সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ পাবনার সাঁথিয়া উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এড. শামসুল হক টুকু এমপির প্রচেষ্টায় নন্দনপুর মৌজায় চকনন্দনপুর এলাকায় একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মিত হয়েছে।

তবে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটি চালু না হওয়ায় জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তবে গণপুর্ত অধিদপ্তর বলছে যে কোন সময় উদ্বোধন হবে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটি।

পাবনা জেলা গণপূর্ত অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, পাবনা গণপূর্ত বিভাগ-২ এর বাস্তবায়নে ৩ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সাঁথিয়া উপজেলার নন্দনপুর মৌজায় চকনন্দনপুর এলাকায় নির্মিতি হয়েছে তিন তলা ভবনের সাঁথিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন। যা এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়।

এটি ২০১৮ সালের ফেবরুয়ারীতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সাজিন কন্সট্রাকশন নির্মাণ কাজের দায়িত্ব নিলেও কাজ শুরু হয় ওই বছরের সেপ্টম্বরে।

নির্মাণ কাজের মেয়াদ ১৮ মাস নির্ধারণ থাকলেও করোনাসহ বিভিন্ন কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

বর্তমানে এ ফায়ার সাভিস স্টেশনটির কাজ প্রায় শতভাগ শেষ হয়েছে। শুধু বাকী আছে পাম্প মেশিন বসানো। এটি হলেই শতভাগ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন নির্মাণ কাজের দায়িত্বে নিয়োজিত গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মোমিনুল ইসলাম। খুব অল্প সময়ের মধ্যে এটি উদ্বোধন হবে বলেও জানান তিনি।

জানা গেছে,অগ্নিকান্ডসহ বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগে সাঁথিয়া উপজেলাবাসীকে পার্শ্ববর্তী বেড়া উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপর নির্ভর করতে হয়। অনেক সময় দেখা যায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় অনেক দুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে আসতে আসতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন স্থানীয়রা।

এ কারণে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এড. শামসুল হক টুকু এমপির প্রচেষ্টায় সাঁথিয়াবাসীর অগ্নিনির্বাপণ সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে উপজেলা সদরে একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণ হলো। ফলে এলাকার উন্নয়নের আরেক ধাপ এগিয়ে গেল। সাঁথিয়া উপজেলাবাসী অতি দ্রুত এটাকে চালু করার দাবী জানান।

পাবনা জেলা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক দুলাল মিয়া জানান, সাঁথিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের জন্য জনবল, গাড়ীসহ সব কিছু প্রস্তুত রয়েছে। গণপূর্ত বিভাগ ভবনটি বুঝিয়ে দিলেই কার্যক্রম শুরু করবো আমরা।

পাবনা গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার আজিম জানান, ভবনের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। কাজের মান ও সন্তোষজনক। আগামী ১৫/২০ দিনের মধ্যে ভবনটি হস্তান্তর করা হবে।