ঢাকা ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ২ প্রার্থীর তথ্য বিভ্রাটের খবরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৩:২১:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২০
  • / 203

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী দুই জন প্রার্থীর দাখিলকৃত মনোনয়ন ফরমে দলীয় সাংগঠনিক পদ-পদবীর তথ্য বিভ্রাটের খবর প্রকাশে ঈশ্বরদীতে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনার ঝড় বইছে। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি প্রার্থীসহ স্থানীয়ভাবে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাবনা-৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশিদের তালিকা প্রকাশ করার পর এই ঘটনা প্রকাশ পায়। তালিকায় ৩ নং ক্রমিকে ব্যারিস্টার সৈয়দ আলী জিরু তার সাংগঠনিক পরিচয়ের ছকের ‘গ’তে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

আর ৪ নং ক্রমিকে অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বুদু ‘গ’তে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে উল্লেখ করেন বলে জানা গেছে।

এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন অনলাইনে বিভিন্ন অপ্রকাশিত নামের সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, এডভোকেট রবিউল আলম বুদু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অবস্থায় ১৯৯০ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ভিপি পদে নির্বাচন করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় কমিটিতে তিনি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। অথচ দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ছাত্র সংসদের ভিপি বলে নিজেকে দাবী করেছেন।

আর ব্যারিষ্টার সৈয়দ আলী জিরু বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হলের একটি ব্লকের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।

এব্যপারে অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বুদু জানান, হাবিবুর রহমান হাবিব ও অসিম কুমার উকিল যখন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক ছিলেন রায়হান ও শরিফ। কমিটি গঠনের ১ মাসের মাথায় রায়হান তার নিজ এলাকায় ইউপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে যান। তখন থেকে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ৪ বছর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ব্যারিস্টার সৈয়দ আলী জিরু এ প্রসংগে বলেন, মনোনয়ন ফরমের এই লেখা নিয়ে নোংরা রাজনীতি শুরু হয়েছে। আমার মনোনয়ন ফর্মটি আমার এক বন্ধু পুরণ করে দেয়। পরবর্তিতে আমি দেখার পর সংশোধন করে জমা দিয়েছি। এ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কিছু নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের পদ প্রসংগে তিনি বলেন, জিয়া হলে প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। ১৯৯৯ সালে আমাকে সভাপতি করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি গঠিত হয়েছিল। তবে তিন মাস পর সে কমিটি আলোর মূখ দেখেনি এবং সেই কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠিত হয়। ছকে প্রস্তাবিত কথাটি লিখলে এই ভুল বুঝাবুঝির অবতারনা হতোনা।

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ঐ সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাকসুর প্রস্তাবিত ভিপি প্রার্থি হিসেবে জিরুকে মনোনীত করেন। তবে রাকসু নির্বাচন পরে আর অনুষ্টিত হয়নি।

আসন্ন পাবনা-৪ আসনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য পদের প্রার্থী হতে চেয়ে আরো ২৬ জন মনোনয়ন ফরম গ্রহন করেছেন।

পাবনা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ২ প্রার্থীর তথ্য বিভ্রাটের খবরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

প্রকাশিত সময় ০৩:২১:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২০

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী দুই জন প্রার্থীর দাখিলকৃত মনোনয়ন ফরমে দলীয় সাংগঠনিক পদ-পদবীর তথ্য বিভ্রাটের খবর প্রকাশে ঈশ্বরদীতে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনার ঝড় বইছে। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি প্রার্থীসহ স্থানীয়ভাবে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাবনা-৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশিদের তালিকা প্রকাশ করার পর এই ঘটনা প্রকাশ পায়। তালিকায় ৩ নং ক্রমিকে ব্যারিস্টার সৈয়দ আলী জিরু তার সাংগঠনিক পরিচয়ের ছকের ‘গ’তে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

আর ৪ নং ক্রমিকে অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বুদু ‘গ’তে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে উল্লেখ করেন বলে জানা গেছে।

এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন অনলাইনে বিভিন্ন অপ্রকাশিত নামের সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, এডভোকেট রবিউল আলম বুদু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অবস্থায় ১৯৯০ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ভিপি পদে নির্বাচন করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় কমিটিতে তিনি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। অথচ দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ছাত্র সংসদের ভিপি বলে নিজেকে দাবী করেছেন।

আর ব্যারিষ্টার সৈয়দ আলী জিরু বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হলের একটি ব্লকের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।

এব্যপারে অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বুদু জানান, হাবিবুর রহমান হাবিব ও অসিম কুমার উকিল যখন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক ছিলেন রায়হান ও শরিফ। কমিটি গঠনের ১ মাসের মাথায় রায়হান তার নিজ এলাকায় ইউপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে যান। তখন থেকে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ৪ বছর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ব্যারিস্টার সৈয়দ আলী জিরু এ প্রসংগে বলেন, মনোনয়ন ফরমের এই লেখা নিয়ে নোংরা রাজনীতি শুরু হয়েছে। আমার মনোনয়ন ফর্মটি আমার এক বন্ধু পুরণ করে দেয়। পরবর্তিতে আমি দেখার পর সংশোধন করে জমা দিয়েছি। এ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কিছু নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের পদ প্রসংগে তিনি বলেন, জিয়া হলে প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। ১৯৯৯ সালে আমাকে সভাপতি করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি গঠিত হয়েছিল। তবে তিন মাস পর সে কমিটি আলোর মূখ দেখেনি এবং সেই কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠিত হয়। ছকে প্রস্তাবিত কথাটি লিখলে এই ভুল বুঝাবুঝির অবতারনা হতোনা।

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ঐ সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাকসুর প্রস্তাবিত ভিপি প্রার্থি হিসেবে জিরুকে মনোনীত করেন। তবে রাকসু নির্বাচন পরে আর অনুষ্টিত হয়নি।

আসন্ন পাবনা-৪ আসনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য পদের প্রার্থী হতে চেয়ে আরো ২৬ জন মনোনয়ন ফরম গ্রহন করেছেন।