ঢাকা ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনা জেলার ১৯২তম জন্মদিন পালন

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১১:০২:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০
  • / 101

স্টাফ রিপোর্টারঃ সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন পাবনা জেলা শাখার আয়োজনে উৎসব মুখর পরিবেশে পাবনা জেলার ১৯২তম জন্মদিন পালন করা হয়।

বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পাবনা জেলার ১৯২তম বর্ষপূর্তি পালন করা হয়েছে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন পাবনা জেলা শাখার পক্ষ থেকে।

এ উপলক্ষে আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় সংগঠনের জেলা কার্যালয়ে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা ও উৎসব মুখর পরিবেশে কেক কাটা অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সভাপতি পাবনার বিশিষ্ট সমাজসেবক এ্যাডঃ তসলিম হাসান সুমনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড পাবনা শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ আতিয়ার রহমান, সূচনা সমাজকল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক পূর্ণিমা ইসলাম, টেবুনিয়া সামসুল হুদা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম খান বাবু, মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের পাবনা শাখার সহ-সভাপতি হাসিনা আক্তার রোজী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক এটিএম ফজলুল করিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক আসাদুজ্জামান খোকন, হাজেরা খাতুন গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক বুরহানুল ইসলাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আব্দুল হামিদ খান।

সভাপতির বক্তব্যে সমাজ গবেষক এ্যাডঃ তসলিম হাসান সুমন বলেন, দেশ জাতির কল্যাণে যিনি জীবনকে উৎসর্গ করতে পারেন, যাদের প্রকৃতই দেশ সেবার মানসিকতা আছে, দেশের প্রতি দরদ আছে, দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা আছে, এমন ধরণের মানুষদেরই রাজনীতিতে আসা উচিত।

তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এখন দেখি ছাত্রনেতা-যুবনেতা হলেই প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক হয়ে যায়। এটা যেকোন দেশের জন্যে অশুভ লক্ষণ। এর ফলাফল কখনো শুভ হয় না। অশিক্ষিত-অর্ধ-শিক্ষিত এবং দুর্বৃত্তরা অবৈধ পন্থায় কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে, কারো আশীর্বাদ পুষ্ট হয়ে রাজনীতিতে ঢুকে রাজনৈতিক দল গুলোর পরিবেশ নষ্ট করে ফেলছে। তারা সমাজ তথা দেশকে কলুষিত করছে।

তিনি বলেন, সমাজের অধিকাংশ মানুষ জেনে বুঝে একজন খারাপ মানুষকে ভোট দেয়। আল্লাহ কুরআনে ঘোষণা করেছেন আমি জালিম মানুষের জন্যে মহা জালিম মানুষকেই তাদের নেতা হিসেবে নির্বাচন করে দেই। সুতরাং সমাজের মানুষকে ভালো হতে হবে, সততা-স্বচ্ছতার সাথে সব কাজ করতে হবে। সঠিক জায়গায় ভোট দিয়ে যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করতে না পারলে আমরা কোন এলাকার বা শহরের যথাযথ উন্নয়ন আশা করতে পারি না।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড পাবনা শাখার ম্যানেজার মোঃ আতিয়ার রহমান বলেন, পাবনার মানুষ খুব সাহসী, সব সময়ই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনমুখী। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয় ২৬ শে মার্চ, অথচ পাবনার দুঃসাহসী মুক্তিযোদ্ধারা পাক-হানাদারদের খতম করে পাবনা শহরকে স্বাধীন করে তারও অনেক আগে। সারা বিশ্বের বুকে পাবনা বাসীর জন্যে এটা গর্বের বিষয়।

স্বাগত বক্তব্যে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক-কলামিস্ট আব্দুল হামিদ খান বলেন, অতীত ঐতিহ্যের অনেক কিছু হারিয়ে গেলেও পাবনা এখনও যথেষ্ট সম্ভাবনার শহর।

১৮২৮ সালে জেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠার বিস্তারিত ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, যে ইছামতি নদীকে কেন্দ্র করে পাবনার সমৃদ্ধি গড়ে ওঠে সেই ইছামতি আজ মৃতপ্রায়-কঙ্কালসার এক নদী।

তিনি বলেন, ১৯১১-১২ সালে তৈরি ইমারসন ব্রীজ ভেঙে ফেলা হয় ১৯৯৫ সালে। একই স্থানে নির্মাণ করা হয় কালভার্ট। এরই ধারাবাহিকতায় এই নদীর উপর বেশ কয়েকটি ফুটওভার ব্রীজ তৈরি হয়েছে। ইছামতি নদীর ওপর তৈরি এই ছোট ছোট ব্রীজ-কালভার্টের কথা উল্লেখ করে তিনি দৃঢ় ভাবে বলেন, এই টাইপের ব্রীজ কালভার্ট করার অর্থই হচ্ছে পাবনার মানচিত্র থেকে ইছামতি নদীকে মুছে ফেলার গভীর নীল নকশা।

এই ইমারসন ব্রীজের দৈর্ঘ্য ছিল ২’শ ফুট, তাতে বোঝা যায় নদীর প্রশস্ততা ও ছিল ২০০ ফুট। সেই ইছামতি নদীর দুই পাড়ের অনেক জায়গা এখন লোভী ভূমি খেকোদের অবৈধ দখলে যা নিয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন পাবনা জেলা শাখা সহ বিভিন্ন সংগঠন দীর্ঘ দুই দশক ধরে আন্দোলন করে আসছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ইছামতি নদী পূর্বের অবস্থায় ফিরে চাই, পাবনা শহরকে যানজটমুক্ত করার জন্য প্রধান সড়ককে কমপক্ষে আরও ২০ ফুট চওড়া করে মাঝখানে ডিভাইডার দিয়ে শোভা বর্ধন কারী গাছ লাগিয়ে শহরকে দৃষ্টিনন্দন করার দাবি জানাই।

পাবনা-ঢাকা ডাইরেক্ট ট্রেনলাইন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও পাবনা মেডিকেল কলেজে ৫০০ বেডের হাসপাতাল স্থাপন জরুরী হয়ে পড়েছে। এসব বাস্তবায়ন হলেই পাবনা একটি সুন্দর শহর তথা সমৃদ্ধ জেলায় পরিণত হবে। তিনি পাবনার এসব দাবি নিয়ে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে যাবার আহ্বান জানান পাবনা বাসীকে।

আলোচনা অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন পাবনা জেলা শাখার তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ। আলোচনা সভা শেষে উৎসব মুখর পরিবেশে কেক কেটে একে অপরকে খাইয়ে দিয়ে আনন্দ উচ্ছাস প্রকাশ করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই।

পাবনা জেলার ১৯২তম জন্মদিন পালন

প্রকাশিত সময় ১১:০২:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০

স্টাফ রিপোর্টারঃ সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন পাবনা জেলা শাখার আয়োজনে উৎসব মুখর পরিবেশে পাবনা জেলার ১৯২তম জন্মদিন পালন করা হয়।

বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পাবনা জেলার ১৯২তম বর্ষপূর্তি পালন করা হয়েছে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন পাবনা জেলা শাখার পক্ষ থেকে।

এ উপলক্ষে আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় সংগঠনের জেলা কার্যালয়ে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা ও উৎসব মুখর পরিবেশে কেক কাটা অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সভাপতি পাবনার বিশিষ্ট সমাজসেবক এ্যাডঃ তসলিম হাসান সুমনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড পাবনা শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ আতিয়ার রহমান, সূচনা সমাজকল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক পূর্ণিমা ইসলাম, টেবুনিয়া সামসুল হুদা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম খান বাবু, মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের পাবনা শাখার সহ-সভাপতি হাসিনা আক্তার রোজী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক এটিএম ফজলুল করিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক আসাদুজ্জামান খোকন, হাজেরা খাতুন গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক বুরহানুল ইসলাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আব্দুল হামিদ খান।

সভাপতির বক্তব্যে সমাজ গবেষক এ্যাডঃ তসলিম হাসান সুমন বলেন, দেশ জাতির কল্যাণে যিনি জীবনকে উৎসর্গ করতে পারেন, যাদের প্রকৃতই দেশ সেবার মানসিকতা আছে, দেশের প্রতি দরদ আছে, দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা আছে, এমন ধরণের মানুষদেরই রাজনীতিতে আসা উচিত।

তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এখন দেখি ছাত্রনেতা-যুবনেতা হলেই প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক হয়ে যায়। এটা যেকোন দেশের জন্যে অশুভ লক্ষণ। এর ফলাফল কখনো শুভ হয় না। অশিক্ষিত-অর্ধ-শিক্ষিত এবং দুর্বৃত্তরা অবৈধ পন্থায় কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে, কারো আশীর্বাদ পুষ্ট হয়ে রাজনীতিতে ঢুকে রাজনৈতিক দল গুলোর পরিবেশ নষ্ট করে ফেলছে। তারা সমাজ তথা দেশকে কলুষিত করছে।

তিনি বলেন, সমাজের অধিকাংশ মানুষ জেনে বুঝে একজন খারাপ মানুষকে ভোট দেয়। আল্লাহ কুরআনে ঘোষণা করেছেন আমি জালিম মানুষের জন্যে মহা জালিম মানুষকেই তাদের নেতা হিসেবে নির্বাচন করে দেই। সুতরাং সমাজের মানুষকে ভালো হতে হবে, সততা-স্বচ্ছতার সাথে সব কাজ করতে হবে। সঠিক জায়গায় ভোট দিয়ে যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করতে না পারলে আমরা কোন এলাকার বা শহরের যথাযথ উন্নয়ন আশা করতে পারি না।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড পাবনা শাখার ম্যানেজার মোঃ আতিয়ার রহমান বলেন, পাবনার মানুষ খুব সাহসী, সব সময়ই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনমুখী। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয় ২৬ শে মার্চ, অথচ পাবনার দুঃসাহসী মুক্তিযোদ্ধারা পাক-হানাদারদের খতম করে পাবনা শহরকে স্বাধীন করে তারও অনেক আগে। সারা বিশ্বের বুকে পাবনা বাসীর জন্যে এটা গর্বের বিষয়।

স্বাগত বক্তব্যে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক-কলামিস্ট আব্দুল হামিদ খান বলেন, অতীত ঐতিহ্যের অনেক কিছু হারিয়ে গেলেও পাবনা এখনও যথেষ্ট সম্ভাবনার শহর।

১৮২৮ সালে জেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠার বিস্তারিত ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, যে ইছামতি নদীকে কেন্দ্র করে পাবনার সমৃদ্ধি গড়ে ওঠে সেই ইছামতি আজ মৃতপ্রায়-কঙ্কালসার এক নদী।

তিনি বলেন, ১৯১১-১২ সালে তৈরি ইমারসন ব্রীজ ভেঙে ফেলা হয় ১৯৯৫ সালে। একই স্থানে নির্মাণ করা হয় কালভার্ট। এরই ধারাবাহিকতায় এই নদীর উপর বেশ কয়েকটি ফুটওভার ব্রীজ তৈরি হয়েছে। ইছামতি নদীর ওপর তৈরি এই ছোট ছোট ব্রীজ-কালভার্টের কথা উল্লেখ করে তিনি দৃঢ় ভাবে বলেন, এই টাইপের ব্রীজ কালভার্ট করার অর্থই হচ্ছে পাবনার মানচিত্র থেকে ইছামতি নদীকে মুছে ফেলার গভীর নীল নকশা।

এই ইমারসন ব্রীজের দৈর্ঘ্য ছিল ২’শ ফুট, তাতে বোঝা যায় নদীর প্রশস্ততা ও ছিল ২০০ ফুট। সেই ইছামতি নদীর দুই পাড়ের অনেক জায়গা এখন লোভী ভূমি খেকোদের অবৈধ দখলে যা নিয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন পাবনা জেলা শাখা সহ বিভিন্ন সংগঠন দীর্ঘ দুই দশক ধরে আন্দোলন করে আসছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ইছামতি নদী পূর্বের অবস্থায় ফিরে চাই, পাবনা শহরকে যানজটমুক্ত করার জন্য প্রধান সড়ককে কমপক্ষে আরও ২০ ফুট চওড়া করে মাঝখানে ডিভাইডার দিয়ে শোভা বর্ধন কারী গাছ লাগিয়ে শহরকে দৃষ্টিনন্দন করার দাবি জানাই।

পাবনা-ঢাকা ডাইরেক্ট ট্রেনলাইন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও পাবনা মেডিকেল কলেজে ৫০০ বেডের হাসপাতাল স্থাপন জরুরী হয়ে পড়েছে। এসব বাস্তবায়ন হলেই পাবনা একটি সুন্দর শহর তথা সমৃদ্ধ জেলায় পরিণত হবে। তিনি পাবনার এসব দাবি নিয়ে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে যাবার আহ্বান জানান পাবনা বাসীকে।

আলোচনা অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন পাবনা জেলা শাখার তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ। আলোচনা সভা শেষে উৎসব মুখর পরিবেশে কেক কেটে একে অপরকে খাইয়ে দিয়ে আনন্দ উচ্ছাস প্রকাশ করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই।