ঢাকা ০৭:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবিপ্রবিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালিত

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৩:০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২০
  • / 74

ডেস্ক নিউজঃ পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গভীর ও বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি পালন করেছে।

শনিবার ১৫ আগস্টের শোকের দিনে সকালে শোক র‌্যালি বের হয়। করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে র‌্যালি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হলে গিয়ে শেষ হয়।

সেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. রোস্তম আলী, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ার খসরু পারভেজ ও রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম।

এছাড়া আরো শ্রদ্ধা জানান শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা পরিষদ, কর্মচারী সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল প্রশাসন, শেখ হাসিনা হল প্রশাসন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, পরিবহন পুল, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ, প্রক্টর অফিস, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তর, রসায়ন পরিবার, ইতিহাস ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগ, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ, গণিত বিভাগ, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, প্রকৌশল দপ্তর, লোক প্রশাসন বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগ, ডিন অফিসসহ সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।

এসময় এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. রোস্তম আলী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালিকে এক সূত্রে গেঁথেছিলেন। বাঙালির জাতীয়তাবোধ জাগ্রত করে দেশ স্বাধীনের লক্ষে বাঙালিকে প্রস্তুত করেন। তাঁরই নির্দেশে নয়মাসের রক্তক্ষয়ীযুদ্ধে বাঙালি বিজয় লাভ করে ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গঠনে অতিদ্রুত তিনি ব্যবস্থা নেন। তিনি সোনার বাংলা গড়ার কাজে নিজেকে উজাড় করে দেন।

কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা তাঁকেসহ ১৭ জনকে হত্যা করে বাংলাদেশকে পিছনে ঠেলে দেয়। খুনীদের রক্ষায় ৭৫ পরবর্তী সরকার আইন পাশ করে। খুনীদের পুরস্কৃত করে। খুনীরা বাংলাদেশ ও বাঙালির মন থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য। উপাচার্য বঙ্গবন্ধুর খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবী জানান।

উপাচার্য আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনীরা জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকেও বারবার হত্যার চেষ্টা করেছে। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার কাজ করে চলেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের আদর্শ নাগরিক হতে হবে।

কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আনোয়ার খসরু পারভেজ বলেন, আজকে বাঙালির শোকের দিন। পঁচাত্তরের এই দিনে আগস্ট আর শ্রাবণ মিলেমিশে এককার হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর রক্ত আর আকাশের মর্মছেঁড়া অশ্রুর প্লাবনে। আজকের শোকের দিনেও প্রকৃতিও বঙ্গবন্ধুর জন্য কাঁদছে। বঙ্গবন্ধুকে খুন করে খুনীরা বাংলাদেশকে পাকিস্তানে পরিণত করেছিল। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ ফিরিয়ে এনেছেন। তাঁর হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

এরপর এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। শেষে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।

এদিকে বাদ যোহর কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক ড. মোঃ হাবিবুল্লাহ।

পাবিপ্রবিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালিত

প্রকাশিত সময় ০৩:০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২০

ডেস্ক নিউজঃ পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গভীর ও বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি পালন করেছে।

শনিবার ১৫ আগস্টের শোকের দিনে সকালে শোক র‌্যালি বের হয়। করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে র‌্যালি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হলে গিয়ে শেষ হয়।

সেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. রোস্তম আলী, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ার খসরু পারভেজ ও রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম।

এছাড়া আরো শ্রদ্ধা জানান শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা পরিষদ, কর্মচারী সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল প্রশাসন, শেখ হাসিনা হল প্রশাসন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, পরিবহন পুল, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ, প্রক্টর অফিস, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তর, রসায়ন পরিবার, ইতিহাস ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগ, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ, গণিত বিভাগ, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, প্রকৌশল দপ্তর, লোক প্রশাসন বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগ, ডিন অফিসসহ সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।

এসময় এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. রোস্তম আলী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালিকে এক সূত্রে গেঁথেছিলেন। বাঙালির জাতীয়তাবোধ জাগ্রত করে দেশ স্বাধীনের লক্ষে বাঙালিকে প্রস্তুত করেন। তাঁরই নির্দেশে নয়মাসের রক্তক্ষয়ীযুদ্ধে বাঙালি বিজয় লাভ করে ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গঠনে অতিদ্রুত তিনি ব্যবস্থা নেন। তিনি সোনার বাংলা গড়ার কাজে নিজেকে উজাড় করে দেন।

কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা তাঁকেসহ ১৭ জনকে হত্যা করে বাংলাদেশকে পিছনে ঠেলে দেয়। খুনীদের রক্ষায় ৭৫ পরবর্তী সরকার আইন পাশ করে। খুনীদের পুরস্কৃত করে। খুনীরা বাংলাদেশ ও বাঙালির মন থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য। উপাচার্য বঙ্গবন্ধুর খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবী জানান।

উপাচার্য আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনীরা জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকেও বারবার হত্যার চেষ্টা করেছে। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার কাজ করে চলেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের আদর্শ নাগরিক হতে হবে।

কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আনোয়ার খসরু পারভেজ বলেন, আজকে বাঙালির শোকের দিন। পঁচাত্তরের এই দিনে আগস্ট আর শ্রাবণ মিলেমিশে এককার হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর রক্ত আর আকাশের মর্মছেঁড়া অশ্রুর প্লাবনে। আজকের শোকের দিনেও প্রকৃতিও বঙ্গবন্ধুর জন্য কাঁদছে। বঙ্গবন্ধুকে খুন করে খুনীরা বাংলাদেশকে পাকিস্তানে পরিণত করেছিল। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ ফিরিয়ে এনেছেন। তাঁর হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

এরপর এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। শেষে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।

এদিকে বাদ যোহর কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক ড. মোঃ হাবিবুল্লাহ।