বর্তমানে সিরাজগঞ্জে শালুক কুড়িয়ে চলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির জীবিকা নির্বাহ!
- প্রকাশিত সময় ১২:৩৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / 60
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বসতভূমিতে বাস করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির মানুষেরা। তবে নানা প্রতিকূলতায় তাদের সংখ্যা ক্রমেই কমে আসছে। ওঁরাও, মাহাতো, সাঁওতাল, মুড়ারী, রবিদাস, কনকদাস, সিং, তেলী, তুড়ি, বরাইক ইত্যাদি গোত্রভুক্ত তারা।৮০-৯০ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টি ভূমিহীন। তাই খেটে কিংবা কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে হয় তাদের।
পরিশ্রমী এবং প্রতিকূল কাজেও পিছপা হন না বলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির কৃষকদের বেশ চাহিদাও ছিল অতীতে।
বর্তমানে তাদের হাতে তেমন কোন কাজ না থাকায় তারা বর্ষায় ডুবে যাওয়া মাঠে এখন শালুক কুড়িয়ে তা বাজারে বিক্রী করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
তাড়াশ উপজেলার সদর ইউনিয়নের খুটিগাছা, সোলাপাড়া, বিদীমাগুড়া, কাউরাইল ও মাধাইনগর ইউনিয়নের পৌষার, কালীবাড়িসহ বেশ কিছু এলাকায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির নারী ও পুরুষেরা দলবদদ্ধ হয়ে মাঠের মধ্যে শালুক কুড়াচ্ছেন।
আদিবাসী কৃষক উজ্জল কুমার বলেন এই কৃষি শ্রমিকরাই বীজতলা তৈরি করতেন, শস্য উৎপাদন ও পরিচর্যা থেকে শুরু করে গৃহপালিত গবাদিপশুও পালন করতেন। এখন কোন কাজ না থাকায় জীবিকা নির্বাহের জন্য তারা এখন শালুক কুড়াচ্ছেন।
শালুক কুড়িয়ে তারা বাড়িতে নিয়ে পরিষ্কার করে গরম পানিতে সিদ্ধ করার পর বাজারে বিক্রী করছেন। প্রতিকেজি শালুক ৬০-৭০টাকা করে বিক্রী হয়।
সোলাপাড়া গ্রামের মিনতী রানী বলেন, হাতে তেমন কাজ কাম না থাকায় গ্রামের সবাই মিলে দলবদ্ধ হয়ে শালুক কুড়িয়ে তা বাজারে বিক্রী করি। বিক্রী করে যে টাকা পাই তা দিয়েই সংসার চলে।
এ বিষয়ে তাড়াশ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বাবুল শেখ বলেন, আমার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যখন যে বরাদ্দ পাই তাদের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির মানুষদের দিয়ে সহযোগীতা করি।
তবে বর্ষা মৌসুমে তাদের কাজ না থাকায় তারা শালুক কুড়িয়ে জীবিকা র্নিবাহ করে।