চলনবিলে বর্ষা মৌসুমে নৌকাই ভরসা
- প্রকাশিত সময় ০৫:২২:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অগাস্ট ২০২০
- / 273
মহসীন আলী, তাড়াশ প্রতিনিধিঃ
১৭/৮/২০২০
সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও নাটোর ৩টি জেলার সমন্বয়ে চলনবিলের ৯টি উপজেলার গ্রাম গুলোর বর্ষাকালে জনগনের চলাচলের এক মাত্র বাহনের ভরসা হচ্ছে নৌকা। পাশাপাশি মাছ ধরে যারা জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন তাদের নৌকা ছাড়া চলেই না।
এই অঞ্চলের মানুষের মালামাল পরিবহন ও জীবন–জীবিকা নির্বাহের এক মাত্র বাহন হিসেবে নৌকার ব্যবহার দীর্ঘ দিনের। বিলাঞ্চলের মানুষদের বর্ষাকালে তেমন কোন কাজ থাকে না। তাই নৌকা নিয়ে মাছ ধরে বাড়তি আয় করতেই এ সব নৌকা কেনা হয়।
চলনবিলের ৯টি উপজেলার গ্রাম গুলোতে এখন শুধু পানি আর পানি। চার দিকের খাল বিলে থৈ থৈ করছে পানি। গ্রামের মাঠ ও কাচা রাস্তা গুলো এখন পানির নিচে। বিল পারের মানুষগুলোর চলাচলের জন্য কাঠ ও প্লেইন শীটের তৈরী ডিঙ্গি নৌকার কদর এখন সব চেয়ে বেশী। তাই মানুষজন বিভিন্ন হাট-বাজারে ভির করছে নৌকা কিনতে। চলছে নৌকা বিক্রির হিড়িক।
চলনবিলের প্রান কেন্দ্রে চাচকৈড় হাটের অবস্থান হওয়ায় চলন বিলের কয়েকটি উপজেলা থেকে বেশী মানুষ এই হাটে আসে নৌকা কিনতে।
চাচকৈড় হাট ঘুরে দেখা যায়, প্রায় ৫০-৬০টি কারখানায় চলছে নৌকা তৈরী ও বিক্রি এক সাথে। পাশের উপজেলা গুলো থেকে অনেকেই এসেছে নৌকা কিনতে। এছাড়াও চলনবিলের বিভিন্ন হাটে বিক্রি হচ্ছে ডিঙ্গি নৌকা। এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হাট হচ্ছে বিলদহর হাট, নাজিরপুর হাট, নওগা হাট, কাছিকাটা হাট, ছাই কোলা হাট, বিনসাড়া হাট, কলম হাট প্রভৃতি।
নৌকা তৈরীর কারিগর প্রশান্ত সুত্রধর জানান, বর্তমানে নৌকার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি নৌকা সাইজ অনুপাতে ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা পযন্ত বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আর ও জানান, বর্তমানে কাঠের দাম বৃদ্ধি ও নৌকা তৈরীর কারীগরদের মজুরী বেশী হওয়ার কারনে নৌকার দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় সামান্য বেশ।