ঢাকা ১০:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনা-৪ আসনে উপ-নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন চাইবেন মাহজেবিন শিরিন পিয়া

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৪:৫৭:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জুলাই ২০২০
  • / 123

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ পাবনা-৪ আসনে আসন্ন উপ-নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন চাইবেন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাহজেবিন শিরিন পিয়া।

বুধবার ২২ জুলাই ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে নৌকার প্রার্থি হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশার কথা তিনি ব্যক্ত করেছেন।

পিয়া বলেন, সদ্য প্রয়াত সাবেক ভূমিমন্ত্রী, ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুর রহমান শরীফ এমপি আমার বাবা। ঈশ্বরদী ও আটঘোরিয়ার উন্নয়নের জন্য তিনি ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। পাবনা জেলার কিংবদন্তি পুরুষ আমার বাবা এই এলাকার উন্নয়নে আরো কিছু স্বপ্ন ছিল। যেগুলো জীবদ্দসায় অসুস্থতার কারণে পূরণ করা সম্ভব হয়নি। আমি নির্বাচিত হয়ে বাবার সেই স্বপ্নগুলো পূরণের সাথে সাথে ঈশ্বরদী ও আটঘোড়িয়াকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাব।

এসময় তিনি রেলগেটে ফাইওভার নির্মাণ, ষ্টেশন রি-মডেলিং, বিমান বন্দর চালু, পাবলিক লাইব্রেরী, অডিটোরিয়াম নির্মাণ, কলকাতাগামী মৈত্রি এক্সপ্রেসে ঈশ্বরদীতে যাত্রী উঠানামার ব্যবস্থা, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ স্থানীয় জনগোষ্ঠিার আর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।

পিয়া বলেন, ছাত্রলীগ থেকে রাজনীতি শুরু করে যুব মহিলা লীগ, পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং এখন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। ১৯৯৮ সালে পৌর নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি এবং ২০১৪ সালে উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদে লক্ষাধিক ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছি। ছোট থেকে আজ পর্যন্ত সাধারণ মানুষ ও আওয়ামী লীগের জন্য লড়াই সংগ্রাম করতে জুলুম, নির্যাতনের সাথে সাথে জীবনের অনেক কিছুই হারিয়েছি।

জেলা পরিষদ নির্বাচনকে অর্থবহ করার জন্য আমি প্রার্থি হয়েছিলাম জানিয়ে পিয়া বলেন, ওই নির্বাচনে বিএনপি’র অংশগ্রহন ছিল না। তাছাড়া দলীয় কোন প্রতীকও ছিলো না। দলীয় প্রতীক নৌকা না থাকায় উন্মুক্ত ছিলো। আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হয়ে কোনদিনও বিরোধীতা করিনি। বরঞ্চ নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে চলেছি।

পিয়া আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়নের জন্য বিশ্বে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন। তাই আমি বিশ্বাস করি আসন্ন উপ-নির্বাচনে মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার হাতেই নৌকা প্রতিক তুলে দিবেন। আমি মনোনয়ন পেলে আমার মা, ভাই, স্বামী পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টুসহ সকলেই আমার পক্ষে নির্বাচন করবে। আর আমি সকলকে নিয়েই রাজনীতি করতে চাই।

উপ-নির্বাচনে অন্য যারা মনোনয়ন চাইবেন, তারা সকলেই আমার আপনজন। নৌক প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাব। যদি অন্য কাউকে মনোনয়ন দেন, তাহলে তার জন্যই নির্বাচন করবো। পিয়া এসময় আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, মনোনয়ন পাই আর না পাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে চাই।

পাবনা-৪ আসনে উপ-নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন চাইবেন মাহজেবিন শিরিন পিয়া

প্রকাশিত সময় ০৪:৫৭:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জুলাই ২০২০

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ পাবনা-৪ আসনে আসন্ন উপ-নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন চাইবেন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাহজেবিন শিরিন পিয়া।

বুধবার ২২ জুলাই ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে নৌকার প্রার্থি হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশার কথা তিনি ব্যক্ত করেছেন।

পিয়া বলেন, সদ্য প্রয়াত সাবেক ভূমিমন্ত্রী, ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুর রহমান শরীফ এমপি আমার বাবা। ঈশ্বরদী ও আটঘোরিয়ার উন্নয়নের জন্য তিনি ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। পাবনা জেলার কিংবদন্তি পুরুষ আমার বাবা এই এলাকার উন্নয়নে আরো কিছু স্বপ্ন ছিল। যেগুলো জীবদ্দসায় অসুস্থতার কারণে পূরণ করা সম্ভব হয়নি। আমি নির্বাচিত হয়ে বাবার সেই স্বপ্নগুলো পূরণের সাথে সাথে ঈশ্বরদী ও আটঘোড়িয়াকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাব।

এসময় তিনি রেলগেটে ফাইওভার নির্মাণ, ষ্টেশন রি-মডেলিং, বিমান বন্দর চালু, পাবলিক লাইব্রেরী, অডিটোরিয়াম নির্মাণ, কলকাতাগামী মৈত্রি এক্সপ্রেসে ঈশ্বরদীতে যাত্রী উঠানামার ব্যবস্থা, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ স্থানীয় জনগোষ্ঠিার আর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।

পিয়া বলেন, ছাত্রলীগ থেকে রাজনীতি শুরু করে যুব মহিলা লীগ, পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং এখন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। ১৯৯৮ সালে পৌর নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি এবং ২০১৪ সালে উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদে লক্ষাধিক ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছি। ছোট থেকে আজ পর্যন্ত সাধারণ মানুষ ও আওয়ামী লীগের জন্য লড়াই সংগ্রাম করতে জুলুম, নির্যাতনের সাথে সাথে জীবনের অনেক কিছুই হারিয়েছি।

জেলা পরিষদ নির্বাচনকে অর্থবহ করার জন্য আমি প্রার্থি হয়েছিলাম জানিয়ে পিয়া বলেন, ওই নির্বাচনে বিএনপি’র অংশগ্রহন ছিল না। তাছাড়া দলীয় কোন প্রতীকও ছিলো না। দলীয় প্রতীক নৌকা না থাকায় উন্মুক্ত ছিলো। আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হয়ে কোনদিনও বিরোধীতা করিনি। বরঞ্চ নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে চলেছি।

পিয়া আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়নের জন্য বিশ্বে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন। তাই আমি বিশ্বাস করি আসন্ন উপ-নির্বাচনে মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার হাতেই নৌকা প্রতিক তুলে দিবেন। আমি মনোনয়ন পেলে আমার মা, ভাই, স্বামী পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টুসহ সকলেই আমার পক্ষে নির্বাচন করবে। আর আমি সকলকে নিয়েই রাজনীতি করতে চাই।

উপ-নির্বাচনে অন্য যারা মনোনয়ন চাইবেন, তারা সকলেই আমার আপনজন। নৌক প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাব। যদি অন্য কাউকে মনোনয়ন দেন, তাহলে তার জন্যই নির্বাচন করবো। পিয়া এসময় আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, মনোনয়ন পাই আর না পাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে চাই।