটনার কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও এখনও তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে তার বাবার বাড়ীতে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায় অলিফা তার মামার বাড়ীতে অবস্থান করছে।

সরেজমিনে খবর নিয়ে জানা যায়, অলিফার এর আগেও দুই বার বিয়ে হয়েছিল। সেখানেও সে একই ধরণের ঘটনা ঘটিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটায়।

অলিফার প্রথম বিয়ে হয় ঈশ্বরদী থানার সাহাপুর মালিথা পাড়া গ্রামের নবাব ফকিরের ছেলে রায়হান ফকিরের সাথে এবং দ্বিতীয় বিয়ে হয় একই থানার আওতাপাড়া গ্রামের মৃত সানু বিশ্বাসের ছেলে বাহাদুরের সঙ্গে।

অলিফার প্রথম ও দ্বিতীয় স্বামী জানায়, পূর্ব থেকেই অলিফার চরিত্র ভালো ছিল না। বিয়ের পরপরই সে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে তাদের সাথে অলিফার বনিবনা হত না। এক পর্যায়ে ইবনে মাসুদের মত একই কায়দায় সে টাকা পয়সা স্বর্ণালঙ্কার সহ বিভিন্ন জিনিস নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাদের সাথে অলিফার ডিভোর্স হয়ে যায়।

পাবনায় টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গৃহবধূ উধাও

প্রকাশিত সময় ০২:১৯:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুলাই ২০২০

পাবনা সংবাদদাতাঃ পাবনা পৌর এলাকার ছাতিয়ানী মহল্লায় স্বামীর বাড়ী থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও হয়েছে এক গৃহবধূ। গত ১৩ জুলাই ২০২০ তারিখে এ ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে স্ত্রীসহ আরও দুজনকে আসামী করে গত ১৬ জুলাই পাবনার বিজ্ঞ অতিঃ চীফ জুডিসিয়াল আমালী-১ নং আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী স্বামী ইবনে মাসুদ।

জানা যায়, ছাতিয়ানী মহল্লার আলহাজ্ব ফজলুল হকের ছেলে ইবনে মাসুদের প্রথম স্ত্রী তিন কন্যা সন্তান রেখে মারা যায়। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর ২০১৭ সালের ০৪ ফেব্রুয়ারি ঈশ্বরদী থানার আওতাপাড়া গ্রামের মৃত লিয়াকত আলী সরদারের মেয়ে অলিফা খাতুনকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই অলিফা খাতুন ইবনে মাসুদের প্রথম পক্ষের শিশু কন্যা সন্তানদের নানা ভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত বলে জানায় ইবনে মাসুদ। এ নিয়ে তার সাথে বনিবনা না হওয়ায় মাঝে মধ্যেই সে বাবার বাড়ীতে চলে যেত।

গত ১৩ জুলাই বিকালে অলিফার বড় ভাই মোঃ সাইফুল ইসলাম ও মাতা সায়েরা খাতুন ইবনে মাসুদের বাড়ীতে আসে। এ সময় মাসুদ চরবাঙ্গাবাড়ীয়া গ্রামে তার গরুর খামারে ছিল। সন্ধ্যার দিকে সৎ মা অলিফা ইবনে মাসুদের কন্যা আমেনা (১৩) ও মরিয়ম (৭) কে বাজারে যাওয়ার কথা জানিয়ে তার মা ও ভাইয়ের সাথে বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়। এরপর সে আর বাড়ীতে ফিরে আসেনি।

খামারের কাজ শেষ করে রাত ৮ টার দিকে ইবনে মাসুদ বাড়ীতে এসে স্ত্রী অলিফা খাতুনকে দেখতে না পেয়ে শিশু কন্যাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান অলিফা তার মা ও ভাইয়ের সাথে বাজারে গেছে। এসময় মাসুদ তার ঘরে থাকা আলমারী খোলা দেখতে পায়। আরও দেখতে পায় আলমারীতে রাখা ০৭ (সাত) ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও খামারের গরু বিক্রি করা নগদ ৩,০৭,০০০/- (তিন লক্ষ সাত হাজার) টাকা নেই। সে তৎক্ষনাৎ স্ত্রী অলিফাকে ফোন করলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পান।

ঘটনার কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও এখনও তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে তার বাবার বাড়ীতে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায় অলিফা তার মামার বাড়ীতে অবস্থান করছে।

সরেজমিনে খবর নিয়ে জানা যায়, অলিফার এর আগেও দুই বার বিয়ে হয়েছিল। সেখানেও সে একই ধরণের ঘটনা ঘটিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটায়।

অলিফার প্রথম বিয়ে হয় ঈশ্বরদী থানার সাহাপুর মালিথা পাড়া গ্রামের নবাব ফকিরের ছেলে রায়হান ফকিরের সাথে এবং দ্বিতীয় বিয়ে হয় একই থানার আওতাপাড়া গ্রামের মৃত সানু বিশ্বাসের ছেলে বাহাদুরের সঙ্গে।

অলিফার প্রথম ও দ্বিতীয় স্বামী জানায়, পূর্ব থেকেই অলিফার চরিত্র ভালো ছিল না। বিয়ের পরপরই সে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে তাদের সাথে অলিফার বনিবনা হত না। এক পর্যায়ে ইবনে মাসুদের মত একই কায়দায় সে টাকা পয়সা স্বর্ণালঙ্কার সহ বিভিন্ন জিনিস নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাদের সাথে অলিফার ডিভোর্স হয়ে যায়।