তানভীর ইসলাম, পাবনাঃ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পাবনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুস সালাম এর নেতৃত্বে গত ২০ আগষ্ট সকাল ১১ টায় পাবনার হামিদ রোডস্থ আলআমিন মেডিক্যাল হলের পরিচালক মোঃ সোহেল রানাকে স্যাম্পল ঔষধ বিক্রয়ের অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এসময় (ইনসেপ্টা ও অপসোনিন) কম্পানির স্যাম্পল মেডিসিন গুলো জব্দ করা হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুস সালাম সাংবাদিকদের জানান জনসার্থে বাজার অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এদিকে আল-আমিন মেডিক্যাল হল এর মালিক মো. সোহেল রানা বলেন, আমি মূলত স্যাম্পল ঔষধ গুলো বিক্রয়ের জন্য নয়, দোকানের সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যেে রেখেছিলাম, যেহেতু তিনি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি। আর রিপ্রেজেন্টিটিভ গন স্যাম্পল ঔষধ গুলো এমনিতেই দিয়ে যান, ঔষধ গুলো ভালো ভাবে চেনার স্বার্থে, যাদের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক। কখনোবা রিপ্রেজেন্টিটিভরা তাকে নিজের খাওয়ার জন্যও স্যাম্পল ঔষধ দিয়ে থাকেন। এছাড়াও বাজারের প্রত্যেকটি দোকানেই স্যাম্পল মেডিসিন রাখা হয়। এবং এই ধরণের সমস্যা এর আগে কখনো হয়নি।

এসময় স্যম্পল ঔষধ ব্যবহারের সঠিক নিয়ম যাচাইয়ের সময় বিসিডিবি পাবন জেলা শাখার সভাপতি ও ঔষধ বিপনির প্রপাইটর এফ.এম হুমায়ুন কবির খোকন মুঠোফোনে শেয়ার বিজকে বলেন স্যম্পুল ঔষধ বিক্রয় করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, যা ড্রাগ লাইসেন্সের অপর পেজে ৬ নং তালিকায় লিপিবদ্ধ রয়েছে।

তিনি আরো বলেছেন, স্যম্পল ঔষধ গুলো মূলত ডাক্তারদের জন্য তৈরি করা হয়। এগুলো রোগীর অসুস্থতার ধরন অনুযায়ী প্রয়োগ করে থাকেন চিকিৎসকগন। অনেক সময় আমরা নিজেরাও রিপ্রেজেন্ন্টেটিভদের থেকে স্যম্পুলঔষধ নিয়ে থাকি, যা নিজে ও দোকানের কর্মচারিদের অসুস্থতায় সময় কাজে আসে এবং তার পরিমানও হয় খুবি সীমিত। কিন্তু অধিক পরিমানে দোকানে স্যাম্পল ঔষধ রাখা আইনত অপরাধ।