ঢাকা ০৬:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩১ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপারের ব্যতিক্রম উদ্যোগ….

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৯:২৯:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / 81

আমিনুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জঃ সিরাজগঞ্জের প্রতিটি খানাতে আইনী সেবা নিতে আসা সেবা গ্রহীতাদের সেবা প্রদানসহ তাদের চা পান করিয়ে আপ্যায়নের উদ্যোগসহ ব্যবস্থা নিয়েছেন সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার। আর এমন ব্যতিক্রম উদ্যোগে ইতোমধ্যে সারা পরেছে পুরো জেলায়

বুধবার দুপুরে সরোজমিনে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় দেখা যায়, শহরতলীর কিছু মানুষ আইনী সেবা পেতে খানা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার পরই তাদের এক পুলিশ সদস্য নিজ হাতে চা বানিয়ে সবাইকে পরিবেশন করছে। আর থানায় আইনী সেবা গ্রহনের জন্য গিয়ে বসতে দেয়া এবং তাদের সরকারি আপ্যায়ন হিসেবে চা পান করানোয় রিতীমত আশ্চর্য্য আগন্তকরা।

সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাসরত মানুষদের আইনী সেবা দেয়া এবং তাদের বিভিন্ন অভিযোগ দাখিলের জন্য থানায় প্রবেশ করার সাথে সাথেই তাদের আপ্যায়ন হিসেবে চা পার করানোর বিষয়টি এখন লোকমুখে মুখরিত।

জানা গেছে গত, ‘১ সেপ্টেম্বর’ সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইনস ড্রীলসেডে মাসিক কল্যান সভায় পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বিপিএম প্রতিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মাঝে থানায় আইনী সেবা পেতে আসা সেবা গ্রহিতাদের আপ্যায়নের জন্য চা পরিবেশনের জন্য উন্নমতানের কেটলী/ফ্ল্যাক্স, চা, চিনিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বিতরণ করেন।

একই সাথে কোন ব্যক্তি যেন থানায় সেবা নিতে এসে হয়রানীর শিকার না হয় এবং কোন প্রকার মামলা এবং জিডি গ্রহণে অবহেলা এবং কোন প্রকার অনিয়মের আশ্রয় না নেয় সে বিষয়ে কড়া হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

কল্যান সভায় তিনি আরো বলেন, কোন অভিযোগ যদি পাওয়া যায় তাহলে সেই থানার সকলের প্রতি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরপর থেকেই সিরাজগঞ্জ সদর থানায় শুরু হয় আইনী সেবা গ্রহণে আসা ব্যক্তিদের আপ্যায়ন কার্যক্রম।

এবিষয়ে, সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জানান, পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় আমরা অফিসার ইনচার্জগণ সাধারণ মানুষের পাশে আছি। একদিকে করোনা, অপরদিকে জনগণকে সেবা দেয়ার মধ্যে দিয়ে আমরা কর্তব্য পালন করছি। চেষ্টা করছি মানুষকে কিভাবে ভালো সেবা দেয়া যায়। কারণ মানুষ বিপদে পরে শেষ আশার স্থল হিসেবে পুলিশের নিকট আসে। তাই সেই নাগরিককে যথাসম্ভব সেবা দেয়া পুলিশের ইমানী দায়িত্ব মনে করেই কাজ করছি। দেখা যাক, কতটুকু ভালো করতে পারি। তিনি এজন্য সেবা গ্রহিতা এবং সমাজের সকলস্থরের মানুষের সহযোগিতাও কামনা করেন।

জেলার প্রতিটি থানায় মানুষকে আইনী সেবা প্রদান এবং তাদের আপ্যায়ন বিষয়ে পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বিপিএম বলেন, মানুষ পুলিশের নিকট কিছু চায়না। চায় হাসি মুখের কথা, একটু ভালো ব্যবহার ও কাঙ্খিত সেবা। সেই সেবা প্রদানের জন্য চেষ্টা করছি। ইনশাহআল্লাহ, মহামারি করোনোতে পুলিশ যেমন আত্ম বলিদান দিয়ে মানুষকে সেবা দিয়েছে, থানায় গিয়েও তেমনি আইনী সেবা পাবে। তিনি এজন্য সম্মানীত নাগরিকদের স্বাস্থ্য বিধি মানারও অনুরোধ করেন।

সিরাজগঞ্জের সকল থানাতে নাগরিক সেবার পাশাপাশি আপ্যায়নের বিষয়টি ইতোমধ্যে ব্যাপক সারা পরেছে। অনেকেই বলাবলি করছে থানায় সেবা নিতে এমন ভালো ব্যবহার এর আগে পরিলক্ষিত হয়নি।

সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপারের ব্যতিক্রম উদ্যোগ….

প্রকাশিত সময় ০৯:২৯:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

আমিনুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জঃ সিরাজগঞ্জের প্রতিটি খানাতে আইনী সেবা নিতে আসা সেবা গ্রহীতাদের সেবা প্রদানসহ তাদের চা পান করিয়ে আপ্যায়নের উদ্যোগসহ ব্যবস্থা নিয়েছেন সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার। আর এমন ব্যতিক্রম উদ্যোগে ইতোমধ্যে সারা পরেছে পুরো জেলায়

বুধবার দুপুরে সরোজমিনে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় দেখা যায়, শহরতলীর কিছু মানুষ আইনী সেবা পেতে খানা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার পরই তাদের এক পুলিশ সদস্য নিজ হাতে চা বানিয়ে সবাইকে পরিবেশন করছে। আর থানায় আইনী সেবা গ্রহনের জন্য গিয়ে বসতে দেয়া এবং তাদের সরকারি আপ্যায়ন হিসেবে চা পান করানোয় রিতীমত আশ্চর্য্য আগন্তকরা।

সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাসরত মানুষদের আইনী সেবা দেয়া এবং তাদের বিভিন্ন অভিযোগ দাখিলের জন্য থানায় প্রবেশ করার সাথে সাথেই তাদের আপ্যায়ন হিসেবে চা পার করানোর বিষয়টি এখন লোকমুখে মুখরিত।

জানা গেছে গত, ‘১ সেপ্টেম্বর’ সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইনস ড্রীলসেডে মাসিক কল্যান সভায় পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বিপিএম প্রতিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মাঝে থানায় আইনী সেবা পেতে আসা সেবা গ্রহিতাদের আপ্যায়নের জন্য চা পরিবেশনের জন্য উন্নমতানের কেটলী/ফ্ল্যাক্স, চা, চিনিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বিতরণ করেন।

একই সাথে কোন ব্যক্তি যেন থানায় সেবা নিতে এসে হয়রানীর শিকার না হয় এবং কোন প্রকার মামলা এবং জিডি গ্রহণে অবহেলা এবং কোন প্রকার অনিয়মের আশ্রয় না নেয় সে বিষয়ে কড়া হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

কল্যান সভায় তিনি আরো বলেন, কোন অভিযোগ যদি পাওয়া যায় তাহলে সেই থানার সকলের প্রতি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরপর থেকেই সিরাজগঞ্জ সদর থানায় শুরু হয় আইনী সেবা গ্রহণে আসা ব্যক্তিদের আপ্যায়ন কার্যক্রম।

এবিষয়ে, সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জানান, পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় আমরা অফিসার ইনচার্জগণ সাধারণ মানুষের পাশে আছি। একদিকে করোনা, অপরদিকে জনগণকে সেবা দেয়ার মধ্যে দিয়ে আমরা কর্তব্য পালন করছি। চেষ্টা করছি মানুষকে কিভাবে ভালো সেবা দেয়া যায়। কারণ মানুষ বিপদে পরে শেষ আশার স্থল হিসেবে পুলিশের নিকট আসে। তাই সেই নাগরিককে যথাসম্ভব সেবা দেয়া পুলিশের ইমানী দায়িত্ব মনে করেই কাজ করছি। দেখা যাক, কতটুকু ভালো করতে পারি। তিনি এজন্য সেবা গ্রহিতা এবং সমাজের সকলস্থরের মানুষের সহযোগিতাও কামনা করেন।

জেলার প্রতিটি থানায় মানুষকে আইনী সেবা প্রদান এবং তাদের আপ্যায়ন বিষয়ে পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বিপিএম বলেন, মানুষ পুলিশের নিকট কিছু চায়না। চায় হাসি মুখের কথা, একটু ভালো ব্যবহার ও কাঙ্খিত সেবা। সেই সেবা প্রদানের জন্য চেষ্টা করছি। ইনশাহআল্লাহ, মহামারি করোনোতে পুলিশ যেমন আত্ম বলিদান দিয়ে মানুষকে সেবা দিয়েছে, থানায় গিয়েও তেমনি আইনী সেবা পাবে। তিনি এজন্য সম্মানীত নাগরিকদের স্বাস্থ্য বিধি মানারও অনুরোধ করেন।

সিরাজগঞ্জের সকল থানাতে নাগরিক সেবার পাশাপাশি আপ্যায়নের বিষয়টি ইতোমধ্যে ব্যাপক সারা পরেছে। অনেকেই বলাবলি করছে থানায় সেবা নিতে এমন ভালো ব্যবহার এর আগে পরিলক্ষিত হয়নি।