পিতৃহারা হলেন অভিনেতা আরফান নিশো
- প্রকাশিত সময় ০৪:২২:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০
- / 96
বিশেষ প্রতিনিধি: সারাবিশ্বের মহান বুদ্ধিজীবী, বরেন্দ্র রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ সহ করোনা ভাইরাস কেড়ে নিয়েছে কয়েক লক্ষ প্রাণ। সেই ভাইরাসকে কোনভাবেই প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
এই করোনা ভাইরাস ও বার্ধক্যজনিত জটিল রোগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের সদস্য ও ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: আব্দুল হামিদ মিয়া ভোলা পাড়ি জমান না ফেরার দেশে।
০১ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সকাল ৭ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬বছর। তিনি উপজেলার পৌর এলাকার ভারই গ্রামের বাসিন্দা। দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক।
উল্লেখ্য তাঁর ছোট ছেলে আফরান নিশো ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা। বাবার মৃত্যুতে তিনি ভেঙে পড়েছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ মিয়া ভোলা দীর্ঘদিন ধরে কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এছাড়া তিনি করোনায়ও আক্রান্ত ছিলেন। সম্প্রতি অবস্থার অবনতি হলে তাকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। সেখানেই আজ ভোর রাতে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি।
কর্মজীবনে মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সামাজিক শিক্ষামূলক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। একাত্তরের কাদেরিয়া বাহিনীর অস্ত্রাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, নির্বাচিত জেলা পরিষদ সদস্য, ভারই দ্বিমুখি উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, ভারই ঈদগাহ মাঠ কমিটির সভাপতি, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ মিয়া ভোলার মৃত্যুতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ শোক প্রকাশ করে বলেন, তিনি আমার মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ও রাজনৈতিক জীবনে সহযোদ্ধা ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে আমি সহ উপজেলা আওয়ামী লীগ শোকাহত। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আব্দুল হামিদ মিয়া ভোলার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ছোট মনির, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বাবুসহ অনেকে।