ঢাকা ০২:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

সিরাজগঞ্জে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক পরিবহন সেক্টরের উশৃঙ্খল লোকজনের হাতে লাঞ্ছিত

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৮:২৭:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ অগাস্ট ২০২০
  • / 143

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে দুই প্রতারক মিষ্টি ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়েছে

আমিনুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জঃ সিরাজগঞ্জে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পরিবহন সেক্টরের উশৃঙ্খল লোকজনের হাতে লাঞ্ছিত হলেন ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (এডি) মাহমুদ হাসান রনি।

সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেলা শহরের নিউ ঢাকা রোডে ভোক্তা অধিকার আইনে অভিযানের সময় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিক ও পরিবহন সেক্টরের সড়ক অবরোধ করেন। পরে ট্রাফিক পুলিশের হস্তক্ষেপে ও পরিবহন নেতাদের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিরাজগঞ্জ-ঢাকা মহাখালি রুটে এসআই, ওভি, ঢাকা লাইন ও ইউনিকসহ বেশ ক’টি বাসে চলাচলরত যাত্রীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার পরিবর্তে অতিরিক্ত আদায় করা হচ্ছে, এবং স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছেনা এমন অভিযোগে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালিত হয়। অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (এডি) মাহমুদ হাসান রনির নেতৃত্বে দলটি প্রথমেই এসআই বাস সার্ভিস কাউন্টারে প্রবেশ করে। এসময় পরিবহন শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে কাউন্টারের সার্টার নামিয়ে সহকারী পরিচালককে অবরুদ্ধ করেন। এক পর্যায়ে তাকে গালমন্দ, অশোভন আচরণ ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এরপর বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে পরিবহন নেতারা দ্রত ঘটনাস্থলে এসে ভোক্তা অধিকার দপ্তরের লোকজনকে উদ্ধার করেন।

ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (এডি) মাহমুদ হাসান বলেন, বিষয়টি অনাঙ্খাখিত, এমনটি হবে আমি কখনও আশা করিনি। কাউন্টার মালিক কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক নেতারা উপযুক্ত বিচার করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহা. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, সহকারী পরিচালক আমাকে সকালে যখন ফোন করেছিলেন তখন আদালত পরিচালনায় ব্যস্ত ছিলাম। ফোন করলেও এমন ঘটনার বিষয়ে কিছুই তিনি জানাননি। আর তাছাড়া ঈদের পর জেলা প্রশাসনের নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা হওয়ায় এমনিতেই পরিবহন সেক্টরের লোকজন ফুঁসে আছেন।

এসআই বাস কাউন্টার সার্ভিসের মালিক আতিকুর রহমানের মুঠোফোনে বার বার রিং করা হলেও রিসিভ করেননি। জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সুলতান বলেন, একটি ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা হলেও পরে মিমাংশা হয়েছে।

এবিষয়ে ঘটনার সময় থাকা ট্রফিক ইনসপেক্টর সৈয়দ মিলাদুর হুদাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারবেননা বলে জানান।

সদর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) নুরুল ইসলাম বলেন, ভোক্তা অধিকার দপ্তরের লোকজন এখনও থানায় অভিযোগ দেননি।

সিরাজগঞ্জে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক পরিবহন সেক্টরের উশৃঙ্খল লোকজনের হাতে লাঞ্ছিত

প্রকাশিত সময় ০৮:২৭:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ অগাস্ট ২০২০

আমিনুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জঃ সিরাজগঞ্জে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পরিবহন সেক্টরের উশৃঙ্খল লোকজনের হাতে লাঞ্ছিত হলেন ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (এডি) মাহমুদ হাসান রনি।

সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেলা শহরের নিউ ঢাকা রোডে ভোক্তা অধিকার আইনে অভিযানের সময় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিক ও পরিবহন সেক্টরের সড়ক অবরোধ করেন। পরে ট্রাফিক পুলিশের হস্তক্ষেপে ও পরিবহন নেতাদের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিরাজগঞ্জ-ঢাকা মহাখালি রুটে এসআই, ওভি, ঢাকা লাইন ও ইউনিকসহ বেশ ক’টি বাসে চলাচলরত যাত্রীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার পরিবর্তে অতিরিক্ত আদায় করা হচ্ছে, এবং স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছেনা এমন অভিযোগে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালিত হয়। অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (এডি) মাহমুদ হাসান রনির নেতৃত্বে দলটি প্রথমেই এসআই বাস সার্ভিস কাউন্টারে প্রবেশ করে। এসময় পরিবহন শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে কাউন্টারের সার্টার নামিয়ে সহকারী পরিচালককে অবরুদ্ধ করেন। এক পর্যায়ে তাকে গালমন্দ, অশোভন আচরণ ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এরপর বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে পরিবহন নেতারা দ্রত ঘটনাস্থলে এসে ভোক্তা অধিকার দপ্তরের লোকজনকে উদ্ধার করেন।

ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (এডি) মাহমুদ হাসান বলেন, বিষয়টি অনাঙ্খাখিত, এমনটি হবে আমি কখনও আশা করিনি। কাউন্টার মালিক কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক নেতারা উপযুক্ত বিচার করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহা. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, সহকারী পরিচালক আমাকে সকালে যখন ফোন করেছিলেন তখন আদালত পরিচালনায় ব্যস্ত ছিলাম। ফোন করলেও এমন ঘটনার বিষয়ে কিছুই তিনি জানাননি। আর তাছাড়া ঈদের পর জেলা প্রশাসনের নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা হওয়ায় এমনিতেই পরিবহন সেক্টরের লোকজন ফুঁসে আছেন।

এসআই বাস কাউন্টার সার্ভিসের মালিক আতিকুর রহমানের মুঠোফোনে বার বার রিং করা হলেও রিসিভ করেননি। জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সুলতান বলেন, একটি ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা হলেও পরে মিমাংশা হয়েছে।

এবিষয়ে ঘটনার সময় থাকা ট্রফিক ইনসপেক্টর সৈয়দ মিলাদুর হুদাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারবেননা বলে জানান।

সদর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) নুরুল ইসলাম বলেন, ভোক্তা অধিকার দপ্তরের লোকজন এখনও থানায় অভিযোগ দেননি।