ঢাকা ১০:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনায় যথাযথ গুরুত্বের সাথে মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালিত

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৬:৫৮:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অক্টোবর ২০২০
  • / 135

স্টাফ রিপোর্টারঃ
“সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য : অধিক বিনিয়োগ অবাধ সুযোগ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পাবনায় যথাযথ গুরুত্বের সাথে পালিত হয়েছে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস।

এ উপলক্ষে  আজ সকাল ১০টায় পাবনা মানসিক হাসপাতালের আয়োজনে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালীতে নেতৃত্ব দেন পাবনা মানসিক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রতন কুমার রায়।

বেলা ১১ টায় হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে“ মেন্টাল হেলথ ফর অল: গ্রেটার ইনভেস্টমেন্ট- গ্রেটার এ্যাকসেস” বিষয়ে এক সায়েন্টিফিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন পাবনা মানসিক হাসপাতালের প্রাক্তন পরিচালক প্রখ্যাত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডাঃ তন্ময় প্রকাশ বিশ্বাস।

পাবনা মানসিক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রতন কুমার রায়ের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ আলী ও ডাঃ শাফকাত ওয়াহেদ। সেমিনারে কী-নোট পেপার উপস্থাপন করেন আরএমও ডাঃ এ কে এম শাফিউল আজম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাক্তন পরিচালক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডাঃ তন্ময় প্রকাশ বিশ্বাস বলেন, পাবনা মানসিক হাসপাতাল মানসিক চিকিৎসার জন্য একটি মাইল ফলক। মুসলিমদের জন্য মক্কা যেমন পবিত্র মানসিক রোগীদের চিকিৎসার জন্যেও পাবনা মানসিক হাসপাতালকে পবিত্র মক্কার মতোই ভাবতে হবে।

তিনি বলেন, আমি এ হাসপাতালে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছি। এর আদ্যোপান্ত আমি সবই জানি। হাসপাতালটি ধুঁকে ধুঁকে চলছে। সরকারের এই বিশেষায়িত হাসপাতালের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া উচিত। তিনি বলেন, দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা বাড়লে ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছেনা, এমনকি ডাক্তারদের মধ্যেও এ বিষয়ে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। অনেকেই এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে কবিরাজের উপর নির্ভরশীল। এখনও বিভিন্ন জায়গায় কবিরাজী সাইনবোর্ড ঝুলতে দেখা যায়। সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে রোগ অনেক সময় জটিল হয়ে যায়। তাই সেবার পরিধি তৃণমূল পর্যন্ত যাওয়া উচিত।

তিনি থাইল্যান্ডের চিকিৎসা ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে বলেন, সেখানে গ্রাম পর্যায়ে ভলান্টিয়ারদের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা রোগীর দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া হয়। তিনি আরও বলেন, কেউ এই চিকিৎসা পেশায় আসেন বাইচান্সে, কেউ আসেন বাইচয়েজে। যিনি বাইচয়েজে আসবেন তিনিই আন্তরিকতা দিয়ে এই পেশায় সেবা দিয়ে যেতে পারবেন।

তিনি বলেন, প্রতিটি জেলা হাসপাতালে একজন করে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেয়া হবে। এটা সরকারের যথাযথ পদক্ষেপ। উপজেলা লেভেলে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সেবা দেয়া যেতে পারে বলে ও তিনি উল্লেখ করেন।

পাবনার বিশিষ্ট এই মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, মানসিক রোগী দুই রকমের- মৃদু ও গুরুতর। দুটোরই ৩০% কারণ বংশগত। এছাড়া পারিপার্শ্বিক, সামাজিকচাপ, ব্যক্তিগত টেনশন ইত্যাদি কারণে মানসিক রোগ বেড়ে যাচ্ছে।

দীর্ঘ বক্তৃতায় তিনি আরও উল্লেখ করেন, পাবনা মানসিক হাসপাতালে আরও কমপক্ষে ৭’শ বেড বাড়ানো দরকার। এর মধ্যে দুইশ থাকবে শুধুমাত্র বৃদ্ধ মানসিক রোগীদের জন্য।

কর্মরত ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশে একমাত্র মানসিক হাসপাতালেই কাজ শেখার পরিবেশ সবচেয়ে বেশি। এখানে এক বছর চাকরি করলে যে কাজ শেখা যাবে অন্য হাসপাতালে ১০ বছর কাজ করেও তা শেখা যাবে না।

এসময় সেমিনারে পাবনার বিশিষ্ট সাংবাদিকগণ স্কয়ার ফার্মার ম্যানেজার এএসএম শওকতসহ হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তাররা উপস্থিত ছিলেন।

পাবনায় যথাযথ গুরুত্বের সাথে মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালিত

প্রকাশিত সময় ০৬:৫৮:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অক্টোবর ২০২০

স্টাফ রিপোর্টারঃ
“সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য : অধিক বিনিয়োগ অবাধ সুযোগ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পাবনায় যথাযথ গুরুত্বের সাথে পালিত হয়েছে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস।

এ উপলক্ষে  আজ সকাল ১০টায় পাবনা মানসিক হাসপাতালের আয়োজনে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালীতে নেতৃত্ব দেন পাবনা মানসিক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রতন কুমার রায়।

বেলা ১১ টায় হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে“ মেন্টাল হেলথ ফর অল: গ্রেটার ইনভেস্টমেন্ট- গ্রেটার এ্যাকসেস” বিষয়ে এক সায়েন্টিফিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন পাবনা মানসিক হাসপাতালের প্রাক্তন পরিচালক প্রখ্যাত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডাঃ তন্ময় প্রকাশ বিশ্বাস।

পাবনা মানসিক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রতন কুমার রায়ের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ আলী ও ডাঃ শাফকাত ওয়াহেদ। সেমিনারে কী-নোট পেপার উপস্থাপন করেন আরএমও ডাঃ এ কে এম শাফিউল আজম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাক্তন পরিচালক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডাঃ তন্ময় প্রকাশ বিশ্বাস বলেন, পাবনা মানসিক হাসপাতাল মানসিক চিকিৎসার জন্য একটি মাইল ফলক। মুসলিমদের জন্য মক্কা যেমন পবিত্র মানসিক রোগীদের চিকিৎসার জন্যেও পাবনা মানসিক হাসপাতালকে পবিত্র মক্কার মতোই ভাবতে হবে।

তিনি বলেন, আমি এ হাসপাতালে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছি। এর আদ্যোপান্ত আমি সবই জানি। হাসপাতালটি ধুঁকে ধুঁকে চলছে। সরকারের এই বিশেষায়িত হাসপাতালের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া উচিত। তিনি বলেন, দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা বাড়লে ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছেনা, এমনকি ডাক্তারদের মধ্যেও এ বিষয়ে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। অনেকেই এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে কবিরাজের উপর নির্ভরশীল। এখনও বিভিন্ন জায়গায় কবিরাজী সাইনবোর্ড ঝুলতে দেখা যায়। সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে রোগ অনেক সময় জটিল হয়ে যায়। তাই সেবার পরিধি তৃণমূল পর্যন্ত যাওয়া উচিত।

তিনি থাইল্যান্ডের চিকিৎসা ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে বলেন, সেখানে গ্রাম পর্যায়ে ভলান্টিয়ারদের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা রোগীর দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া হয়। তিনি আরও বলেন, কেউ এই চিকিৎসা পেশায় আসেন বাইচান্সে, কেউ আসেন বাইচয়েজে। যিনি বাইচয়েজে আসবেন তিনিই আন্তরিকতা দিয়ে এই পেশায় সেবা দিয়ে যেতে পারবেন।

তিনি বলেন, প্রতিটি জেলা হাসপাতালে একজন করে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেয়া হবে। এটা সরকারের যথাযথ পদক্ষেপ। উপজেলা লেভেলে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সেবা দেয়া যেতে পারে বলে ও তিনি উল্লেখ করেন।

পাবনার বিশিষ্ট এই মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, মানসিক রোগী দুই রকমের- মৃদু ও গুরুতর। দুটোরই ৩০% কারণ বংশগত। এছাড়া পারিপার্শ্বিক, সামাজিকচাপ, ব্যক্তিগত টেনশন ইত্যাদি কারণে মানসিক রোগ বেড়ে যাচ্ছে।

দীর্ঘ বক্তৃতায় তিনি আরও উল্লেখ করেন, পাবনা মানসিক হাসপাতালে আরও কমপক্ষে ৭’শ বেড বাড়ানো দরকার। এর মধ্যে দুইশ থাকবে শুধুমাত্র বৃদ্ধ মানসিক রোগীদের জন্য।

কর্মরত ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশে একমাত্র মানসিক হাসপাতালেই কাজ শেখার পরিবেশ সবচেয়ে বেশি। এখানে এক বছর চাকরি করলে যে কাজ শেখা যাবে অন্য হাসপাতালে ১০ বছর কাজ করেও তা শেখা যাবে না।

এসময় সেমিনারে পাবনার বিশিষ্ট সাংবাদিকগণ স্কয়ার ফার্মার ম্যানেজার এএসএম শওকতসহ হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তাররা উপস্থিত ছিলেন।