ঢাকা ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

রাজশাহীর বাঘায় সুদেকারবারীর কুুুপ্রস্ততাবে গৃহবধূ পলাতক

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৭:১১:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অগাস্ট ২০২০
  • / 93

বাঘা উপজেলা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় সুদে কারবারীর কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে এক গৃহবধূ।

গত ২২ জুলাই গভীর রাতে গৃহবধূর স্বামীর বাড়িতে গিয়ে ঘুম থেকে ডেকে সুদেকারবারী গৃহবধূ ও তার স্বামী এবং শশুর কে হুমকি দেয়। এতে গৃহবধূ ভয় পেয়ে তার স্বামীর বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তেঁথুুুলিয়াা-হরিণা গ্রামের বিচ্ছাদ আলীর ছেলে মাজদার আলীর স্ত্রী আয়েশা বেগমে সাথে।

ভুক্তভোগী আয়েশা বলেন, তিনি গত জানুয়ারি মাসে সাংসারিক আর্থিক বিশেষ প্রয়োজনে একই গ্রামের পারুল কসাই নামের এক সুদেকারবারীর কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নেয়। ৮দিন পরে পারুল কসাই আয়েশার কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। সংসারে অভাব থাকায় নিরুপায় হয়ে আয়েশা পাশের বাড়ির ডলি নামের এক মহিলা সুদ কারবারির কাছ থকে ২০ হাজার টাকা এনে পারুলকে দেন।

এদিকে ডলি তার কাছে ২২ দিন পর ৩৫ হাজার টাকা দাবি করে। ৩৫ হাজার টাকার জন্য আবার পারুলের কাছে যান। এ ভাবে দুই সুদ কারবারির যোগসাজশ্যে জমে উঠে রমরমা সুদ বানিজ্য। পারুলের কাছ থেকে এনে পরিশোধ করেন ডলির ৩৫ হাজার টাকা। পারুল দাবি করে ৫০ হাজার টাকা।

এভাবে পারুল কসাই ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ১ লক্ষ টাকা দাবি করলে বিভিন্ন এনজিও সংস্থার কাছে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করার পরও কৌশলে আরও ৪০ হাজার টাকা দাবি করে। এ টাকা দিতে না পারায়, টাকা পরিশোধ হবে মর্মে পারুল কসাই কু-প্রস্তাব দেয় আয়েশাকে। পারুলের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ফড়িং ডাকাত কে সাথে নিয়ে রাত ১টা ৩০ মিনিটের সময় টাকার জন্য মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন ভাবে হেনেস্তা করে।

এই অবৈধ সুদেকারবারী অত্যাচারে ছোট দুটি সন্তান নিয়ে পলাতক এই গৃহবধূ আয়েশা।

রাজশাহীর বাঘায় সুদেকারবারীর কুুুপ্রস্ততাবে গৃহবধূ পলাতক

প্রকাশিত সময় ০৭:১১:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অগাস্ট ২০২০

বাঘা উপজেলা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় সুদে কারবারীর কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে এক গৃহবধূ।

গত ২২ জুলাই গভীর রাতে গৃহবধূর স্বামীর বাড়িতে গিয়ে ঘুম থেকে ডেকে সুদেকারবারী গৃহবধূ ও তার স্বামী এবং শশুর কে হুমকি দেয়। এতে গৃহবধূ ভয় পেয়ে তার স্বামীর বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তেঁথুুুলিয়াা-হরিণা গ্রামের বিচ্ছাদ আলীর ছেলে মাজদার আলীর স্ত্রী আয়েশা বেগমে সাথে।

ভুক্তভোগী আয়েশা বলেন, তিনি গত জানুয়ারি মাসে সাংসারিক আর্থিক বিশেষ প্রয়োজনে একই গ্রামের পারুল কসাই নামের এক সুদেকারবারীর কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নেয়। ৮দিন পরে পারুল কসাই আয়েশার কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। সংসারে অভাব থাকায় নিরুপায় হয়ে আয়েশা পাশের বাড়ির ডলি নামের এক মহিলা সুদ কারবারির কাছ থকে ২০ হাজার টাকা এনে পারুলকে দেন।

এদিকে ডলি তার কাছে ২২ দিন পর ৩৫ হাজার টাকা দাবি করে। ৩৫ হাজার টাকার জন্য আবার পারুলের কাছে যান। এ ভাবে দুই সুদ কারবারির যোগসাজশ্যে জমে উঠে রমরমা সুদ বানিজ্য। পারুলের কাছ থেকে এনে পরিশোধ করেন ডলির ৩৫ হাজার টাকা। পারুল দাবি করে ৫০ হাজার টাকা।

এভাবে পারুল কসাই ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ১ লক্ষ টাকা দাবি করলে বিভিন্ন এনজিও সংস্থার কাছে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করার পরও কৌশলে আরও ৪০ হাজার টাকা দাবি করে। এ টাকা দিতে না পারায়, টাকা পরিশোধ হবে মর্মে পারুল কসাই কু-প্রস্তাব দেয় আয়েশাকে। পারুলের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ফড়িং ডাকাত কে সাথে নিয়ে রাত ১টা ৩০ মিনিটের সময় টাকার জন্য মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন ভাবে হেনেস্তা করে।

এই অবৈধ সুদেকারবারী অত্যাচারে ছোট দুটি সন্তান নিয়ে পলাতক এই গৃহবধূ আয়েশা।